গাজা উপত্যকা এখন ‘ডেথ জোন’: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্কুল, শরণার্থী শিবিরের পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট।
এমন অবস্থায় গাজা উপত্যকার পরিস্থিতিকে অমানবিক বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। এমনকি গাজা উপত্যকা এখন ‘ডেথ জোন’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি অমানবিক বলে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান বুধবার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে ‘ডেথ জোন’ বা ‘মৃত্যু অঞ্চল’ বলে অভিহিত করেছেন।
ডব্লিউএইচও প্রধান এসময় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের অবাধ প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘গাজার স্বাস্থ্য ও মানবিক পরিস্থিতি অমানবিক এবং ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। গাজা একটি মৃত্যু অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সেখানকার বেশিরভাগ অঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোন ধরনের পৃথিবীতে বাস করি যেখানে মানুষ খাবার এবং পান করার জন্য পানি পায় না, বা যেখানে মানুষ হাঁটতে পর্যন্ত পারে না কিংবা তারা তাদের সেবা-যত্নও পেতে পারে না? আমরা কোন ধরনের বিশ্বে বাস করি যেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা অসহায় মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করার সময় নিজেরাই বোমা হামলার ঝুঁকিতে থাকে?’
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, ‘আমরা কোন ধরনের বিশ্বে বাস করি যেখানে হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিতে হবে কারণ রোগীদের বাঁচাতে সাহায্য করার জন্য আর কোনও জ্বালানি বা ওষুধ নেই। এবং এসব হাসপাতাল অবকাঠামোতে বারবার হামলা করছে সামরিক বাহিনী।’
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে অন্তত ২৯ হাজার ৩১৩ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।