প্রকাশ্যে এল আসল সত্য, সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অনেকে নিহত হয় ইসরায়েলি হেলিকপ্টারের গুলিতে
![](https://miprobashi.com/wp-content/uploads/2023/11/083651_bangladesh_pratidin_Nova_Festival.webp)
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভেতরে যে অভিযান চালিয়েছে তাতে ইহুদিদের সঙ্গীত উৎসবে হামলার কোনো পরিকল্পনা তাদের ছিল না। সেখানে যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সেজন্য মূলত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দায়ী।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেই এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে ওই প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়নি। চলতি সপ্তাহে এ হামলা সম্পর্কে পুলিশের প্রাথমিক একটি প্রতিবেদন ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ এর হাতে আসে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাস যে আকস্মিক হামলা চালিয়েছিল তাতে সঙ্গীত উৎসবে হামলার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় নিহত হামাস সদস্যদের দেহ থেকে উদ্ধার করা ম্যাপ ও অন্য তথ্য থেকে একথা পরিষ্কার হয়েছে।
নাম উল্লেখ না করে পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি একটি সামরিক হেলিকপ্টার রামাত ডেভিড ঘাঁটি থেকে উড়ে এসে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে উৎসবে অংশগ্রহণকারী অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়। প্রতিবেদনে হতাহতের সংখ্যা সংশোধন করে বলা হয়, এ হামলায় ১৭ পুলিশসহ ৩৬৪ জন নিহত হয়েছে। আগে এ সংখ্যা ২৭০ বলে জানানো হয়েছিল। উৎসবস্থল থেকে ৪০ জনকে তুলে নিয়ে যায় হামাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা মূলত কাছাকাছি কিবুৎজ রে’ইম এবং গাজা সীমান্তের নিকটবর্তী অন্য কয়েকটি গ্রামে হামলার পরিকল্পনা করে। তারা ড্রোন এবং প্যারাস্যুটের সাহায্যে ইসরায়েলে প্রবেশের সময় আকাশ থেকে ওই অনুষ্ঠান তাদের নজরে আসে। অনুষ্ঠানে চার হাজার চারশ’রও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিল। হামাসের হামলা দেখে এসব মানুষ দৌড়ে পালায়। এই পলায়নপর মানুষের ওপর ইসরায়েলি হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো হয়।
ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজও বলছে, পুলিশের তদন্ত ও আটক হামাস সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের ওপর ভিত্তি করে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে- অনুষ্ঠানটি হামাসের লক্ষ্যবস্তু ছিল না। হামাস সদস্যদের কাছ থেকে তাদের হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কিত একাধিক ছক বা মানচিত্র খুঁজে পেয়েছে ইসরায়েল কিন্তু সেগুলোর কোনোটিতেই অনুষ্ঠানস্থলের কথা পাওয়া যায়নি।
পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে হারেৎজ জানায়, “রকেট হামলার চার মিনিট পর হামাস উৎসবস্থলে হামলা করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই উৎসবে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ মানুষ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।”