International

নেদারল্যান্ডসে নৈশক্লাবে জিম্মির ঘটনায় সরিয়ে নেওয়া হয় ১৫০ বাড়ির বাসিন্দাকে

নেদারল্যান্ডসের পূর্বাঞ্চলে অ্যাডি শহরে একটি নৈশক্লাবে হঠাৎ হামলা চালান এক মুখোশধারী। জিম্মি করেন ওই নৈশক্লাবের কর্মীসহ কয়েকজনকে। শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। নিরাপত্তার খাতিরে নেওয়া হয় নানা পদক্ষেপ। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো রক্তপাত বা সংঘাত ছাড়াই ছাড়া পেয়েছেন ওই জিম্মিরা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীকেও।

ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় আজ শনিবার ভোরে। দ্য ক্যাফে পেটিকোট নামের নৈশক্লাবটি অ্যাডি শহরের তরুণ-তরুণীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে পুলিশের কাছে খবর যায়, সেখানে কয়েকজনকে জিম্মি করা হয়েছে। তখন একটি অনুষ্ঠান শেষে ক্লাবটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছিলেন কর্মীরা।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সদস্যরা। শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের। নিরাপত্তার খাতিরে নৈশক্লাবটির আশপাশের প্রায় দেড় শ বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। বন্ধ করা হয় শহরটি দিয়ে ট্রেন চলাচলও।

নৈশক্লাবে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সেখান থেকে প্রথমে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর মুক্তি পান আরও একজন। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় সন্দেহভাজন হামলাকারীকে। নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনওএসের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তিকে হাতকড়া পরিয়ে রেখেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।  

গ্রেপ্তারের পর সরকারি কৌঁসুলি মার্থিন কুনস্ট সাংবাদিকদের বলেন, ওই ব্যক্তির কাছে কয়েকটি ছুরি ছিল। সেগুলো দিয়ে তিনি জিম্মি ব্যক্তিদের ভয় দেখিয়েছিলেন। আর অ্যাডি শহরের পুলিশ কর্মকর্তা অ্যান জ্যান অস্টারহের্ট জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরপরই ওই ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল পুলিশ। তবে আলোচনায় বিস্তারিত জানাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

শনিবারের এ ঘটনা সঙ্গে ‘সন্ত্রাসবাদের’ কোনো যোগ নেই বলে জানিয়েছে অ্যাডি শহর কর্তৃপক্ষ। শহরের মেয়র রেনে ভেরহালস্ট বলেছেন, জিম্মি হওয়া এই মানুষগুলোর জন্য ভয়াবহ একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতির দ্রুত ও নিরাপদ সমাধান হয়েছেন।

এর আগে গত বছর রাজধানী আমস্টারডামে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের একটি দোকানে বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করেন ২৭ বছর বয়সী এক তরুণ। পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁদের আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের সময় আহত হন ওই তরুণ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button