Bangladesh

দেশের অর্থনীতি বর্তমানে চার কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে

দেশের অর্থনীতি বর্তমানে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। চারটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংকট দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রিজার্ভ সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণপ্রাপ্তি কমে যাওয়া এবং ঋণ পরিশোধের চাপের কারণে অর্থনীতি এমন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে।

অর্থনীতিবিদদের শঙ্কা, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশকে আরও কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে সরকার দেশি-বিদেশি নানা চাপের মুখে রয়েছে। এর মধ্যে অর্থনীতির সংকট সরকারের জন্য আরও মারাত্মক চ্যালেঞ্জ বয়ে আনতে পারে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দুই বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ৫৫ শতাংশ। প্রতি মাসে প্রায় এক বিলিয়ন করে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

১৪ সেপ্টেম্বর দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছে ২১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (আইএমএফের হিসেবে)। তারও কয়েক দিন আগে এই রিজার্ভ নেমে এসেছিল ২১ দশমিক ৪৮ বিলিয়নে। ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ৩৯ বিলিয়ন। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে সর্বোচ্চ চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টকর হবে। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো দেশের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট (আর্থিক হিসাব) ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, সামনের দিনগুলোতে এক বিলিয়ন ডলারের ডেফার্ড এলসির (বিলম্বিত ঋণপত্র) দায় পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে এই অর্থের চেয়ে আরও বেশি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি ঋণ পরিশোধের চাপ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার ও সরকারি গ্যারান্টিতে পাওয়া বিদেশি ঋণের মধ্যে ৩১৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে ২৪৩ কোটি ডলার আসল ও সুদ বাবদ ৭৬ কোটি ডলার। অবশিষ্ট প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ করতে হবে বেসরকারি খাতকে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ শোধ করতে হবে ১৬২ কোটি ডলার।

বিদেশি মুদ্রার, বিশেষ করে ডলার সংকট সামাল দিতে আমদানিতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ডলার সংকটে টাকার দাম ধরে রাখতে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে অভিযান চলছে। ফলে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে বিদেশি মুদ্রার লেনদেন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। খোলাবাজারের পরিবর্তে ডলার এখন কেনাবেচা হচ্ছে কালোবাজারে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকেও তুলনামূলক কম ঋণ পাচ্ছে সরকার। শুধু বিদেশি ঋণই নয়, টাকায় ধার করাও সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তারল্য সংকটে থাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সরকারকে ধার দিতে না পারায় নতুন টাকা ছাপিয়ে ঋণ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক; অর্থাৎ ডলার সংকটের কারণে টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন, টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেওয়া ও আমদানি বিধিনিষেধ আরোপ করায় রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মুখে পড়েছে দেশ।

সর্বশেষ গত আগস্টে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ শতাংশে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, যা গত এক দশকে সর্বোচ্চ। দেশের রিজার্ভ যদি আরও কমে যায়, তাহলে সামনের দিনগুলোতে গাণিতিক হারে বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি, যেমনটা ঘটেছে শ্রীলঙ্কার বেলায়।

একদিকে বিপুল ঋণ পরিশোধের চাপ, অন্যদিকে ডলার সংকট। পর্যাপ্ত রিজার্ভ না থাকলে জরুরি খাদ্যপণ্য, জ্বালানি তেল, এলএনজি কিংবা কয়লার মতো গুরুত্বপূর্ণ আমদানির জন্য অর্থ সরবরাহ বা বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে সরকার। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলসির দায় পরিশোধের সময় বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে চাইলেও যেকোনো ঋণ পরিশোধের সময় বাড়াতে ঋণদাতারা রাজি হয় না। এর আগে বেসরকারি পর্যায়ের স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হলেও এখন অনেক আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান মেয়াদ বাড়াতে রাজি হচ্ছে না।

অবশ্য বিদেশি মুদ্রার এমন সংকটে শুধু বাংলাদেশই নেই, আরও অন্তত ৪০টি উন্নয়নশীল দেশ রয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যাদের রিজার্ভ ২৪ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ হারানোর তালিকায় রয়েছে বলিভিয়া। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটি ৮৮ শতাংশ রিজার্ভ হারিয়েছে। ওই সময়ে শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ কমেছিল প্রায় ৭৮ শতাংশ।

এসব দেশের এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করা হচ্ছে। দেশটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে নিয়মিতভাবে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে। এতে এক দিকে যেমন ডলার শক্তিশালী হয়েছে, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে বিশে^র প্রায় সব মুদ্রার পতন হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখতে। তবে ডলারের সংকট সরকারের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিচ্ছে। শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য নির্ধারণ করলেও এখন এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডকে (এবিবি), যারা ঘাটতির কারণে নিয়মিতভবে ডলারের দাম বাড়িয়ে চলেছে। আবার সংগঠন দুটি ডলারের যে দর নির্ধারণ করছে, তাদের সদস্য ব্যাংকগুলোই তা মানছে না। বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে বেশি মূল্যে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় দেশে আনছে, আবার তার চেয়েও বেশি দরে আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবেই প্রায় দেড় বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৩১ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অব্যাহত অবমূল্যায়নে আমদানি করা সব পণ্যের দাম বেড়ে গিয়ে মূল্যস্ফীতি উসকে দেয়। বাংলাদেশ ঠিক এমন পরিস্থিতির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও রিজার্ভের অব্যাহত পতন ঠেকাতে আমদানিতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রপ্তানি আয় দ্রুত নগদায়নের পাশাপাশি এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর বন্ধ করা হয়েছে।

প্রবাসী আয়ের পতনে বিদেশি মুদ্রা, বিশেষ করে ডলারের চাহিদা আরও তীব্র করে তুলেছে। গত বছরের আগস্টের চেয়ে চলতি বছর একই সময়ে প্রবাসী আয় ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে গেছে। গত বছর আগস্টে ছিল ২০৪ কোটি ডলার। চলতি বছর আগস্টে কমে দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি ডলার।

এদিকে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়নে বিদেশি বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে পুঁজিবাজারের বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের লোকসানের ঝুঁকির মুখে থাকেন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তারা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিজের দেশে ফিরিয়ে নেন। এটিকে ক্যাপিটাল ফ্লাইট বলা হয়। ক্যাপিটাল ফ্লাইট হলো রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, মুদ্রার অবমূল্যায়ন বা পুঁজি নিয়ন্ত্রণ আরোপের মতো ঘটনার কারণে একটি দেশ থেকে আর্থিক সম্পদ এবং মূলধনের একটি বড় আকারের বহির্গমন। বাংলাদেশে টাকার অবমূল্যায়নের শঙ্কায় ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে পুঁজিবাজার থেকে বিদেশিরা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এর পরিমাণ এক বছরে কিছুটা কমেছে। কারণ হলো পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করায় মৌলভিত্তির প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশিরা চাইলেও শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। তবে পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ আটকানো গেলেও বিদ্যমান পরিস্থিতি নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে।

ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশে ব্যবসা করা অনেক বিদেশি কোম্পানি তাদের মুনাফা বিদেশে অবস্থিত মূল কোম্পানিতে পাঠাতে পারছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর অনুমোদন দিচ্ছে না। এটিও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টের ক্ষেত্রে বাধা।

অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার হচ্ছে সুদের হার বাড়ানো, যেটির সফলতা বিশ্বের অধিকাংশ দেশ পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সেই পথে হাঁটেনি। আইএমএফের চাপে পড়ে সুদহার বাজারব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনার নামে যে পদ্ধতিটি চালু করেছে, তার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে সুদহার কার্যত তেমন একটা বাড়েনি। ফলে মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখছে না। বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিতে পারছে না। আর টাকার সরবরাহ বাড়ায় মূল্যস্ফীতিও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

তারা বলছেন, বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হতে পারে শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের চরম সংকটে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মাত্র আড়াই মাসে শ্রীলঙ্কার মুদ্রা ডলারের বিপরীতে প্রায় ৭৯ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়। এ সময়ে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি সামলাতে কয়েক মাসের ব্যবধানে নীতি সুদহার তিন গুণ বাড়িয়ে দেয় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত সুদহার বাড়িয়েই মূল্যস্ফীতি সামাল দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এ সময়টাতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করেছে পর্যটক ও প্রবাসী আয়।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, মূল্যস্ফীতি ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় ২০২২ সালের এপ্রিলে আমানতের সুদহার এক ধাপে সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রাজনীতি ও অর্থনীতির চরম দুরবস্থার মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় শ্রীলঙ্কা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সামলাতে চলতি বছরের মার্চে আমানতের নীতি সুদহার ফের বাড়িয়ে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়। এটি শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সুদহারের রেকর্ড। তবে পরবর্তী সময়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে সুদহারও কমিয়ে আনে শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের মে থেকে দেশটির মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করে। মাত্র তিন মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসে। গত আগস্টে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে ৪ শতাংশে। অন্যদিকে আমানতের সুদহার কমালেও তা ১১ শতাংশের নিচে নামেনি।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গত বছরের প্রথম দিকে আমরা যেভাবে সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি, এবার আমাদের সেই সক্ষমতা নেই। একই সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অবস্থাও অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে। এতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনো সমস্যার মূলে হাত না দিয়ে আমরা লোক দেখানোর জন্য দুই-একটা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা এখনো বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। ডলার বাজারে বিভিন্নভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে। দাম নির্ধারণ করে সংকট সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা ব্যবসায়ীদের কালোবাজারিতে উসকে দেবে।’

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, মূল্য নির্ধারণ না করে সরকারের উচিত ছিল যারা কালোবাজারিতে যুক্ত, তাদের আইনের আওতায় আনা। এখন খুচরা ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রিতে তাদের লাভ না দেখলে বেচাকেনা বন্ধ করে দিতে পারেন। এতে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।

Show More

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button