USA

ট্রাম্প না বাইডেন : কার ভোট নষ্ট করবেন কেনেডি জুনিয়র?

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও খুব বিখ্যাত একটি পরিবারের স্বতন্ত্র এক ব্যক্তি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্সিয়াল দৌড়ে শামিল হয়েছেন। তিনি সম্ভাব্য প্রধান দলের মনোনীত প্রার্থীদের প্রতি অসন্তুষ্ট আমেরিকানদের সমর্থনও পাচ্ছেন।

৭০ বছর বয়সী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র নিউইয়র্কের সাবেক সেনেটর ও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের ছেলে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা। তিনি একজন পরিবেশবিষয়ক অ্যাটর্নি এবং সম্ভাব্য ভ্যাকসিন সম্পর্কে ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলোকে সমর্থন করার জন্য বেশি পরিচিত।

চলতি সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, কেনেডি বেশ কয়েকটি সুইং স্টেটের ভোটারদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাচ্ছেন।

নেভাডায় ১৫ শতাংশ ভোটার বলেছেন তারা কেনেডিকে ভোট দেবেন, অ্যারিজোনায় ১৩ শতাংশ, মিশিগানে ১২ শতাংশ এবং নর্থ ক্যারোলাইনা ও উইসকনসিনে ১০ শতাংশ ভোটার কেনেডিকে ভোট দেবেন। কেনেডি জর্জিয়া এবং পেনসিলভানিয়ায় যথাক্রমে ৮ শতাংশ এবং ৭ শতাংশ ভোট পেতে পারেন।

কেনেডি নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীর ভোট কাটছেন কিনা তা নির্ধারণ করা এখন মুশকিল। জার্নালের জরিপে দেখা যাচ্ছে, তিনি দুই প্রার্থীরই ভোট কাটলেও ট্রাম্পের ভোট বেশি কাটছেন।

ভোটাররা তার সাথে এবং তার নীতিগত অবস্থানের সাথে আরও পরিচিত হওয়ার সাথে সাথে কেনেডির পক্ষে ভোটের পরিমাণও পরিবর্তিত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণকারী কেনেডি জুনিয়রের বয়স যখন মাত্র ১৪ বছর সে সময় ১৯৬৮ সালে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেনশিয়াল মনোনয়নের প্রচারণার সময় তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেবার নির্বাচনে কেনেডির জয়ের ব্যাপক সম্ভাবনা ছিল বলে মনে করা হয়। এর ঠিক পাঁচ বছর আগে কেনেডির চাচাকেও হত্যা করা হয়েছিল।

২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে কেনেডির নামটি আমেরিকানদের ক্রমবর্ধমান একটি আন্দোলনের সাথে বার বার উঠে আসতে থাকে। আন্দোলনকারীরা বিশ্বাস করে, ছোট বাচ্চাদের দেয়া অনেক সাধারণ ভ্যাকসিন অটিজমসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা এবং অন্যান্য সমস্যার কারণ।

কোভিড-১৯ মহামারীর সময় তার ভ্যাকসিনবিরোধী অবস্থান আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ওই সময় তিনি নিয়মিতই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতেন। তিনি জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ব্যাপক সমালোচক ছিলেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেনেডি অন্যান্য বেশ কয়েকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সরবরাহ করেছেন। প্রায়ই তিনি পর্দার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি তৈরির জন্য ব্যবসায়ী এবং বিলিয়নিয়ারদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button