International

ইয়েমেনে হুতিদের ৩৬ লক্ষ্যবস্তুতে হামলার কারণ জানাল যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য

ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫ লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পর এবার ইয়েমেনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শনিবার রাতে ইয়েমেনের ১৩টি জায়গায় ইরান–সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।

হামলার কারণ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তিনি  বলেছেন, ইরান–সমর্থিত হুতিদের বেপরোয়া ও অস্থিতিশীল হামলার ক্ষমতা খর্ব ও ব্যাহত করাই এই হামলার উদ্দেশ্য।

এক বিবৃতিতে অস্টিন আরও বলেছেন, যৌথ বাহিনী হুতিদের ভূগর্ভস্থ অস্ত্র মজুতের স্থান, ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও রাডার রয়েছে, এমন ১৩টি স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

তবে অস্টিন বা যৌথ বাহিনীর বিবৃতিতে কোন কোন জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। হুতিদের আল-মাসিরাহ টিভি বলছে, সানা ও অন্যান্য স্থান ছিল হামলার লক্ষ্যস্থল।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রয়াল এয়ার ফোর্স টাইফুন হামলা ও শত্রুপক্ষের অবস্থান জানার উদ্দেশ্যে ড্রোন পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়, এমন দুটি স্থান লক্ষ্য করে হামলা করেছে।

গতকাল মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, হুতিদের ছয়টি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে হামলা চালানো হয়েছে। লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার উদ্দেশ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে মার্কিন বাহিনী। গতকাল মার্কিন বাহিনী আরও বলেছে, এক দিন আগে ইয়েমেনের কাছে তাঁরা আটটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

হুতিদের মুখপাত্র নাসর আল দিন আমের গতকালের হামলার পর বলেছেন, ‘হয় আমাদের, ফিলিস্তিন ও গাজায় শান্তি থাকবে, নয়তো আমাদের অঞ্চলে তোমাদের জন্য কোনো শান্তি ও নিরাপত্তা থাকবে না।’

হুতিরা গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ ও গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশে এসব হামলা চালাচ্ছে তারা।

মূলত লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী পণ্যবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশ দুটি হুতি বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

গত ২৮ জানুয়ারি জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহতের ঘটনার জবাবে ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স’ নামের ইরাকের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button