আইনাঙ্গনে সুবিধাভোগী সতর্ক অবস্থানে সরকার: মঞ্চে আসছে আরো ‘এমরান নাটক’?
মঞ্চে আসছে আরো ‘এমরান নাটক’। নাটকের স্ক্রিপ্ট রেডি। আগেই হয়ে গেছে ‘প্রপস’ সংগ্রহ পর্ব। কস্টিউম বদলাতে পর্দার পেছনে গ্রিনরুম এখন সসব্যব্যস্ত। মঞ্চায়নের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন কুশীলবরা। এখন একের পর এক পর্দা উন্মোচনের পালা।
যে ‘মঞ্চ নাটক’র কথা বলা হচ্ছে, এটির প্রযোজনা-প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো সংস্থা নয়। খোদ আইন ও বিচারাঙ্গণ। শুরুটা করেছেন সরকারি আইন কর্মকর্তা (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল) এমরান আহমেদ ভুইয়া। এখন অনেকে নিজ নিজ কৌশলে এক এক করে মঞ্চে নিয়ে আসবেন নিত্য নতুন ‘নাটক’। উদ্দেশ্য-অন্য কিছু নয়। ¯্রফে নিজ পরিবার-পরিজন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা। সহজ করে বলতে গেলে ‘পিঠ বাঁচানো’ বা ‘সেফ এক্সিট’। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতির নিরিখেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। এতে শুধু সরকারি আইনজীবী নন। এটি সংক্রমিত হতে পারে অন্যান্য সরকারপক্ষীয় আইনজীবী, এমনকি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মাঝেও। কারণ, গত দেড় দশকের উচ্ছিষ্টভোগী যারা, যাদের সমন্বিত সহযোগিতায় দেশের বিচার বিভাগ বর্তমান পর্যায়ে এসে ঠেকেছে তাদের অনেকেই এখন ভোল পাল্টানোর ছুতো খুঁজছেন। কেউ কেউ ভোল পাল্টাচ্ছেন অবসরে গিয়েও। সেমিনারে বক্তৃতা করছেন। কলাম লিখছেন। বিচার বিভাগের সমালোচনায় মুখর হচ্ছেন। চূড়ান্ত বিচারে যা সরাসরি সরকারের বিপক্ষেই যাচ্ছে। অথচ বিচারকের চেয়ারে থাকাকালে সরকারের জন্য কি করেননি তিনি? তারাই এখন ভোল পাল্টানোর অজুহাত খুঁজছেন। তবে এমরান নাটকের আর কোনো পর্ব যাতে মঞ্চস্থ হতে না পারে-এ বিষয়ে সরকার কঠোর ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।
আইনাঙ্গনের সূত্রগুলো জানিয়েছে, নোবেলজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলাচিঠি দেন ১০৪ জন নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের ১৭৫ ব্যক্তি। এর বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের অধিনস্থ উপ-আইন কর্মকর্তা (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল) এমরান আহমেদ ভুইয়া জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। আমি এই প্রতিবাদ লিপিতে স্বাক্ষর করব না। এ ঘটনার পর দিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, চিঠিতে সই না করার বক্তব্য দিয়ে এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এ কারণে এমরান আহমেদকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। বরখাস্তের চিঠি হাতে পেয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা ব্যক্ত করে সপরিবার আশ্রয় নেন বাংলাদেশস্থ মার্কিন দূতাবাসে। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
একই দিন (৪ সেপ্টেম্বর) আইনাঙ্গনে আরেকটি ঘটনা ঘটে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে (কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে) আইনি লড়াই না করার ঘোষণা দেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। তিনি একাধারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এরও আইনজীবী। সংস্থার পক্ষে অধিকাংশ মামলা পরচালনা করেন তিনি। খুরশীদ আলম খান পরে অবশ্য স্বীয় বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তার স্থলে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলীকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় নাকি তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেই লড়েছেন। তার এই ব্যাখ্যা সাধারণ মানুষ কতটা বিশ্বাস করেছে সেটি এখনও বিতর্কের বিষয়। কিন্তু মানুষের কাছে যে বার্তা পৌঁছে গেছে-তা হলো মার্কিন ভিসা নীতিতে বিচার বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ভেতর থেকে কাঁপন ধরিয়েছে আইন ও বিচারাঙ্গণকে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদের অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বিঘœ সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন বিচারক, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এমনকি আইনজীবীরাও। দেশ-বিদেশে তাদের সম্পদ রয়েছে। সন্তানাদি পড়াশুনা করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে। মার্কিন ভিসা নীতিতে তাদেরকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিঘিœত করতে পারে দেশীয় নিরাপত্তাও। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত এই আশঙ্কা থেকেই তাদের বর্তমান উপলব্ধি।
সূত্র জানায়, বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তারা কঠিন বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিসে প্রবেশ করেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অতীত-বর্তমান, পারিবারিক ইতিহাস, পরিবারের সদস্য-স্বজনদের রাজনৈতিক মতাদর্শের বিষয়েও ব্যাপক খোঁজ-খবর নেয়া হয়। এমন অভিযোগও রয়েছে, জুডিশিয়াল সার্ভিসে চাকরি লাভের ক্ষেত্রে সবচেয়ে যাচাই-বাছাইয়ের মুখে পড়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর রাজনৈতিক আদর্শ ও বিশ্বাস এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের (সরকার) প্রতি সদা আনুকূল্যের বিষয়টি। সন্দেহাতীত আনুকূল্য নিশ্চিত না করে কারও পক্ষে নিয়োগ লাভ সম্ভব নয়। ফলাফলে মামলার বস্তুনিষ্ঠতা ও বিচার্য বিষয় নিয়ে যতই প্রশ্ন থাক-রাজনৈতিক ব্যক্তি সংশ্লিষ্টতার মামলার রায় সরকারের প্রতিকূলে গিয়েছে-এমন নজির কম। বিগত দেড় দশকে প্রায় সব বিচারককেই হয়রানিমূলক মামলার রায়ে স্বীয় আনুগত্য বজায় রাখতে দেখা গেছে। বিচারক মোতাহার হোসেন ও তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (বর্তমানে মৃত) এবং তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)র পরিণতি এই আনুগত্যকে আরো সুনিশ্চিত করে।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন আদালতে ২২৪ জন বিচারক নিয়োগ দিয়েছে। বর্তমানে বিচারক সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ২শ’ বিচারক সরকারেরই বিভিন্ন দফতরে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। বিদ্যমান মামলা জট নিরসনে আরো অন্তত ৫ হাজার বিচারক নিয়োগের প্রস্তাবনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেততৃত্বাধীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে সিনিয়র পোস্টে যেসব বিচারক ছিলেন তাদের অধিকাংশই এখন অবসরে। এদের মধ্যে কেউ কেউ ‘পুরষ্কার স্বরূপ’ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ পেয়েছেন। বর্তমান সরকার আমলে নিয়োগপ্রাপ্তদের হাতেই এখন অধিকাংশ রাজনৈতিক মামলার বিচারের ভার।
গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মী রয়েছেন ৫০ লাখের মতো। এর মধ্যে ২৫ লাখের বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা। এখন মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম চলছে সুপারসনিক গতিতে। আগামি নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই গতি লাভ করেছে বিচার। মামলা দায়েরের পর ১৪/১৫ বছর মামলাগুলো পড়েছিল। যেখানে যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থা থেকেই মামলাগুলো সক্রিয় করা হয়েছে। এরই মধ্যে আলোচিত কয়েকটি মামলার রায়ে সরকারবিরোধীদের কারাদ- হয়েছে। এমন রায় প্রত্যাখ্যান করে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’ এটিকে ‘ফরমায়েশি রায়’ আখ্যা দিয়েছে। বিভিন্ন আদালতে এখন বহু মামলা নিষ্পত্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এগিয়ে আসার গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তির গতিকে নিছক ‘কাকতালীয়’ হিসেবে মানতে নারাজ বিচারাঙ্গনের মানুষ। কারণ ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালে বহু বিতর্কিত নির্বাচনের আগেও এই হারে মামলা নিষ্পত্তির হিড়িক প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল। সরকারের আকাক্সক্ষার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিচার বিভাগীয় তৎপরতা এখনও জ্বাজ্জল্যমান। মার্কিন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করার এটিই বড় কারণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
‘বিচার বিভাগ’ বলতে শুধু বিচারকদেরকেই বোঝানো হয় না। ‘বেঞ্চ ও বার’র সমন্বয়ই হচ্ছে বিচার বিভাগ। বিচার প্রক্রিয়ায় একটি পক্ষ হচ্ছে সরকার তথা রাষ্ট্র। বিচারিক আদালতে সরকার পক্ষে আইনি লড়াই করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি), অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর, গভমেন্ট প্লিডার (জিপি), এজিপি। রাষ্ট্রকে যাতে কোনো আইনি জটিলতায় পড়তে না হয় এ লক্ষে কাজ করেন সলিসিটর। তিনি রাষ্ট্র প্রধানকে আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে তাকে আদালতে দাঁড়িয়ে সরকারের পক্ষে আইনি লড়াই চালাতে হয় না। পক্ষান্তরে সরকার নিযুক্ত প্রধান আইন কর্মকর্তা হচ্ছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সাংবিধানিক এ পদটিতে নিয়োগ দেয়া হয় সরকারের পক্ষে আদালতে আইনি লড়াই করার জন্য। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসটি পরিচালিত হয় তার তত্ত্বাবধানে। তার অধীনে সরকারের পক্ষে কাজ করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলগণ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলগণ। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর, রাজউক, সিটি করপোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানের থাকে নিজস্ব আইনজীবী। বিচার প্রক্রিয়ায় তারাও প্রতিষ্ঠান তথা সরকারের পক্ষেই আইনি লড়াই করেন।
বলাবাহুল্য, সলিসিটর থেকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পর্যন্ত নিয়োগ দেয়া হয় সরকারের প্রতি আনুগত্যের মানদ-ে। পাবলিক প্রসিকিউটর এবং অ্যাটর্নি জেনারেল দফতরে কোনো স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস নেই। এটিকে রেখে দেয়া হয়েছে দলীয় কর্মী পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে। আইনকর্মকর্তার পদগুলোর সংখ্যা এবং মেয়াদকাল অনির্ধারিত। দীর্ঘকাল ধরে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে দলীয় আনুগত্যের বিচারে নিয়োগ বাগিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের সুযোগ রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র স্বার্থ রক্ষার আড়ালে নিশ্চিত করছেন ব্যক্তি স্বার্থ। ফলে সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তার টিমে ভিন্নমত কিংবা সরকারবিরোধী কেউ নিয়োগ পেতে পারেন-এটি প্রায় অবিশ্বাস্য। গত দেড় দশক প্রবল আনুগত্য প্রদর্শনকারী এই আইন কর্মকর্তাদের হঠাৎ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠার ঘটনা বিরাট তাৎপর্যবহ বলে মনে করছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক। তারা মনে করছেন, পক্ষত্যাগের এটিই মোক্ষম সময়।
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ মো. মঈদুল ইসলাম মনে করেন, এ মুহূর্তে এমনটি ঘটনা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। বিচার বিভাগের বিষয়টি অনেকটা অর্কেস্ট্রার মতো। রাষ্ট্রের সবগুলো স্তম্ভ একই টিউনে বাজছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে জুডিশিয়ারিও সেই অর্কেস্ট্রায় সুর মেলাচ্ছে। এমনটি রাজনীতির ক্ষেত্রে কালে কালে দেখা গেছে। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও আমরা দেখেছি। প্রথম কোনো কোর্ট জামিন দিতে চাননি। যখন পরিবেশ-পরিস্থিতি সরকারের বিপক্ষে চলে যাচ্ছিলো-তখন কোর্টগুলো জামিন দেয়া শুরু করে। কখনো জামিন দেয়া আবার কখনো না দেয়ার পক্ষে কোর্টগুলোর শক্ত অবস্থান আদালতকেই নিতে দেখা গেছে। আদালতের বাইরের পরিবেশ-পরিস্থিতি যদি না থাকে তখন আদালত থেকে ন্যায় বিচার লাভ দুরাশা মাত্র। শুধু জুডিশিয়ারি নয়। পুরো দেশেই ভয়ের শাসন কায়েম হয়েছে। এ কারণে পরিবেশের অনুকূলেই সবাইকে চলতে দেখা যাচ্ছে। অর্কেস্ট্রার মতো সমস্বরেই সবকিছুকে বাজতে দেখা যাচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত এই জেলা জজ বলেন, যখন রেজিম পরিবর্তন ঘনিয়ে আসে তখন এমনটি ঘটনার নজির বহু রয়েছে। রাজনীতিতে যেমন দল বদল হয়। তদ্রুপ বিচার বিভাগেও দেখা যায়, যারা প্রশ্নহীন আনুগত্যের সঙ্গে সরকারের পক্ষে মুখর থাকেন, তারাই আবার যখন অবস্থা খারাপ দেখেন-সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেন।