আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জমি ফিরিয়ে দেবে তালেবান
এবার হিন্দু ও শিখ সংখ্যালঘুদের ব্যক্তিগত জমি ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করল আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে যে সমস্ত হিন্দু ও শিখ সংখ্যালঘুরা থাকেন, তাদের অনেকেরই জমি পূর্বতন পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের শাসনকালে জবরদখল করে নেয়া হয়েছিল। সেই জমিই ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তালেবান সরকার।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ভারত-আফগানিস্তান সরকারের সম্পর্কে অবনতি হয়। ভারত এখনও অবধি তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। সম্প্রতিই ভারতে দূতাবাসও বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তান। তবে তারপরেও হিন্দুদের অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছে তালেবান।
তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে বসবাসকারী ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা দীর্ঘদিন ধরে যে অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছেন, তাদের নিজেদের ঠিকানা থেকে বিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের জন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন জানিয়েছেন, আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগের সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন যাদের জমি-সম্পত্তি দখল করে নেয়া হয়েছিল, তাদের সেই জমি ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ভারত সরকারের তরফে এই উদ্যোগকে ইতিবাচক বলেই জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের জনসংখ্যার ১ শতাংশ হিন্দু ও শিখরা। তবে ১৯৭০ ও ৮০-র দশকে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে তাদের উৎখাত করা হয়।
আফগানিস্তানের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর সে দেশে বসবাসকারী বহু হিন্দু ও শিখরা পালিয়ে যান। এদের মধ্যে একজন ছিলেন আফগান সংসদের সদস্য নরেন্দর সিং খালসা। ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানে তাকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল। প্রথমে তিনি দিল্লিতে আশ্রয় পান। এরপর কানাডায় চলে যান। সম্প্রতিই তিনি ফের আফগানিস্তানে ফিরে আসেন।