মহাশূন্যে ৬ মাস কাটিয়ে ‘ঘরে ফিরলেন’ ৪ নভশ্চর
মহাশূন্যে ৬ মাস কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরলেন নাসার চার নভশ্চর। ২০২৩ সালের আগস্টে মহাশূন্যস্থিত নাসার ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে পা রেখেছিলেন জ্যাসমিন মঘবেলি, অ্যান্ড্রিয়াস মগেনসেন, সাতোশি ফুরুকাওয়া এবং কনস্ট্যানটিন বরিসভ। নেতৃত্বে ছিলেন মেরিন হেলিকপ্টার পাইলট জ্যাসমিন।
অ্যান্ড্রিয়াস ডেনমার্কের, সাতোশি জাপানের এবং রাশিয়া থেকে ছিলেন কনস্ট্যানটিন। প্রায় অর্ধবৎসরকাল মহাশূন্যে কাটানোর পর মঙ্গলবার নিরাপদেই ‘ঘরে ফিরলেন’ তারা। সোমবারই এই চার জন প্রদক্ষিণরত স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তার পর মঙ্গলবার স্পেসএক্সের রকেটে চড়ে পৃথিবীতে ফেরেন। তাদের ‘ক্যাপসুল’ আমেরিকার আকাশে নজরে আসে ভোরের আলো ফোটার কিছু সময় আগে। তার পর সেটি ফ্লোরিডা প্যানহ্যান্ডলের কাছে মেক্সিকো উপসাগরে অবতরণ করে।
তবে চলে যাওয়ার আগে স্পেস স্টেশনে কিছু ‘উপহার’ রেখে আসতে ভোলেননি জ্যাসমিনরা। রকেটে ওঠার পর রেডিওবার্তায় বলেন, ‘‘আমরা তোমার জন্য একটু পিনাট বাটার আর তর্তিয়া রেখে এসেছি।’’ আসলে জ্যাসমিন-অ্যান্ড্রিয়াস-সাতোশি এবং কনস্ট্যানটিন স্পেস স্টেশন ছাড়লেও সেখানে এখনও রয়ে গিয়েছেন নাসার আরেক নভশ্চর লোরাল ও’হারা। তার জন্যই এই বার্তা। ও’হারা মহাশূনে্যর এখনও কয়েক সপ্তাহ কাটাবেন। তার পর রুশ সোয়ুজ ক্যাপসুলে চেপে ফিরবেন পৃথিবীতে। জ্যাসমিনদের বার্তা পেয়ে তার উত্তর, ‘‘তোমরা চলে গেলে। এখন থেকেই মিস করছি। উপহারের জন্য তোমাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’’
প্রসঙ্গত, ঘরে ফেরার আগে এক্স হ্যান্ডলে অ্যান্ড্রিয়াস একটি বার্তায় জানিয়েছিলেন, কুড়মু়ড়ে-মুচমুচে মশলাদার খাবারদাবার খেতে আর গাছে গাছে পাখিদের গান শোনার জন্য আর অপেক্ষার তর সইছে না তার।