Bangladesh

অকল্পনীয় সম্পদ বৃদ্ধি মন্ত্রী-এমপিদের

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২০ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর আয় গত পাঁচ বছরে নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে। সর্বোচ্চ আয় বেড়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির– ২ হাজার ১৩১ শতাংশেরও বেশি। আর যার আয় সবচেয়ে কম বেড়েছে, তিনি হলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর, তাও ১৩২ শতাংশেরও বেশি। গত ১৫ বছরে আটজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সম্পদও সীমাহীনভাবে বেড়েছে। এতে শীর্ষে আছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। 

প্রার্থীদের মধ্যে শতকোটি টাকার চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক আছেন ১৮ জন। তাদের সবাই আওয়ামী লীগের কিংবা দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী। এদিক থেকে শীর্ষে আছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৩৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার। 

গতকাল বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র: জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে দেখা যায়, গত ১৫ বছরে অনেক মন্ত্রী-এমপির সম্পদ বৃদ্ধির চিত্র রূপকথার গল্পকেও হার মানিয়েছে। 

তবে টিআইবি বলছে, হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণী কতটা সঠিক এবং আয় ও সম্পদ বৈধ কিনা, তা যাচাই করে না নির্বাচন কমিশন, রাজস্ব বিভাগ কিংবা দুর্নীতি দমন কমিশন। আবার সম্পদের অর্জনকালীন যে মূল্য দেখানো হয়েছে, তা নিয়েও বড় রকমের প্রশ্ন রয়েছে। প্রার্থীরা তাদের অর্জিত সম্পদের কতটা দেখিয়েছেন অথবা বিদেশে সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে মন্ত্রী-এমপি প্রার্থীর সম্পদের যে চিত্র  তুলে ধরা হয়েছে, তা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। অবশ্য অনেক মন্ত্রী-এমপি-প্রার্থীর ঋণও রয়েছে। যেমন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএকে একরামুজ্জামানের ৪২১ কোটি টাকার সম্পদ থাকলেও তাঁর ঋণ ও দায় রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকার।  চারজন প্রার্থী রয়েছেন যাদের শত শত বিঘা জমি রয়েছে। অথচ বাংলাদেশের ভূমি আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা কৃষিজমি থাকার বিধান রয়েছে। 

প্রতিটি সংসদে পর্যায়ক্রমে রাজনীতিবিদের সংখ্যা কমছে। এবার প্রার্থীদের মধ্যে রাজনীতিবিদ আছেন ৩ শতাংশেরও কম। ব্যবসায়ী আছেন ৫৭ শতাংশেরও বেশি। 
সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রার্থীদের নিজের দেওয়া হলফনামায় সম্পদের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, বাস্তবে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। 
টিআইবির ট্রাস্টি মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, ‘বৈধ উপায়ে এত সম্পদ মানুষের বাড়ে কিনা, আমি জানি না। আমরা দেখছি কিছু মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়ে যাচ্ছে। আর কিছু মানুষ পেট ভরে খাওয়ার জন্য প্রতিদিন যুদ্ধ করছে। আমরা একটা অসম সমাজ তৈরি করছি। আমরা দ্রুত ধনী হওয়ার প্রতিযোগিতায় চলে যাচ্ছি। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি।’ 

আয় বৃদ্ধিতে শীর্ষে পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
গত পাঁচ বছরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির পর সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেকের। তাঁর বেড়েছে ২৭৫ শতাংশ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বেড়েছে ২২৮ শতাশ। ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের বেড়েছে ২২৭ শতাংশ। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বেড়েছে ২০৪ শতাংশ।
 
পাঁচ বছরে সম্পদ বৃদ্ধিতে শীর্ষে যারা

গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের– ১ হাজার ৬৩ শতাংশ। এরপর নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বেড়েছে ২৮৬ শতাংশ,  স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের ২৪২ শতাংশ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ২৪২ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ২৩৯ শতাংশ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের ১৯৬ শতাংশ, দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের ১৯৬ শতাংশ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ১৭৩ শতাংশ, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের ১৪০ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ১৩২ শতাংশ সম্পদ বেড়েছে। 

১৫ বছরে সম্পদ বৃদ্ধিতে শীর্ষে যারা
গত ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের– ৬ হাজার ৩৫০ শতাংশ। গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বেড়েছে ২ হাজার ৮৫৮ শতাংশ, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ২ হাজার ৭০৩ শতাংশ, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের ২ হাজার ১৭৯ শতাংশ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ৯৮২ শতাংশ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ৭৮৩ শতাংশ,  শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের ৪৯৩ শতাংশ এবং ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বেড়েছে ১২৯ শতাংশ। 

বছরে কোটি টাকা আয়ের প্রার্থী বাড়ছে
গত চারটি জাতীয় সংসদের চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বেশি আয়ের প্রার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বছরে কোটি টাকা আয় করেন এ রকম প্রার্থী ২০০৮ সালে ছিল ৪৩ জন, ২০১৩ সালে ৬২ জন এবং ২০১৮ সালে ১৪৩ জন। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৬৪ জন। 


১৮ প্রার্থী শতকোটি টাকার মালিক
এবার ১৮ জন প্রার্থী রয়েছেন, যারা শতকোটি টাকারও বেশি সম্পদের মালিক। এর মধ্যে ১০ জনই আওয়ামী লীগের। অন্য আটজনও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে শীর্ষ ১০ জন হলেন পর্যায়ক্রমে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের স্বতন্ত্র একরামুজ্জামান, ঢাকা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সালমান এফ রহমান, কুমিল্লা-৮ আসনের আওয়ামী লীগের আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, কুমিল্লা-৩ আসনের আওয়ামী লীগের ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের  স্বতন্ত্র দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামী লীগের আব্দুল মমিন মণ্ডল, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র গাজী গোলাম মর্তুজা, নরসিংদী-৩ আসনের স্বতন্ত্র সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। 

কৃষিজমির মালিকানায় শীর্ষ ১০
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের গোলাম কবির ভূঞার জমির পরিমাণ ৬৪৭ একর। বগুড়া-২ আসনের বিউটী বেগমের ৫৪৮ একর, ময়মনসিংহ-৪ আসনের মোহাম্মদ মোহিত উর রহমানের ১৯৫ একর, বাগেরহাট-৪ আসনের জামিল হোসাইনের ১১০ একর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের ফিরোজুর রহমানের ৮৩ একর, যশোর-১ আসনের শেখ আফিল উদ্দিনের ৬৮ একর, চট্টগ্রাম-২ আসনের হোসাইন মো. আবু তৈয়বের প্রায় ৭০ একর, ঢাকা-১৫ আসনের কামাল আহমেদ মুজদারের ৬১ একর, ভোলা-১ আসনের ছিদ্দিকুর রহমানের ৬০ একর ও সুনামগঞ্জ-২ আসনের চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের ৫১ একর। এর মধ্যে শেষের দু’জন জাসদ থেকে এবং অন্যরা আওয়ামী লীগ বা একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী।

অকৃষি জমিতে শীর্ষে যারা
জামালপুর-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাকির হোসেনের আছে ৮১৩ একর, নাটোর-৪ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আলাউদ্দিন মৃধার ৫৮২ একর, পিরোজপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দীন মহারাজের ৩৮১ একর, রাজবাড়ী-১ আসনে আওয়ামী লীগের কাজী কেরামত আলীর ১৮১ একর, সুমানগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তার ৯৫ একর, ঢাকা-১৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরীর ৬১ একর, ভোলা-২ আসনে জেপির মো. গজনবীর ৫৩ একর, নারায়ণণগঞ্জ-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির আবু হানিফ হৃদয়ের ৪৩ একর, বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ৫৮ একর, দিনাজপুর-৯ আসনের স্বতন্ত্র তরিকুল ইসলাম তারিকের সাড়ে ৩৬ একর অকৃষি জমি রয়েছে।     

দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুযায়ী, কৃষি ও অকৃষি মিলিয়ে কারও ১০০ বিঘার বেশি জমির মালিক হওয়ার  সুযোগ নেই। এর বেশি থাকলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। অতিরিক্ত জমি বাজেয়াপ্ত বা অধিগ্রহণ করতেও পারে সরকার। এই নিয়ম অনুযায়ী, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগদানও অনৈতিক বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়। 

১০ জনের আয় বেড়েছে অবিশ্বাস্য গতিতে
গত পাঁচ বছরে ১০ জন এমপির আয় অসম্ভব গতিতে বেড়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-২০ আসনের বেনজীর আহমদের আয় বেড়েছে ২ হাজার ২৩৮ শতাংশ, কুষ্টিয়া-১ আসনের সরওয়ার জাহানের ২ হাজার ২০০ শতাংশ, রংপুর-৪ আসনের টিপু মুনশির ২ হাজার ১৩১ শতাংশ, বগুড়া-২ আসনের শরিফুল ইসলাম জিন্নার ২ হাজার ৭৪ শতাংশ, নাটোর-১ আসনের শহিদুল ইললাম বকুলের ১ হাজার ৯৭২ শতাংশ, যশোর-১ আসনের শেখ আফিল উদ্দিনের ১ হাজার ৬০৮ শতাংশ, নওগাঁ-৩ আসনের ছলিম উদ্দীন তরফদারের ১ হাজার ৪৯৪ শতাংশ,  দিনাজপুর-৪ আসনের আবুল হাসান মাহমুদ আলীর ১ হাজার ১৮৭ শতাংশ, পাবনা-২ আসনের আহমেদ ফিরোজ কবিরের ১ হাজার ৬০ শতাংশ এবং যশোর-৩ আসনের কাজী নাবিল আহমেদের আয় ১ হাজার ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। 

১০ জনের স্ত্রী ও পরিবারও তাক লাগিয়েছে 
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিনের স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় বেড়েছে ২ হাজার ৪০৯ শতাংশ, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির পরিবারের ২ হাজার ১৩১ শতাংশ, ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারীর ১ হাজার ২৩০ শতাংশ, পটুয়াখালী-৪ আসনের মহিবুর রহমানের ৬৬৯ শতাংশ, ঢাকা-৩ আসনের নসরুল হামিদ বিপুর ৬২৭ শতাংশ, শরীয়তপুর-৩ আসনে নাহিম রাজ্জাকের ৫১১ শতাংশ, রাজশাহী-১ আসনের ওমর ফারুক চৌধুরীর ৪৯৯ শতাংশ, ঢাকা-২০ আসনের বেনজীর আহমদের ৩৪৪ শতাংশ, যশোর-৫ আসনের স্বপন ভট্টাচার্য্যের ২৭১ শতাংশ এবং নাটোর-১ আসনের শহিদুল ইসলাম বকুলের স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের আয় বেড়েছে ২৩৬ শতাংশ।
 

৫ বছরে কয়েক এমপির অস্থাবর সম্পত্তি বৃদ্ধির চিত্র
রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হকের অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৫ হাজার ৪৭০ শতাংশ, নোয়াখালী-৩ আসনের মামুনুর রশীদ কিরনের ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, নাটোর-১ আসনের শহিদুল ইসলাম বকুলের ১ হাজার ৯১৩ শতাংশ, খাগড়াছড়ির কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার ১ হাজার ৫৪ শতাংশ, পটুয়াখালী-৪ আসনের মহিববুর রহমানের ১ হাজার ২৪ শতাংশ, গাজীপুর-৫ আসনের মেহের আফরোজ চুমকির ৮২৭ শতাংশ, কুষ্টিয়া-১ আসনের আ ক ম সরওয়ার জাহানের ৫৭৪ শতাংশ,  ময়মনসিংহ-১১ আসনের কাজিম উদ্দিন আহম্মদের ৫৪৩ শতাংশ এবং যশোর-৫ আসনের স্বপন ভট্টাচার্য্যের ৪৮৬ শতাংশ। 

যেসব এমপির স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ব্যাপকহারে বেড়েছে
পাঁচ বছরের ব্যবধানে রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হকের স্ত্রী ও তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় বেড়েছে ৩৮ হাজার ৪৭৩ শতাংশ, বগুড়া-২ আসনের শরিফুল ইসলাম জিন্নার ৯ হাজার ৪৫১ শতাংশ,  সুনামগঞ্জ-৫ আসনের মহিবুর রহমান মানিকের ২ হাজার ৫৭৯ শতাংশ, পটুয়াখালী-৪ আসনের মহিববুর রহমানের ২ হাজার ৯৩ শতাংশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেনের ১ হাজার ৬২৪ শতাংশ,  কুষ্টিয়া-১ আসনের আ কা ম সরওয়ার জাহানের ১ হাজার ১৬২ শতাংশ, নওগাঁ-৩ আসনের ছলিম উদ্দীন তরফদারের ১ হাজার ১৯ শতাংশ, ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারীর ৯২০ শতাংশ, সাতক্ষীরা-১ আসনের মুস্তফা লুৎফুল্লাহর ৮৯৩ শতাংশ এবং রাজবাড়ী-১ আসনের কাজী কেরামত আলীর বেড়েছে ৮৭১ শতাংশ। 

আয় বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০ এমপি 
গত ১৫ বছরে সর্বোচ্চ আয় বেড়েছে পিরোজপুর-২ আসনের এমপি আনোয়ার হোসেনের– ৭ হাজার ১১৬ শতাংশ। এ সময়ে মাদারীপুর-১ আসনের নূর-ই আলম চৌধুরীর বেড়েছে ৫ হাজার ৬৯৬ শতাংশ, মাদারীপুর-২ আসনের শাজাহান খানের ৪ হাজার ৬৯৭ শতাংশ, নোয়াখালী-১ আসনের এইচ এম ইব্রাহিমের ৪ হাজার ২৯৬ শতাংশ, শেরপুর-২ আসনের মতিয়া চৌধুরীর বেড়েছে ৪ হাজার ১৩৫ শতাংশ,  নওগাঁ-১ আসনের সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৪ হাজার ১৩২ শতাংশ, জয়পুরহাট-২ আসনের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের ২ হাজার ৮৯৫ শতাংশ, বাগেরহাট-১ আসনের শেখ হেলাল উদ্দীনের ২ হাজার ৭৬৭ শতাংশ,  রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হকের ২ হাজার ৭৫৬ শতাংশ ও গাজীপুর-২ আসনের জাহিদ আহসান রাসেলের বেড়েছে ২ হাজার ৫৪৫ শতাংশ। 

১৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে শীর্ষে যারা
গত ১৫ বছরের ব্যবধানে অস্থাবর সম্পত্তি বৃদ্ধিতে শীর্ষে আছেন রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হক। তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৩ শতাংশ। এরপর পর্যায়ক্রমে মাদারীপুর-১ আসনের নূর আলম চৌধুরীর ৮ হাজার ৩২৪ শতাংশ, গাজীপুর-৫ আসনের মেহের আফরোজের ৭ হাজার ৬৯২ শতাংশ, নওগাঁ-১ আসনের সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৬ হাজার ৩৫০ শতাংশ, দিনাজপুর-৪ আসনের আবুল হাসান মাহমুদ আলীর ৬ হাজার ১৩৮ শতাংশ, ঢাকা-২ আসনের কামরুল ইসলামের ৫ হাজার ৩৯০ শতাংশ, কুষ্টিয়া-২ আসনের হাসানুল হক ইনুর ৪ হাজার ৭২৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম-৭ আসনের মোহাম্মদ হাছান মাহমুদের ৪ হাজার ৬৮৩ শতাংশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জিয়াউর রহমানের ৪ হাজার ৬৮২ শতাংশ ও ঢাকা-২০ আসনের বেনজীর আহমদের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৪ হাজার ১৯৭ শতাংশ।

ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে সংসদ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে মূল পেশা বিবেচনায় ব্যবসায়ী আছেন ৫৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ ছাড়া আইনজীবী আছেন ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, কৃষিজীবী ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ, চাকরিজীবী ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ, শিক্ষক ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ, রাজনীতিবিদ আছেন ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ২ দশমিক ৭১ শতাংশ, চিকিৎসক ২ দশমিক ১৯ শতাংশ, সাংবাদিক দশমিক ৮৩ শতাংশ, গৃহস্থালি দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং অন্যান্য ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। প্রার্থীদের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ খুবই কম– মাত্র ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। পুরুষ ৯৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। 

যুক্তরাজ্যে এক মন্ত্রীর ছয় কোম্পানি
‘নির্ভরযোগ্য’ তথ্যের বরাতে টিআইবি জানায়, বর্তমান মন্ত্রিসভায় এমন একজন সদস্য রয়েছেন, যাঁর যুক্তরাজ্যে ছয়টি কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানিতে তাঁর বিনিয়োগ ১৭ দশমিক ২০ কোটি পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। তবে টিআইবির হিসাবে, ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার সম্পদ তাঁর। তিনি সেখানে প্রথম কোম্পানি স্থাপন করেন ২০১০ সালে আর পঞ্চম ও ষষ্ঠ কোম্পানি ২০২১ সালে। ওই মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি টিআইবি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
Toto Gacor
bacan4d
bacansport login
slot gacor
pasaran togel resmi
bacan4d
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
slotgacor
bacan4d rtp
bacan4d
bacan4d toto
Slot Casino
bacan4d toto
slot gacor
bacan4d
bacan4d
Slot Toto
bacan4d
bacan4d login
totoslotgacor
slot gacor
TOTO GACOR
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
toto slot
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
Slot Gacor
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
xx1toto
bacansport
bacan4d
toto slot
situs toto
slot gacor
Toto Slot
slot maxwin
slot demo
bacan4d toto slot
bacan4d toto slot
bacan4d slot
bacan4d slot
bacan4d slot
bacansports
bacansports
bacansports
bacan4d slot
bacan4d slot
bacan4d
slot gacor
pasaran togel resmi
situs toto
bacan4d login
pasaran togel
pasaran togel
situs toto
bacan4d
bacan4d gacor
bacan4d slot
bacan4d rtp
bacan4d rtp
bacan4d slot gacor
toto slot
situs toto
bacan4d
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bandar togel
toto gacor Toto Gacor bacan4d slot toto casino slot slot gacor bacantoto totogacorslot Toto gacor bacan4d login slotgacor bacan4d bacan4d toto Slot Gacor toto 4d bacan4d toto slot bacan4d slot gacor