প্রথম আলোর প্রতিনিধিকে ছাত্রলীগের মারধর‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে’,‘রক্ত ধুয়ে তারপর এখান থেকে যাবি’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক সাংবাদিককে মেরে রক্তাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতির ১০-১৫ অনুসারী। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মোশাররফ শাহ প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। এ সময় ছাত্রলীগকে নিয়ে আর কোনো খবর প্রকাশ না করারও হুমকি দেন তারা।
মোশাররফ শাহ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পেশাগত কাজে উপাচার্য কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনের রাস্তায় এক ছাত্রলীগকর্মী আমার পথ আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা আমার মোবাইল চান। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে কয়েকজন এসে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দিলেও একপর্যায়ে লাঠিসোটা দিয়ে মাথা, হাত ও পায়ে আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে রব হলের দিকে নিয়ে যায় আমাকে। রক্তক্ষরণ হলে তারা বলে— ‘রক্ত ধুয়ে তার পর এখান থেকে যাবি’।
আহতাবস্থায় মোশাররফকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ওই সাংবাদিককে দেখতে আসেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে ও প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার।
উপ-উপাচার্য বলেন, আমার প্রথম কাজ হলো আহতের সেবা নিশ্চিত করা। ভিসি ম্যাডাম ক্যাম্পাসে নেই। তিনি ঢাকায় আছেন। উনার সঙ্গে আলোচনা না করে আমি কিছু বলতে পারব না।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, মোশাররফের কপালে চার সেলাই দিতে হয়েছে। তার হাতেও আঘাত করা হয়েছে। এক্স-রে করাতে হবে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসা জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রলীগের উপপক্ষ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি) নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রেজাউল হক। তিনি জানান, এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।