Bangladesh

বড় প্রশ্ন, এবার ভোটে বিরোধী দল কে হবে

২০১৪ সালের দশম জাতীয় নির্বাচনে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতেই ভোটের প্রয়োজন হয়নি। এরপর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে দিনের ভোট ‘রাতে হয়ে যাওয়ার’ মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। এবার ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিসহ বেশ কিছু দল। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাঁদের বেশির ভাগ আবার আওয়ামী লীগের নেতা। এই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলন ও এবি পার্টির পাঁচজন নেতার অভিমত প্রকাশ করা হলো।

ভোটের ফলের ওপর বিরোধী দল হবে 

মোহাম্মদ আলী আরাফাত

মোহাম্মদ আলী আরাফাত

মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সংসদ সদস্য, আ.লীগ

বিএনপি তো নির্বাচনে আসেনি। তারা বলছে, একতরফা নির্বাচন হচ্ছে। তাহলে তো মানুষের এমনিতেই ভোট দিতে আসার কথা নয়। বিএনপিকে লিফলেট বিতরণ করতে হচ্ছে কেন? হরতাল ডাকতে হচ্ছে কেন? চুপচাপ ঘরে বসে থাকলেই তো হতো। কিন্তু অ্যাডিশনাল ইনিশিয়েটিভ (বাড়তি উদ্যোগ) নিতে হচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে বিএনপিও ভয়ে আছে। তারা ভোটে না এলেও মানুষ ভোট দিতে চলে আসতে পারে। যে কারণে তাদের নানা কর্মসূচি নিতে হচ্ছে।

দিন শেষে ভোটারদের আনতে হয় প্রার্থীদের। আমি নিজেও প্রার্থী। ভোটার আনা একটি বিশাল ব্যবস্থাপনার বিষয়। কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করে, ভোটারদের স্লিপ দিয়ে, উৎসাহিত করে নিয়ে আসতে হয়। তবে ভোটার আনার ক্ষেত্রে আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ নিয়ে আমরা চিন্তিত না। দেশের বাইরে অভিবাসী আছেন ১ কোটি ২৭ লাখের বেশি। গত ১৫ বছরে অনেক ভোটার এলাকা বদল করেছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা–১৭–এর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ৩ লাখ ২৫ হাজার ভোটার আছে। স্লিপ দেওয়ার সময় দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটারকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা এলাকা বদল করেছেন। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

আমাদের প্রথম পছন্দ ছিল বিএনপি নির্বাচনে আসুক, একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হোক। তারা নির্বাচনে এল না। যখন বিএনপি এল না, তখন আমাদের কাছে একটা বিষয় ছিল নিজেদের মধ্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া। তাহলে যতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করা যায়। এটা আমাদের কাছে দ্বিতীয় ভালো বিকল্প ছিল। এখানে আমাদের কিছু ঝুঁকিও নিতে হয়েছে। যখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়, তখন দেখা যায় নির্বাচন করতে গিয়ে দ্বন্দ্ব হয়ে যায়, শত্রু হয়ে যায়। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার স্বার্থে এই ঝুঁকি আমাদের নিতে হয়েছে। মন্দের ভালো হিসেবে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করেও এই কাজ করতে হয়েছে।

যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে আসছে না, সংসদে কী হবে? ভোটের ফলাফলের ওপর হিসাব করে বিরোধী দল হবে। জাতীয় পার্টি যদি যথেষ্ট আসনে বিজয়ী হয়, বিএনপি থেকে বের হয়ে আসা অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। এরা সবাই মিলে যদি ২৫–৩০টি আসন পায়, তাহলে সবাই মিলে বিরোধী দল হবে। 

সবকিছু আগে থেকে নির্ধারিত হয়ে আছে

রুমিন ফারহানা

রুমিন ফারহানা

রুমিন ফারহানা, সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি

৭ জানুয়ারি একটি নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। এটাকে কোনোভাবেই ভোট বলা যাবে না। প্রথম কারণ হচ্ছে, কোন দল সরকার গঠন করবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সবাই এসব জেনে গেছে। কোন আসনে কে সংসদ সদস্য হবেন, তার তথ্যও বেরিয়েছে। এটাকে ভোট বলছি না এ কারণে যে এই ভোটে কাউকে নির্বাচিত করার বা কাউকে হারিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সবকিছু আগে থেকে নির্ধারিত হয়ে আছে।

মানুষ বেছে নেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এবারের ভোটে নৌকাকে বেছে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন করা হয়েছে যে মানুষকে হয় নৌকা, নয়তো নৌকার স্বতন্ত্র প্রার্থী বা নৌকা–সমর্থিত জাতীয় পার্টি অথবা আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত কোনো প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। যাকেই ভোট দিক না কেন, ভোট দিন শেষে এক জায়গাতেই যাবে। এটাকে আর যা–ই বলা হোক না কেন, নির্বাচন বলার কোনো কারণ দেখি না।

আমরা দেখিয়েছি অতি অহিংস উপায়ে ভীষণ রকম সহিংস একটা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া যায়। ইতিমধ্যে আমাদের দলের মহাসচিব, জ্যেষ্ঠ নেতাসহ ৩০ হাজার নেতা-কর্মীকে জেলে নেওয়া হয়েছে। মাঠের নেতারা আত্মগোপনে আছেন। এমন একটি অবস্থায় দাঁড়িয়ে এই লড়াইটা ভীষণ কঠিন। আমাদের শুধু একটি দলের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে না, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে।

মানুষ এমনিতেই বুঝতে পেরেছে আসলে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না, তামাশা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা বলছে, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা যা দেওয়া হয়েছে, তা কেড়ে নেওয়া হবে, যদি ভোটকেন্দ্রে না যায়। দেখা যাবে কিছু অর্থের বিনিময়ে লোকজনকে এনে কেন্দ্রের সামনে সকাল থেকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হবে।

সরকার কাউকে ভয় দেখাচ্ছে, আবার অনেককে নানাভাবে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে। কোথাও কোথাও বলা হচ্ছে, নৌকায় ভোট না দিলে এলাকায় ঢুকতে দেবে না। এরপরও বহু মানুষ সাহস করে সরকারের এই প্রহসন থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ভোটের পরও বিএনপির শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। 

ভাগাভাগি করে ক্ষমতা নবায়নের ভোট হচ্ছে 

জোনায়েদ সাকি

জোনায়েদ সাকি

জোনায়েদ সাকি, প্রধান সমন্বয়কারী, গণসংহতি আন্দোলন

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে হরতাল, অবরোধসহ আমাদের নানা ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এসব কর্মসূচির কারণেই জনগণের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ মনে করে, এই নির্বাচনে তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না; বরং উল্টো ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার আরেকটি মঞ্চায়ন এই নির্বাচন। 

জনগণের এই এককাট্টা মনোভাবই আসলে বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে মূল প্রেরণা দিয়েছে। ফলে সরকারের এত রকম চেষ্টা সত্ত্বেও বিরোধী দল ভাঙতে পারেনি। বিরোধী দলগুলো এককাট্টাভাবে নির্বাচন বর্জন করেছে। 

এ অবস্থায় সরকার যা করতে যাচ্ছে, সেটাকে আমরা নির্বাচন মনে করি না। এটি নির্বাচনের নামে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার আরেকটি মঞ্চায়ন। ফলে ৭ জানুয়ারি যা হচ্ছে, তা হলো নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি করে ক্ষমতা নবায়ন করে নেওয়া। মানুষ এই নির্বাচনকে ইতিমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। নীরব প্রতিবাদ হিসেবে মানুষ ভোট বর্জন করবে। এর মধ্য দিয়ে দেশে গণপ্রতিরোধের একটা নতুন যাত্রা শুরু হবে। 

ভোট বর্জনের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছি। প্রতিদিন ভোট বর্জনের জন্য গণসংযোগ করেছি। যদিও সরকার নানাভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা ঢাকার বাইরে কোনো কর্মসূচি করতেই দেয়নি। কারণ, তারা ভালো করেই জানে, মানুষের এই ভোটে আগ্রহ নেই। ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, জবরদস্তি করে কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। 

তারা বলছে যে যেভাবেই হোক ভোটার উপস্থিতি দেখাতে হবে। যে নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মহলকে ভোটার উপস্থিতি দেখানোর বিষয় থাকে, সেটা কী ধরনের নির্বাচন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

আমরা মনে করি, মানুষ সরকারের সব তৎপরতা মোকাবিলা করেই ভোট বর্জন করবে। যদিও সরকার নির্বাচনের চেয়ে ফলাফল ঘোষণাতেই বেশি আগ্রহী। তারা ফলাফলে যত ভোটারের উপস্থিতি দেখাবে, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সংযোগ থাকবে বলে মনে করি না। 

সরকার যেভাবে দমনপীড়ন চালাচ্ছে, তা দেশের জন্য নতুন বাস্তবতা। এই বাস্তবতার মধ্যেই রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে নিরস্ত্র জনগণ নতুন কৌশলে গণতান্ত্রিক লড়াই চালিয়ে যাবে।

‘আমি এবং আমিই’ নির্বাচন হচ্ছে এবার 

রুহিন হোসেন

রুহিন হোসেন

রুহিন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, সিপিবি

কিছুদিন আগে বলতাম ‘আমি আর ডামির’ নির্বাচন। এখন দেখছি, এবার যে নির্বাচন হচ্ছে, সেটি ‘আমি এবং আমিই নির্বাচন’। নির্বাচনে আমরা জানি কে জিতবে, সেটা নির্ধারিত। মানুষের কাছে কে জিতবে, এটাও এখন প্রধান প্রশ্ন নয়। এখন প্রধান প্রশ্ন হচ্ছে, বিরোধী দল কে হবে? অর্থাৎ এই নির্বাচনে নতুন একটা হাস্যকর খেলা দেখার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে।

আসলে তো কোনো ভোট হচ্ছে না, ভোট বলতে যেটা বোঝায়। ভোট হতে হবে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য। যে পদ্ধতিতে ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার ভোট করছে, এটা অংশগ্রহণমূলক নয়। সুতরাং এটা গ্রহণযোগ্য হওয়ারও কোনো কারণ নেই। বরং ২০১৪ ও ১৮ সালের ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরেকটা প্রহসন সংঘটিত হচ্ছে।

দেশ যে রাজনৈতিক সংকটে আছে, এটা দূর করতে একটা ভালো নির্বাচন জরুরি। সরকার সেটা করেনি। সরকার যে কাজটা করল, এটা বোঝানোর জন্য ৭ জানুয়ারি নিজে থেকেই ঘরে থাকার কর্মসূচি নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিরোধের কণ্ঠকে সোচ্চার করতে হবে।

অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় দেশের অর্থনীতিবিদেরা এমনকি সরকারও অস্বীকার করছে না যে আমরা একটা খারাপ সময় অতিক্রম করছি। ভবিষ্যতে আরও খারাপ সময় আসতে পারে। এ রকম একটা সময়ে যদি রাজনৈতিক বিভাজন থাকে, ঐকমত্য না থাকে, তাহলে এই সংকট মোকাবিলা করা যেকোনো দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, জাতির জন্য কঠিন হয়।

সরকার যে কাজটি ৭ জানুয়ারি করতে চাইছে, তাতে আগামী দিনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঘনীভূত হবে। সেটা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। এ রকম পরিস্থিতিতে বিদেশের সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী শক্তির হস্তক্ষেপ বাড়বে। দেশের মধ্যে দুর্বৃত্তায়িত ধারা আরও শক্তিশালী হবে। যা আরও নতুন নতুন সংকট বয়ে নিয়ে আসবে।

তবে সংকট সমাধানে এখনো সময় আছে। সংবিধানের মধ্যেই এর সমাধান রয়েছে। যদি এখনই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদ ভেঙে দেয়, তাহলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব। সেই পথেই সরকারের এখন হাঁটা প্রয়োজন।

এখন গ্রামের মানুষও বলছেন, ভোটে তাঁদের মন নেই। মন নেই মানে, তাঁরা আসলে এই ভোট চান না। স্থানীয় পরিবেশ–পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেকেই হয়তো নানা কারণে বলতে পারেন, ‘হ্যাঁ আমি আছি।’ সরকারের জোরাজুরি ছাড়া মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে তাঁরা তাঁদের প্রতিবাদ সংঘটিত করবেন বলে আমরা মনে করি।

সাজানো ছকে সবকিছু হচ্ছে

মজিবুর রহমান

মজিবুর রহমান, সদস্যসচিব, এবি পার্টি

আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এটা কোনো নির্বাচন নয়, এটা স্পষ্ট প্রহসন। এই নির্বাচনে পজিশন ও অপজিশন সব এক জায়গা থেকে ঠিক করা। জনগণের পছন্দের এখানে সুযোগ বা অধিকার কোনোটাই নেই।

কে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবে; কে নৌকা পাওয়ার পর লাঙ্গলের সমর্থনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবে অথবা কে নৌকা পেয়েও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী বা ডামি প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, সবই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও ‘ফেক অপজিশনকে’ (সাজানো প্রতিপক্ষ) জেতানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পুরো আয়োজনটাই আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সাজানো ছকে সবকিছু হচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও এ রকম ছকবদ্ধ প্রহসন মঞ্চস্থ করে সেটাকে নির্বাচন বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জনগণ তা মেনে নেয়নি। ফলে বর্তমানে যারা ক্ষমতাসীন, তারা আগেও বৈধতার সংকটে ছিল এবং দিন দিন অজনপ্রিয় হয়েছে। ৭ জানুয়ারির পরেও একই সংকট থাকবে। ব্রিটিশরাও প্রায় ২০০ বছর আমাদের ওপর শাসন-শোষণ চালিয়েছে, বহু উন্নয়নও তারা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘৃণ্য দখলদার হিসেবেই তাদের এ অঞ্চল ছেড়ে যেতে হয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক জান্তা আইয়ুব খান ও বাংলাদেশে এরশাদেরও একই পরিণতি হয়েছিল।

আমরা জনগণকে গণতান্ত্রিকভাবে এই প্রহসনমূলক নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছি এবং সাড়া পেয়েছি। ৩০ হাজারের বেশি রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের জন্য। বিএনপিসহ কয়েকটি দলের অফিস বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যারা আত্মগোপনে আছে, সেসব বিরোধী নেতাকে পুলিশ খুঁজছে। আমাদের মতো দলগুলোর প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচিতেও হামলা, গ্রেপ্তার ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
Toto Gacor
bacan4d
bacansport login
slot gacor
pasaran togel resmi
bacan4d
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
slotgacor
bacan4d rtp
bacan4d
bacan4d toto
Slot Casino
bacan4d toto
slot gacor
bacan4d
bacan4d
Slot Toto
bacan4d
bacan4d login
totoslotgacor
slot gacor
TOTO GACOR
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
toto slot
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
Slot Gacor
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
xx1toto
bacansport
bacan4d
toto slot
situs toto
slot gacor
Toto Slot
slot maxwin
slot demo
bacan4d toto slot
bacan4d toto slot
bacan4d slot
bacan4d slot
bacan4d slot
bacansports
bacansports
bacansports
bacan4d slot
bacan4d slot
bacan4d
slot gacor
pasaran togel resmi
situs toto
bacan4d login
pasaran togel
pasaran togel
situs toto
bacan4d
bacan4d gacor
bacan4d slot
bacan4d rtp
bacan4d rtp
bacan4d slot gacor
toto slot
situs toto
bacan4d
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bandar togel
toto gacor Toto Gacor bacan4d slot toto casino slot slot gacor bacantoto totogacorslot Toto gacor bacan4d login slotgacor bacan4d bacan4d toto Slot Gacor toto 4d bacan4d toto slot bacan4d slot gacor