মিশিগান প্রাইমারিতে জিতলেন বাইডেন ও ট্রাম্প, গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে ক্ষমতাসীন দলে
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে নিজ নিজ দলের প্রাইমারি নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাইমারি বা ককাস নির্বাচনগুলোকে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জয়ের মধ্য দিয়ে এই দুই নেতা চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ে লড়ার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন। তবে মিশিগান প্রাইমারিতে বাইডেনকে জয়ের জন্য বেশ বেগ পেতে হয়েছে। মূলত, গাজা ইস্যু বাইডেন প্রশাসন যেভাবে আচরণ করছে, তাতে অসন্তুষ্ট অঙ্গরাজ্যটির ভোটারেরা। বিপুলসংখ্যক ভোটার তাদের অবস্থানকে ‘অনিশ্চিত বা আনকমিটেড’ বলে কাস্ট করেছেন। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নৃশংস যুদ্ধের প্রতি তার সমর্থনের জন্য বাইডেন ক্ষুব্ধ ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে নিয়মিত প্রতিবাদের মুখে পড়ছেন। এডিসন রিসার্চ অনুমান করেছে, এর ফলে মিশিগানে বাইডেনের ভোট ক্রমবর্ধমান হারে কমছে।
বাইডেনের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার দলের আরেক প্রার্থী নিক্কি হ্যালির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। মিশিগানে হারলেও নিক্কি হ্যালি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিলেন। মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, মিশিগান অঙ্গরাজ্যে আরব দেশগুলো থেকে আসা নাগরিকদের সংখ্যা অনেক বেশি। তিন লাখ ১০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দার এ অঙ্গরাজ্যে যারা বসবাস করেন তাদের অধিকাংশের পূর্বপুরুষ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা। ফলে মিশিগানে বিপাকে পড়েছে বাইডেনের দল।
দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সরাসরি ভোটে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাইমারি বলে। সাধারণত রাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারি নির্বাচন হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে ৩৪ রাজ্য রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সাধারণ নির্বাচনের মতোই একজন প্রার্থী বিজয়ী হন। যে প্রার্থী বেশির ভাগ প্রাইমারি ও ককাসে বিজয়ী হন, দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন শেষ পর্যন্ত তিনিই পান। তবে সব রাজ্যে একই নিয়মে প্রাইমারি হয় না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চার ধরনের প্রাইমারি ব্যবস্থা আছে।