আসছে ভয়াবহ লোডশেডিং
বিদ্যুৎ খাতে বহুমুখী সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জের সময় গ্রীষ্ম, রমজান, সেচ মওসুম নগদ টাকা-ডলার সঙ্কটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পর্যাপ্ত গ্যাস, কয়লা, জ্বালানি তেল আমদানি ব্যাহত : চাহিদার ন্যূনতম সরবরাহ অনিশ্চিত : এবার গ্রীষ্মকালীন পিক আওয়ারে চাহিদা ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট : উৎপাদনক্ষমতা থাকলেও অর্ধেক অলস বসিয়ে ভাড়া পরিশোধ ছাড়া উপায় নেই : বিদ্যুতের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা ভোক্তা সাধারণ : আগামী সপ্তাহেই উচ্চ তাপমাত্রা, অনাবৃষ্টি-খরার পূর্বাভাস “অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্য, জীবনযাত্রাসহ সর্বক্ষেত্রে মানুষের কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়েই যাবে। পাতে খাবার অর্ধেকে আনতে হবে। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসিয়ে রেখেও সিঙ্গাপুরে বসে ক্যাপাসিটি চার্জ গুণবেন। সরকারের কোন ক্ষেত্রেই জবাবদিহিতা ও জনগণের প্রতি দায়বোধ নেই। অসহায় মানুষ কার কাছে যাবে?” :বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. আবুল কালাম আযাদ
নগদ টাকা নেই। নেই ডলার। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেল আমদানির পর্যাপ্ত ব্যয় মেটানোর আর্থিক সামর্থ্য নেই। বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোসহ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপুল অঙ্কের বকেয়া পাওনা নগদ টাকায় এবং ডলারে পরিশোধ অনিশ্চিত। এর ফলে দেশে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন জোগান এমনকি চাহিদা অনুপাতে ন্যূনতম সরবরাহ অনিশ্চিত। সবে চৈত্র মাস শুরু হয়েছে। তার মানে বসন্ত ঋতুর ঠিক মাঝামাঝি। পঞ্জিকার হিসাবে গ্রীষ্মকাল আসতে আরও এক মাস বাকি। তবে তার আগেই সারা দেশে চলছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। শহর-নগর, গ্রাম-জনপদ, শিল্পাঞ্চল, সেচ ব্যবস্থা, কৃষি-খামার, হাটবাজার-গঞ্জ সর্বত্র অর্থনৈতিক কর্মকা- থেকে শুরু করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের সাথে চলছে বিদ্যুতের নানামুখী বিভ্রাট, ভেল্কিবাজি, যান্ত্রিক ও কারিগরি সমস্যা। শহরের চেয়ে গ্রামের অবস্থা দুর্বিষহ। এরই মাঝে মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের অগ্নিমূল্যের সাথেই ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘায়ের’ মতো বিদ্যুতের আরেক দফায় মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা ভোক্তা সাধারণ। যার মানে দাঁড়াচ্ছে, যখন মানুষের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন তখন বিদ্যুৎ সরবরাহের কোন উন্নতি না হয়ে বরং অবনতি হলেও বেশিহারে বিল গুনতে হচ্ছে।
চৈত্র মাস শুরু হতেই কাঠফাটা রোদের তেজ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর ছাড়িয়ে গেছে। ন্যূনতম ‘স্বাভাবিক’ চৈতালী হালকা বৃষ্টিরও দেখা নেই। আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহেই উচ্চ তাপমাত্রায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে। অনাবৃষ্টি-খরার আলামত তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বহুমুখী সমস্যা-সঙ্কট বিশেষ করে নগদ টাকা ও ডলার সঙ্কটের মধ্যেই মাহে রমজান, বোরো-ইরি সেচ মওসুম এবং অত্যাসন্ন গ্রীষ্মকাল ঘিরে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের সময়ে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। গত দুই বছরের গ্রীষ্ম মওসুমের চেয়েও ভয়াবহ লোডশেডিং বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশে সাধারণত মার্চ মাস থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে। মাঝখানে বর্ষায় জুন-জুলাইয়ে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা হয় এপ্রিল মাসে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় গ্রীষ্ম, রমজান মাস ও সেচ মওসুম। এ সময়ে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যায়। এরই মধ্যে গেল ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। এখন মাহে রমজান ও সেচ মওসুম চলছে একই সঙ্গে। এ অবস্থায় রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সারা দেশে শীতকাল না যেতেই লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়েই চলেছে। গ্রাম-গঞ্জের অবস্থা এখনই নাজুক। রোজাদারদের কষ্ট-দুর্ভোগ সীমাহীন। এদিকে বিদ্যুতের চাহিদার যে পূর্বাভাস বিদ্যুৎ বিভাগ দিয়ে থাকে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে না। যার কারণ মূলত নগদ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা তথা ডলার উভয়েরই সঙ্কটে ক্রমাগত নিপতিত বিদ্যুৎ খাত। এতে করে এ বছরও ঘন ঘন এবং দিন দিন বর্ধিত মাত্রায় লোডশেডিংয়ের শিকার হবে জনজীবন ও বিদ্যুৎ-নির্ভর ক্ষুদ্রশিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ উৎপাদনব্যবস্থা। নিত্যপণ্যের দামেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানায়, এবার গ্রীষ্মকালীন পিক আওয়ারে ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট প্রাক্কলিত সর্বোচ্চ চাহিদার বিপরীতে দৈনিক ১৭ হাজার ৩০০ মে.ও. পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই লক্ষ্য অর্জন নির্ভর করছে আমদানিকৃত গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত সরবরাহের উপর। যা সরকার ডলার সঙ্কটের কারণে নিশ্চিত করতে পারছে না। দেশে এখন পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় গত বছর ১৯ এপ্রিলে ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। অন্যদিকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পর্যাপ্ত জ্বালানি আমদানি ব্যয় মেটানোর ক্ষেত্রে ঝুঁকির পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে চাহিদা কম থাকায় দিনে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ হাজার মে.ও. বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। লোডশেডিং হচ্ছে অন্তত ৭শ’ থেকে ৮শ’ মে.ও.। সেই সাথে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ভেল্কিবাজি তথা কারিগরি সমস্যা-ত্রুটিজনিত বিদ্যুতহীন অবস্থার কোন হিসাব নেই।
‘উৎপাদন সক্ষমতা’র অর্ধেকই অলস! : দেশে গতবছর বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ২২ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট। বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার ৪৮১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভাজন হচ্ছেÑ গ্যাস থেকে ১০ হাজার ৭১২ মে.ও. (যা মোট উৎপাদন ক্ষমতার ৪২ শতাংশ), ফার্নেস অয়েল থেকে ৬ হাজার ১৯১ মে.ও. (২৪ শতাংশ), কয়লা থেকে ৪ হাজার ৪১১ মে.ও. (১৭ শতাংশ), আমদানিকৃত বিদ্যুৎ ২ হাজার ৬৫৬ মে.ও. (১১ শতাংশ), ডিজেল ৮২২ মে.ও. (৩ শতাংশ) এবং নবায়নযোগ্য ৬৮৯ মে.ও. (৩ শতাংশ)। তবে গত বছরের মতোই এবারও উৎপাদন সক্ষমতার বড়সড় একটি অংশ অলস বসিয়ে রাখার শঙ্কা তৈরি হয়েছে জ্বালানির অভাবে। গেল বছর গড়ে ২৫ শতাংশ সক্ষমতা বসে ছিল পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ চাহিদার সময়েও। এর বাইরে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়মিত বন্ধ রাখা হয় আরো ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সক্ষমতা।
তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু থাকুক বা বন্ধ থাকুক, চুক্তি অনুসারে সব কেন্দ্রকে ভাড়া পরিশোধ করতে হয় ‘ক্যাপাসিটি চার্জে’র নামে। গত অর্থবছরে পিডিবি ২৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া পরিশোধ বাবদ। এবছর তা আরও বেড়ে যাবে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি বলেছে, গত বছর ৪১ শতাংশ উৎপাদন সক্ষমতা অলস বসে ছিল। এ বছরও বিদ্যুতে উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় অর্ধেক অলস বসিয়ে রাখা ছাড়া উপায় থাকবে না!
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন সক্ষমতার কোন ঘাটতি নেই। কিন্তু ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও জ্বালানি তেলের (ডিজেল, ফার্নেস অয়েল) সরবরাহে। চাহিদামতো জ্বালানি না পাওয়ায় গত দুই বছর গ্রীষ্মকালে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে দেশ। জ্বালানির অভাবের কারণ ডলার সঙ্কট। এবারও জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি; বরং প্রকট হয়ে উঠছে। কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় উৎস গ্যাস। বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ২৩২ কোটি ঘনফুট। গত বছর সর্বোচ্চ ১৩০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ করা সম্ভব হয়। বর্তমানে সরবরাহ করা হচ্ছে ৮৫ কোটি ঘনফুট। এবার গ্রীষ্মকালে দৈনিক অন্তত ১৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস চায় পিডিবি। তবে গ্যাস সরবরাহ গত বছরের চেয়ে বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। এবার গ্যাসভিত্তিক সর্বোচ্চ সাড়ে ৬ হাজার মে.ও. বিদ্যুৎ মিলতে পারে। অথচ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ১১ হাজার মে.ও.। অন্যদিকে ডলার সঙ্কটে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ¦ালানি তেল ও কয়লা আমদানিতে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। সেই সাথে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহের বকেয়ার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।
দেশের প্রায় সব কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রেরই বিল বকেয়া। পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল বকেয়া প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মাসিক বিল গড়ে ৮ থেকে ৯ কোটি ডলার। এর মধ্যে অনিয়মিত বিল পরিশোধের কারণে তাদের বিল বকেয়া পড়েছে ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি। বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, বন্ড ইস্যুর পরও মাসের পর বিল বকেয়া রয়েছে। আর বকেয়া বাড়ানো যাবে না, প্রতি মাসে বিল পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া ডলার সঙ্কট নিরসন করা না হলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি গত বছরের চেয়েও নাজুক হতে পারে।
বিদ্যুৎ খাতের চলমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক চবি প্রফেসর ড. আবুল কালাম আযাদ গতকাল বলেন, গ্রীষ্মকাল না আসতেই যেভাবে লোডশেডিং হচ্ছে সামনে তা আরও তীব্র হবে। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্য আরো বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত, জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাবসহ সর্বক্ষেত্রে মানুষের কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়েই যাবে। শতভাগ সেচ-নির্ভর ইরি-বোরোর সেচকাজ মারাত্মক ব্যাহত হবে। রোজাদারদের কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তার উপর ভোক্তা পর্যায়ে আবার বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের মূল্য। মানুষের পাতে খাবার অর্ধেকে আনতে হবে। অন্যদিকে বড় বড় বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা অর্ধেক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখেও সিঙ্গাপুরে বসে ক্যাপাসিটি চার্জ গুণছেন। এ সরকারের যেখানে কোন ক্ষেত্রেই জবাবদিহিতা ও জনগণের প্রতি দায়বোধ নেই, সেখানে মানুষ কার কাছে যাবে? পরিস্থিতির কাছে অসহায় হওয়া ছাড়া কী উপায় গণমানুষের?
অনাবৃষ্টি ও তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস : দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় জানানো হয়, চলতি মার্চ মাসের শেষের দিকে (চৈত্র-বৈশাখ) দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে এক থেকে দু’টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সে.) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত দেশে তিন থেকে ৫টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ সময়ে দেশের স্থানভেদে ৪ থেকে ৮ দিন পর্যন্ত বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এবং প্রবল কালবৈশাখী ঝড় সংঘটিত হতে পারে। সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি তথা অনাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গেল ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে ৩৬ শতাংশ এবং জানুয়ারি মাসে প্রায় ১৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এহেন উচ্চ তাপমাত্রা, অনাবৃষ্টি, খরতাপের আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রেক্ষাপটে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি এবং ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।