Trending

খরা, খাদ্য সংকটের সঙ্গে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া! এল নিনোয় কী কী বিপদের অশনি সংকেত?

বিপদের নাম এল নিনো। দুনিয়া জুড়ে ইতিমধ্যেই যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এল নিনোর প্রভাব থাকবে বলে সতর্ক করেছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, এটি খরা, খিদে আর মশাবাহিত রোগ নিয়ে আসবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ব উষ্ণায়ন ও এল নিনো নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা বিজ্ঞানী ওয়াল্টার বেথগেন। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন তিনি। বেথগেনের কথায়, ‘এল নিনোর বছর মানেই আপনাকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে এল নিনোর চরিত্রেও বদল আসছে। চলতি বছরের জুন-জুলাইতে পুড়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। বেশ কিছু জায়গায় উষ্ণতা রেকর্ড ছুঁয়েছে। যা প্রভাব ফেলেছে এল নিনোর উপর।’

গবেষকদের অনুমান, চলতি বছরের শেষে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। অন্যদিকে মহাসাগরগুলির তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৯-০.৭ ডিগ্রি। সাগরগুলি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় মরু এলাকার বরফ গলতে শুরু করেছে। এতে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সতর্ক করেছেন সমুদ্র বিজ্ঞানীদের একাংশ।

কেন এল নিনোকে খরা আর খিদের বছর বলে উল্লেখ করলেন বেথগেন? ‘এল নিনোর জেরে এবার এমনিতেই বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ফসল উৎপাদনের উপর। ভারত বা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলি চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে আগামী দিনে আধপেটা বা অনাহারে থাকবে হবে অনেক মানুষকে।’ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক ও গবেষক।

এছাড়া এল নিনোর বছরগুলিতে দেখা যায় তাপপ্রবাহ। যা মানব স্বাস্থ্য উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু পরিবর্তনের অধ্যাপক গ্রেগরি ওয়েলেনিয়াস জানিয়েছেন, গরম বেশি পড়লে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। চলতি বছরে ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে হয়েছে। এদের অধিকাংশই পশ্চিম এশিয়ায় বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে এল নিনোর বছরগুলিতে মশা বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই সময় মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় জমা পানিতে সহজেই মশার বংশবৃদ্ধি হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে স্পেন ও কেনিয়ার কথা বলেছেন গবেষকরা। ১৯৯৭ থেকে ৯৯ পর্যন্ত কেনিয়ায় ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পড়়ে। কেনিয়া থেকে এই মশাবাহিত রোগ ছড়িয়েছিল আফ্রিকার অন্য দেশগুলিতেও। ২০১৫-য় একই অবস্থা দেখা গিয়েছিল স্পেনে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button