Bangladesh

কূটনীতিকদের নিরাপত্তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনে আরো নিষেধাজ্ঞা, ঢাকায় সব দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়ে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কূটনীতিকদের সেফটি ও সিকিউরিটি  যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন অনুসারে যেকারো বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি জানতে চান, বাংলাদেশে চ্যানেল ২৪ টিভিকে একটি সাক্ষাৎকারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তা, শুধু তারই নয়, এমনকি বাংলাদেশে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার এ উদ্বেগের বৈধতা আছে, একেবারেই আছে। কারণ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা প্রত্যক্ষ করেছি।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি এই উদ্বেগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন?
তার এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বা এর কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই না। আমি এটা বলবো যে, অবশ্যই আমাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। ভিয়েনা কনভেনশন অব ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স অনুযায়ী, প্রতিটি দেশই সব কূটনৈতিক মিশনকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাধ্য। এর কোনো কর্মকর্তার ওপর হামলা প্রতিরোধে সব রকম কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য।

বিজ্ঞাপন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা আশা করবো, বাংলাদেশ সরকার আমাদেরসহ বিদেশি সব মিশন ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। 

তার কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, সরকারপন্থি মিডিয়া, যারা শাসকগোষ্ঠীকে ‘মনস্টার’ হতে সাহায্য করেছে, তারা সহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কি আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র? ঢাকায় দূতাবাস থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনারা মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে আরও ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা চিন্তা করছেন- আসলে ওইসব মিডিয়া হলো প্রপাগান্ডা মেশিন…। 
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা করছি না। পর্যালোচনা করবো এই মঞ্চ থেকে আমরা যা বলেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কর্তৃত্বের অধীনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য- যাকেই আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেয়ার জন্য দায়ী অথবা জড়িত মনে করবো তার বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২৪ শে মে আমরা ভিসা নীতি ঘোষণার সময় যেমন পরিষ্কার করেছি, তখন যেমন আমরা আমাদের পলিসি ঘোষণা করেছি, তাতে বলেছি সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা পলিসি ঘোষণার সময় বলেছি, যাকেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত বা জড়িত বলে আমরা মনে করবো, এমন যেকোনো বাংলাদেশির ওপর এই নীতি প্রয়োগ করা হবে। যখন আমরা বিশ্বাস করবো যথার্থ, তখনই অন্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আমরা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবো।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button