Bangladesh

পশ্চিমাদের কড়া প্রতিক্রিয়া

♦ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না : যুক্তরাষ্ট্র ♦ গণতন্ত্রের মানদণ্ড পূরণ হয়নি : যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থান ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাক্সক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে যে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ‘বিরোধী দলের হাজার হাজার

রাজনৈতিক কর্মীর গ্রেফতার এবং নির্বাচনের দিনের অনিয়মের প্রতিবেদন’ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতিতে বলেছে, অন্য পর্যবেক্ষকদের মতো যুক্তরাষ্ট্রেরও এই মতামত যে, এ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না এবং আমরা দুঃখিত যে সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সময় এবং এর পূর্ববর্তী মাসগুলোতে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানায়। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার প্রতিবেদন বিশ্বাসযোগ্যভাবে তদন্ত এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করতে উৎসাহিত করছি। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা না করার আহ্বান জানাই। মুখপাত্র বলেন, সামনে তাকিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকে আমাদের ভাগাভাগি করা লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সুশীল সমাজকে সমর্থন, আমাদের জনগণের সঙ্গে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারি অঙ্গীকারবদ্ধ।

নির্বাচনে গণতন্ত্রের মানদণ্ড পূরণ হয়নি-যুক্তরাজ্য : বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এতে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গণতন্ত্রের মানদণ্ড পূরণ হয়নি। গতকাল এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর এ অবস্থান তুলে ধরেছে।

যুক্তরাজ্যের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে বিশ্বাসযোগ্য, উন্মুক্ত ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার ওপর। মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, আইনের শাসন এবং যথাযথ প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এই মানদণ্ডগুলো ধারাবাহিকভাবে পূরণ হয়নি। ভোটের আগে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিরোধী দলের সদস্য গ্রেফতারে আমরা উদ্বিগ্ন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা প্রচারণার আগে এবং চলাকালে সংঘটিত ভয়ভীতি ও সহিংসতার নিন্দা জানাই। রাজনৈতিক জীবনে এ ধরনের আচরণের কোনো স্থান নেই। আর সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাই বাংলাদেশি জনগণের কাছে ভোট দেওয়ার সম্পূর্ণ সুযোগ ছিল না।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে গভীর ও ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব রয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধান এবং সক্রিয় নাগরিক সমাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে দীর্ঘমেয়াদে দেশেরই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে তাদের মতপার্থক্য দূর করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে একটি অভিন্ন পথ খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করি। আমরা এই প্রক্রিয়ার জন্য সমর্থন বজায় রাখব।

Show More

2 Comments

  1. When someone writes an piece of writing he/she retains the thought of a
    user in his/her brain that how a user can know it. Thus that’s why
    this paragraph is outstdanding. Thanks!

  2. Thanks for finally writing about > পশ্চিমাদের কড়া প্রতিক্রিয়া – MI Probashi < Liked it!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button