Hot

টার্নিং পয়েন্ট জুলাই

মার্কিন চার কর্মকর্তা-ইইউ প্রতিনিধির ঢাকা সফরে সবার নজর বিদেশিদের ঢাকা সফর নিয়ে রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সুশীলসমাজ, গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সর্বত্রই আলোচনা, নির্বাচন প্রক্রিয়া কোন পথে?

দেশের গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটের অধিকার যেন বিদেশিদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার ২০ বছর পর ১৯৯১ সালে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এলেও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ‘ছকেবাঁধা’ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সে গণতন্ত্র কালোমেঘে ঢাকা পড়ে গেছে। এখন জাতিসংঘ, দাতা দেশ, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলো চায় বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক তথা ভোট দেয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিতে। চায় মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো দুই-তিন বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ‘নতুন ভিসা নীতি’ ঘোষণা করেছে। ক্ষমতাসীন সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও কর্তা ব্যক্তিদের ওয়াশিংটনে ডেকে নিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে’ জানিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা বিগত দুই বছর ধরে দফায় দফায় ঢাকা সফর করে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছেন। ঢাকায় কর্মরত রাষ্ট্রদূতরা নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল সংবিধানের দোহাই দিয়ে ফের ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করার পায়তাঁরা করছে। আর মাঠের বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিএনপি জানিয়ে দিয়েছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এবং দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের চেষ্টা হলে প্রতিহত করা হবে। নির্বাচনের আর মাত্র ৬ মাস বাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। এর মধ্যেই চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি প্রতিনিধি দল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দু’টি প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে আসছেন। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঢাকায় এসে কি করবেন, কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, কি কথাবার্তা বলবেন, সংলাপের আয়োজন করবেন, আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পাবেন নাকি ফের ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো পাতানো নির্বাচনের দিকে দেশ এগিয়ে যাবে তা দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ। সর্বত্রই আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক চলছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা কি বার্তা দেবেন? আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে কি আলোচনার টেবিলে আনতে পারবেন? ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাই বা কোন ধরনের বার্তা নিয়ে ফিরে যাবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিসেম্বরের শেষ বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সাপ্তাহে ভোটের আয়োজন হলে নির্বাচনের প্রস্তুতি এখনোই শুরু করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সময় একেবারেই নেই। ফলে জুলাই মাসে মার্কিন প্রতিনিধিদের ঢাকা সফর নির্বাচনের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।

গতকালও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতা দখলে বেপোয়ারা বিএনপি বিদেশি প্রভুদের করুণা লাভের আশায় মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। বিদেশি প্রভুরা নির্বাচন নিয়ে কী বলবে, সেদিকে বিএনপি মুখিয়ে থাকে। ক্রমাগতভাবে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে দেশের জনগণের ওপর বিএনপি বিশ্বাস হারিয়েছে। বিদেশি প্রভুদের দ্বারা মদদপুষ্ট হয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করছে। আর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবেই না। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। গত দুই নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গেছে, বাংলাদেশ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আগামী সপ্তাহে একটি বিশেষজ্ঞ দল আসবে। ওই দলের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলাপ-আলোচনা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের চাপ বাড়ছে। উন্নয়ন সহযোগী দেশ, সংস্থাগুলো জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর উন্নয়ন সহযোগীরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না, ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। সে কারণে তারা চাচ্ছেন সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও পেশাজীবীদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন। এ লক্ষ্যে সরকারের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন। কখনো বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীদের ডেকে নিয়ে নিজেদের প্রতাশা জানাচ্ছেন; কখনো ঢাকা সফর করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী-সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করে বক্তব্য দিচ্ছেন, পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা যেভাবে পর্যায়ক্রমে ঢাকা সফর করেছেন বিগত ৩০ বছরেও এমনটা দেখা যায়নি। চলতি জুলাই মাসেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪টি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবেন। তারা আসন্ন নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন ইস্যু এবং মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ প্রতিনিধিদের ঢাকা সফর নিয়ে সর্বত্রই চলছে আলোচনা। রাজনৈতিক অঙ্গ-সংঘঠন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যম এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে।

জানতে চাইলে গতকালও সচিবালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদের আসন্ন সফরকে স্বাগত জানাব। আমাদের লুকানোর কিছু নেই। আমি বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সময় কাটবে। বাংলাদেশ সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মার্কিন প্রতিনিধিদল নির্বাচনের বিষয়ে পরামর্শ দিলে ঢাকা স্বাগত জানাবে। নির্বাচনের বিষয়ে তাদের কোনো উজ্জ্বল ধারণা থাকলে আমরা তা পছন্দ করতে পারি। তবে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন সরকার নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে চায়; কিন্তু সেটা দেশের মানুষ বিশ্বাস করছে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও আওয়ামী লীগ নেতারা একই কথা বলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এই বাস্তবতা বুঝলেও তারা ‘সরকারের কথা বিশ্বাস করা যায় না’ কূটনৈতিক কারণে এমন বক্তব্য দিতে পারে না। সে কারণে তারা বার বার সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকমানের নির্বাচনের কথা বলছেন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রী ও দায়িত্বশীলরা যুক্তরাষ্ট্রের কথার মর্মবাণী বুঝতে পারলেও না বোঝার ভান করে রয়েছেন। সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ প্রতিনিধিরা ঘন ঘন ঢাকা সফর করছেন। আবার সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারে অধীনে নির্বাচনের কথা বলছেন। কিন্তু সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা লিখেছেন, বিচারপতি খায়রুল হকের যে রায়ের ওপর ভর করে জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে; সেই রায়ের রিভিউ হয়নি। ফলে সরকার সংবিধানের অধীনে থেকে নির্বাচন করতে চাইলে ওই রায়ের রিভিউ করে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে নিয়ে আসতে পারে। তখন সংবিধানের অধীনে নির্দলীয় সরকার গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড, বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ডোনাল্ড লু ঢাকা সফর করেন। উজরা জেয়া ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি রাজনীতিবিদ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে। উজরা জেয়া ফিরে যাওয়ার পর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজ ঢাকায় আসবেন। তিনি ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়ী পরিষদের বৈঠকে যোগ দেবেন।

এর মধ্যে পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি মূল্যায়নের জন্য ৯ জুলাই ইইউ’র ৬ সদস্যের স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় আসবেন। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন নির্বাচন বিষয়ে অভিজ্ঞ ইতালীয় নাগরিক রিকার্ডো চিলিলিয়ার। প্রতিনিধি দলটি দুই সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থান করে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। এই মিশনের সুপারিশের আলোকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। অনুসন্ধানী এই প্রতিনিধি দল প্রধানত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর যৌক্তিকতা, প্রয়োজনীয়তা এবং সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। তারা প্রধানত দু’টি বিষয়ের ওপর জোর দেবে। একটি হচ্ছে নির্বাচনের আগে এদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে নির্বাচনি কাঠামো। এসব বিষয় যাচাইয়ের জন্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সুপ্রিমকোর্ট, নির্বাচন কমিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ মধ্যেই ২৪ জুলাই থেকে কয়েক দিনের সফরে আসবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোর। তিনি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আইনমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন জানা গেছে।

গতকালও ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে। সকাল সাড়ে ১০ টায় ইইউ রাষ্ট্রদূতের গুলশানের বাসভবনে জি এম কাদের ও চার্লস হোয়াইটলির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ইইউ ডেপুটি রাষ্ট্রদূত বার্নড স্পেনিয়ার। অপরদিকে দুপুরের পর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চার্লস হোয়াইটলি আসেন এবং সেখানে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিসিএম স্প্যানিয়ার বার্ন্ড ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা সেবাস্টিয়ান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দু’টি প্রতিনিধি দলের আসন্ন ঢাকা সফর নিয়ে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি মূল্যায়নের জন্য ইইউর স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দলটি ঢাকা সফরে আসছে। তারা ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। এখানে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি দলটির সদস্যরা দেখবেন। পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে তাদের মতামত ইইউর সিনিয়র প্রতিনিধি জোসেফ বোরেলের কাছে জমা দেবেন। ওই মূল্যায়নের ভিত্তিতে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউ মিশন পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জোসেফ বোরেল।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor