USA

আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলে যা যা করবেন ট্রাম্প

হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে কে বসবেন, তা নিয়ে জমে উঠেছে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক জো বাইডেনের লড়াই। স্থানীয় সময় বুধবার (৬ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে সরে দাঁড়ান নিকি হ্যালি। ফলে রিপাবলিকান পার্টি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থিতা নিশ্চিত হয়। এবার প্রেসিডেন্ট হলে কী কী করবেন, তা ইতিমধ্যেই ফলাও করে প্রচার করছেন ট্রাম্প। খবর- সিএনএন

ট্রাম্পের নামে বেশকিছু মামলা ঝুলে আছে। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প। একদিকে বিগত কয়েক বছরে অন্যান্য দেশের যুদ্ধে সামরিক সহায়তা দিতে গিয়ে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা আর অন্যদিকে কোভিড-১৯ মহামারী সামাল দিতে গিয়ে বেহাল অবস্থা- মূলত এই দুইয়ের ধাক্কায় অনেকটা জনপ্রিয়তা হারিয়েছে বাইডেনের সরকার। এর সুযোগ নিয়ে ট্রাম্প নিজের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলেছেন। 

নির্বাচনের অন্যান্য প্রার্থীদের মতো আমেরিকাকে উন্নত, অগ্রসর রাষ্ট্র হিসেবে প্রচার করেন না ট্রাম্প। বরং তিনি দাবি করেন, সীমান্ত এলাকাগুলোকে বিবেচনায় নিলে যুক্তরাষ্ট্র নিতান্তই একটি তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র। মুদ্রাস্ফীতি, বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা, মাদক সংকটে জর্জরিত শহর অভিবাসন সমস্যা, এমনকি নোংরা বিমানবন্দরের মতো সমস্যাগুলোকে তিনি স্পটলাইটে আনেন এবং এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরেন। 

শুধু তাই নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে আবারও নির্বাচিত হলে কী কী করবেন, তার ফর্দ দিয়েছেন ট্রাম্প। এর মাঝে একটি হলো সংবিধান বাতিল করা। তিনি চান প্রেসিডেন্টকে অসীম ক্ষমতা দেবে সুপ্রিম কোর্ট, যা ব্যবহার করে নিজের শত্রুদের ‘দেখে নেবেন’ ট্রাম্প। রাষ্ট্রীয় পদগুলোয় রাজনৈতিক নিয়োগ দেবার পক্ষপাতী তিনি, এবং এর থেকে আদালতও বাদ যাবে না। এমনকি ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনবেন তিনি, এমন আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্পের সাবেক কর্মীরা। 

অতীতের মতো এবারেও অভিবাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত দূষিত করে তুলছে নথিবহির্ভুত অভিবাসীরা। তিনি অভিবাসীদের গণহারে দেশ থেকে বের করে দিতে এবং তাদেরকে সাময়িকভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখতে আগ্রহী। 

একসময় ট্রাম্পের এসব হুমকিকে খেলাচ্ছলে দেখত মার্কিনিরা। কিন্তু এখন আর তাকে হেসে উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই। ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারানো বাইডেনের বিপক্ষে তিনি এখন শক্ত প্রতিপক্ষ। সময়ই বলে দেবে নির্বাচনে কে জিতছেন। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button