Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Trending

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক প্রতিযোগিতার মধ্যে ডিপসিকের তাৎপর্য কোথায় 

বিশ্ববাজারে তুমুল আলোড়ন তোলার মতো খবর অনেকদিন ধরেই দিতে পারছিল না শি জিনপিংয়ের অর্থনীতি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেভেলপার কোম্পানি ডিপসিক সেই খরা কাটিয়ে ঝড় তুলেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। এত বড় আলোড়ন দীর্ঘদিন আসেনি চীন থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পুঁজিবাজারে প্রযুক্তিখাতের শেয়ারদরে ব্যাপক ধস নামিয়েছে চীনের তৈরি ডিপসিক আর-১ এআই। এই ঘটনার পর সবচেয়ে বড় উপলদ্ধিটা হওয়া উচিৎ বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতি – যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে নিয়ে।

প্রযুক্তিখাতে বিশ্বে নেতৃত্ব ধরে রাখতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র, চীনও সেই আসন ছিনিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। এই অবস্থায়, বেইজিংয়ের অগ্রযাত্রা বন্ধে ২০১৭-২১ সাল পর্যন্ত চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধ চালান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ শেষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জো বাইডেন। তিনিও বেশকিছু নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চীনে প্রযুক্তিপণ্য, বিশেষত উচ্চ প্রযুক্তির কম্পিউটার চিপ রপ্তানিকে রুদ্ধ করেন।

কিন্তু, ডিপসিক প্রমাণ করে দিল– বাইডেন বা ট্রাম্প কেউই পারেননি চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের প্রযুক্তিখাতে উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে দমাতে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে চীনের প্রচেষ্টা এখানে-সেখানে হোঁচট খেলেও— এবার শি জিনপিংয়ের ‘মেড ইন চায়না’ উদ্যোগ তার সবচেয়ে বড় জনসংযোগের বিজয় অর্জন করেছে।

বিশ্ববাজারে তুমুল আলোড়ন তোলার মতো খবর অনেকদিন ধরেই দিতে পারছিল না শি জিনপিংয়ের অর্থনীতি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেভেলপার কোম্পানি ডিপসিক সেই খরা কাটিয়ে ঝড় তুলেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। এত বড় আলোড়ন দীর্ঘদিন আসেনি চীন থেকে।

গত ২০ জানুয়ারি ডিপসিক বাজারে আনে বিশেষায়িত এআই মডেল আর১। এক সপ্তাহের মধ্যে চ্যাটজিপিটিকে ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল স্টোরের সর্বোচ্চ রেটিংধারী অ্যাপলিকেশন হয়ে উঠেছে ডিপসিক।

ডিপসিকের আর-১ চ্যাটবট অ্যাপলিকেশন একাধারে কম দামের চিপ ব্যবহার করে, যা চিরাচরিত বাজারব্যবস্থাকে জোরেশোরে ধাক্কা দিয়েছে। কারণ, এতদিন অত্যাধুনিক চিপ নির্মাণের ওপর নির্ভর করতো নতুন নতুন ও কার্যকর এআই মডেল তৈরির প্রচেষ্টা। ফলে ধাক্কা খেয়েছে চিপ প্রস্তুতকারকরাও। আমেরিকার চিপ প্রস্তুতকারক জায়ান্ট এনভিডিয়া থেকে শুরু করে চিপ নির্মাণের যন্ত্র তৈরির ডাচ জায়ান্ট এএসএমএল- এর মতো সুপ্রতিতিষ্ঠিত কোম্পানির শেয়ারদরে নামে ধস।

এনভিডিয়া একদিনে ১৭ শতাংশ শেয়ারমূল্য হারিয়েছে, তাদের বাজারমূল্য কমেছে ৫৯৩ বিলিয়ন (৫৯ হাজার ৩০০ কোটি) মার্কিন ডলার। এটি ওয়ালস্ট্রিটে একদিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারদরের সর্বোচ্চ পতন।

জাপান ও ইউরোপের চিপ নির্মাতাদের বাজারমূল্যেও বড় ধস নামিয়েছে ডিপসিকের আগমন।

ডিপসিকের আগমন ট্রাম্পের গর্বের প্রচেষ্টাকেও ক্ষুণ্ণ করেছে। গত ২১ জানুয়ারি ট্রাম্প সফটব্যাংকের মাসায়োশি সন, ওরালকের ল্যারি এলিসন এবং ওপেনএআই এর স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে দাঁড়িয়ে এআই খাতে আমেরিকার বিজয় ঘোষণা করেছিলেন। স্টারগেট এআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পে ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা জানানো হয় সেসময়। যা এখন বাসি খবরে পরিণত হয়েছে, আর সবার মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে ডিপসিক। যুক্তরাষ্ট্রের এআই অবকাঠামোকে দৃঢ় ভিত্তি দিতে ট্রাম্পের ওই বিশাল প্রকল্পকেও এখন সেকেলে মনে হচ্ছে, কারণ সব হিসাব ওলট-পালট করে দিচ্ছে কম খরচের ডিপসিকের ওপেন সোর্স এআই।  

তবে এতকিছুর মধ্যেও অর্থনৈতিক দিকটাই প্রধান বিবেচ্য এই ঘটনায়। শি জিনপিংয়ের বড় এ বিজয়— চীনের অর্থনীতির ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনর্নিমাণের সহায়ক হবে। অন্যদিকে, এই ঘটনা থেকে ট্রাম্পের বোঝা উচিৎ, বাণিজ্যে শুল্ক বসিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে এমন উত্থান দেওয়া সম্ভব না যা চীনের থেকে আসা প্রতিযোগিতা বা হুমকির সমান হতে পারবে। সেক্ষেত্রে একমাত্র সাহসী নীতিগত পদক্ষেপ হতে পারে সমাধান। 

ডিপসিকের ডামাডলে অন্যান্য বিষয়গুলোকে তাচ্ছিল্য করাও ঠিক হবে না। ডিপসিক যেদিন বিশ্ববাজারকে সজোরে ঝাঁকুনি দেয়– সেই একইদিন চীনের সরকারি তথ্যে, জানুয়ারিতে দেশটির কারখানা কর্মকাণ্ড সংকুচিত হওয়ার চিত্র উঠে এসেছে। টানা তিন মাস বাড়ার পরে— জানুয়ারিতে তা থমকে গেছে।

এদিকে চীনের আনুষ্ঠানিক পারচেজিং ম্যানেজার ইনডেক্স বা পিএমআই সূচক নেমে এসেছে ৪৯.১ – এ। উৎপাদনখাতের বাইরে সেবা ও অবকাঠামো নির্মাণখাতের পিএমআই ডিসেম্বরের ৫২.২ থেকে কমে জানুয়ারিতে ৫০.২ হয়েছে। অন্যদিকে শিল্পখাতের মুনাফা টানা তিন বছরের ন্যায় কমেছে, গত ২০২৪ সালে যা কমেছে ৩.৩ শতাংশ।

এই অবস্থায় চীনের রপ্তানির ওপর ট্রাম্প নতুন করে শুল্কারোপ করলে— অবস্থার আরও অবনতির শঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রাম্প এখনও নতুন করে শুল্কারোপ করেননি, তবে শুল্কারোপে দেরীর অর্থ এই নয় যে, তা আসার ঝুঁকি নেই। 

এদিকে চীনের আবাসন খাতের ধস— ১৯৯৭-৯৮ সালের এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর সবচেয়ে দীর্ঘ মূল্য সংকোচন প্রভাব সৃষ্টি করেছে। চীনের গৃহস্থালি চাহিদাও এখন দুর্বল, আর তরুণদের মধ্যে রেকর্ড বেকারত্বের হারও অর্থনীতি নিয়ে আস্থার ঘাটতি তৈরি করে। এই অবস্থায়, ডিপসিকের বাজিমাৎ দরকারি ছিল। প্রযুক্তিখাতে চীন আমেরিকাকে টেক্কা দিতে চায়, সেখানে যুগান্তকারী উদ্ভাবনই পারে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ টানতে।

চীনকে দ্রুত এগোতে হবে, ট্রাম্পের আসন্ন শুল্ককে মাথায় রেখেই।  

এই অবস্থায়, চীনের আর্থিক ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা শি জিনপিংয়ের প্রশাসনের কাছে অশেষ গুরুত্বের হয়ে উঠেছে। আবাসনখাতে দরপতন ঠেকানো, আরও প্রাণবন্ত পুঁজিবাজার তৈরি ও তরুণদের বেকারত্ব হ্রাস, স্থানীয় সরকারগুলোর দেনার বোঝা কমানো, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্যের লাগাম টানা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা— শুরুতে এসবই পাবে প্রাধান্য।

চীনা ভোক্তাদের সঞ্চয়ের চেয়ে ব্যয়ে উৎসাহী করতে সাবলীল একটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির চ্যালেঞ্জও শি জিনপিংয়ের সামনে। গত সপ্তাহেই চীনের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর উদ্যোগ আরও জোরদার করতে হয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকারকে। এর অংশ হিসেবে পেনশন তহবিল ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে দেশীয় কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হয়েছে।

চীনের সিকিউরিটিজ রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান উ কিং বলেন, ‘এর অর্থ দীর্ঘমেয়াদি তহবিলগুলো থেকে অন্তত কয়েকশ বিলিয়ন ইউয়ান প্রতিবছর ‘এ – ক্যাটাগরির’ শেয়ারে বিনিয়োগ হবে।’

এ ধরনের পদক্ষেপ জরুরি অবশ্যই, কারণ অর্থনীতির আগের সমস্যাগুলো সমাধানে শি জিনপিংয়ের টিম এরমধ্যেই দেরী করে ফেলেছে। এই প্রেক্ষাপটে, বেইজিং প্রবৃদ্ধিকে চাঙ্গা করতে ইউয়ানের মান দুর্বল করবে কিনা– এনিয়েও আলাপ শোনা যাচ্ছে আর্থিক বাজারে।

কিন্তু, ইউয়ানের মান কমলে— চীনের রপ্তানি বাড়বে, যা পক্ষান্তরে কর্মসংস্থান ও ভোক্তাব্যয় বাড়াবে।  

কিন্তু, এর যে বিপদ আছে— সেটা ভেবেই শি জিনপিংয়ের সরকার ইউয়ানের মান কমানোর উদ্যোগ নেয়নি। প্রথমত, এতে করে বিদেশি বন্ডের ঋণ পরিশোধ করা চীনের দেনাগ্রস্ত আবাসনখাতের ডেভেলপারদের জন্য আরও কঠিন হয়ে যাবে। এতে করে, এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতিটির ঋণখেলাপির ঝুঁকি বাড়বে। এতে জনমনে অসন্তোষ তৈরি হবে, যেটা শি চান না।

অন্যদিকে, বিশ্ববাণিজ্যে ইউয়ানকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট। ইউয়ানের বিনিময় হারে উল্লেখযোগ্য রদবদল করা হলে— তাতে করে ইউয়ানের ওপর আস্থা কমবে অন্যান্য দেশের। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল তাদের ‘স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস’ মুদ্রাঝুড়িতে ইউয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তখন থেকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বেড়েছে ইউয়ানের ব্যবহার। এই অবস্থায়, অত্যধিক অবনমন রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবেও ইউয়ানের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। 

এছাড়া, এই ঘটনায় এশিয়ার অন্যান্য বড় অর্থনীতিও তাঁদের মুদ্রার দর কমানোর প্রতিযোগিতায় নামতে পারে— যা কারোর জন্যই ভালো হবে না। টোকিও ইয়েনের মান ব্যাপকভাবে কমাতে পারে, তখন দক্ষিণ কোরিয়াও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।

ট্রাম্পের জন্যও তাঁর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করাটা জরুরি। তিনি চীনের সাথে যেম্নভাবে বাণিজ্যযুদ্ধ চান– সেটি ১৯৮৫ সালের দিকে হলে ভালো কাজে দিত, কারণ তখন শিল্পোন্নত কতিপয় দেশের হাতেই ছিল বেশিরভাগ অর্থনৈতিক শক্তি।

ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলারের বিপুল কর কর্তনের উদ্যোগ নেন, যার সুবিধা পান সমাজের উচ্চ স্তরের মাত্র ১ শতাংশ ব্যক্তি। এই পদক্ষেপে বরং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দেনা বৃদ্ধির পথ খুলে যায়, যা বর্তমানে ৩ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এর ফলে অর্থনীতির প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়েনি, আয়ের বৈষম্যও হ্রাস পায়নি।

প্রথম মেয়াদে ঘোষিত ওই কর কর্তনকে দ্বিতীয় মেয়াদে এসে স্থায়ী রূপ দিতে চান ট্রাম্প। সঙ্গে যোগ করতে চান আরও কর ছাড়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান দেনার বোঝা বিপুল হারে বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

আমেরিকার প্রকৃত বৈদেশিক বিনিয়োগ— অর্থাৎ, বিদেশে মার্কিনীদের মালিকানায় থাকা সম্পদ এবং আমেরিকার যেসব সম্পদের মালিকানা বিদেশিদের হাতে – তার মধ্যে ব্যবধান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় সমান। এর পরিমাণ নেগেটিভ ২৪ লাখ কোটি ডলার। বাইডেন যখন ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন তা ছিল ২১ লাখ কোটি ডলার।

ওয়াশিংটনের বিনিয়োগের ভারসাম্যহীনতা কমাবেন নাকি কমাবেন আমদানির আসক্তি — তা নিয়েই এখন দ্বিধান্বিত ট্রাম্প। তাই আপাতত তাঁর অর্থনৈতিক টিম বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটানোর চেয়ে সেটি অব্যাহত রাখতেই বেশি আগ্রহী।

তবে ট্রাম্প কর কর্তনের হার বাড়ালে— রাজস্বের ঘাটতি পূরণের জন্য দেনা করাও বাড়বে মার্কিন সরকারের। সেই দেনার জোগান দিতে পারে, ট্রেজারি বন্ড ও বিলে চীন ও জাপানের বিনিয়োগ। গ্লোবাল সাউথ নামে পরিচিত বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোও হয়তো আরও ট্রেজারি বন্ড কিনবে। এতে করে, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে, যার চাপে ভোক্তাব্যয় কমে যাবে।
  
এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ট্রাম্পের উচিৎ দেশের অর্থনৈতিক শক্তি আরও ভালোভাবে গড়ে তোলা। তিনি বাইডেনকে অনুসরণ করতে পারেন। কারণ, বিভিন্ন নীতির ক্ষেত্রে ব্যর্থতা সত্ত্বেও— অর্থনীতিতে কিছু সঠিক কাজ করেছেন বাইডেন, যার ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতার পথ প্রশস্ত হয়েছে।  

ট্রাম্প যখন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নীতি সুদহার কমিয়ে ডলারের মান কমানোকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছেন— ঠিক তখনই চীনের শি জিনপিং বৈদ্যুতিক গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, রোবোটিক্স, বায়োটেকনোলজি, উচ্চ গতির ট্রেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে বহু ট্রিলিয়ন ডলারের উদ্যোগে নতুন গতি এনেছেন।
 
ডিপসিকের মতো করে আরও সাফল্য আসলে— চীন বহুদূর এগিয়ে যাবে। চলতি সপ্তাহে এই বিষয়টি হয়তো মার্কিন নীতিনির্ধারকদের নজরে এসেছে। প্রতিযোগিতার মাত্রাকে নতুন গতি দেওয়ারও এটি এক আহ্বান— শি জিনপিংয়ের সমাজতান্ত্রিক দল ও ট্রাম্প প্রশাসন – উভয়েরই জন্য। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button