পোলিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণে স্কুলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তার তালিকায় এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি বিদ্যালয়ের ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মী পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।
গত বুধবার নগরের মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষকদের পাশাপাশি নাহিদুলও প্রশিক্ষণ নেন। ওই বিদ্যালয়ের অন্তত ৪০ জন শিক্ষক নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নেন।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথ্য গোপন করে নাহিদুলের নাম শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করে তালিকা প্রদান করেছেন। এ কারণে পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে তার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, তফসিল ঘোষণার পর ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে যোগ্য কর্মীদের নাম চাওয়া হয়। প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা নামের তালিকা নির্বাচন কার্যালয়ে পাঠান। আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষকদের পাশাপাশি তালিকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী নাহিদুলকেও তালিকাভুক্ত করে নাম পাঠান।
স্কুলটির সহকারী শিক্ষক ফেরদৌস জাহান চৌধুরী অসুস্থতার কারণে চট্টগ্রামের বাইরে অবস্থান করছেন। তার স্থলে নাহিদুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে তালিকা পাঠান জাহাঙ্গীর আলম।
আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একজন শিক্ষক অসুস্থ থাকায় তার জায়গায় প্রশিক্ষণে নাহিদুলকে একটা দরখাস্ত দিয়ে পাঠিয়েছি প্রশিক্ষণে। এটা আমার ভুল হয়েছে। উচিত হয়নি এটা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, তথ্য গোপন করে প্রধান শিক্ষক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নাম দিয়ে তালিকা পাঠিয়েছেন। এটা অপরাধ। ওই ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে। সংশ্লিষ্ট থানা-কর্মকর্তা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডবলমুরিং থানা-নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, প্রধান শিক্ষক তথ্য গোপন করে এই কাণ্ড করেছেন। এটা আমরা কীভাবে ধরব? তাকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা আছে তৃতীয় শ্রেণির কর্মী পর্যন্ত তালিকা পাঠাতে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পাঠানো যাবে না। তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় দেখি। আর নাহিদ তো নিয়োগ পাবে না।