Bangladesh

বাংলাদেশে ভোটগ্রহণ নিয়ে সরব আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম : গুরুত্ব পেলো যেসব বিষয়

প্রধান বিরোধী দল তথা বিএনপির বর্জনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দক্ষিণ এশিয়া তথা গোটা এশিয়া উদীয়মান শক্তি হিসেবে বরাবরের মতো বাংলাদেশের নির্বাচন গুরুত্ব পেয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকে ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই এসব মাধ্যমে নিয়মিত সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন শেখ হাসিনা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গতকাল ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই সংবাদ প্রকাশ করছে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা সরাসরি হালনাগাদ সংবাদ প্রকাশ করছে। ‘বিরোধীদলের ভোট বর্জনের মধ্যেই বাংলাদেশে চলছে ভোট গ্রহণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ এবং সবমিলিয়ে পঞ্চম মেয়াদে জয়লাভ করতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে একতরফা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও রয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের বরাতে বলা হয়েছে, যে (বিতর্কিত ও একতরফা) নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে, তা পশ্চিমা অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের ক‚টনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে বিশেষভাবে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪, দ্য উইক, আইরিশ এক্সামিনারে প্রকাশিত খবরের শিরোনামেও বিরোধী দলগুলোর ভোট বর্জনের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ফ্রান্স২৪ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোট বর্জনের কারণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা অনেক দুর্বল প্রার্থী ও প্রতিদ্বন্দিতার মুখোমুখি হচ্ছে।
দ্য উইকের শিরোনামে বলা হয়েছে, টানা চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনার সম্ভাব্য বিজয় আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। এছাড়াও প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এএফপির শিরোনামে বলা হয়েছে, বিরোধীদল ছাড়া বাংলাদেশে ভোট হচ্ছে। আর মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএনের শিরোনামে গুরুত্ব পেয়েছে বিরোধী দলের ভোট বর্জন। সিএনএন বলছে, রোববার বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে, যা প্রধান বিরোধী দল বয়কট করেছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হতে প্রস্তুত।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন প্রধান বিরোধী দলের বয়কটে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে টানা ৪র্থ মেয়াদে জয়ী হতে চলেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস জানিয়েছে, প্রধান বিরোধী দলের বয়কট এবং ভোটের আগে সহিংসতার মধ্যেই সাধারণ নির্বাচনে টানা চতুর্থ এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে জয়ী হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভ‚রাজনীতে সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনের শিরোনামে বলেছে, সংঘাতময় ও উদ্বেগজনক পরিবেশে নির্বাচন চলছে বাংলাদেশে। নৌকার জয় নিয়ে আশাবাদী হাসিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হরতাল-অগ্নিসংযোগের মধ্যে বাংলাদেশের ভোটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ৪র্থ মেয়াদে জয়ী হতে পারেন। আরেকটি গণমাধ্যম মিন্ট ‘বাংলাদেশের নির্বাচন : ভারতের জন্য শেখ হাসিনার পুনর্নির্বাচনের মানে কী?’ এমন শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)। এপি নিউজ লিখেছে, বাংলাদেশের একটি বিতর্কিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগের দল টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় যাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন শিরোনামে বলা হয়েছে- ‘পঞ্চম মেয়াদে জয়ের নিশ্চয়তায় নির্বাচন শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।’
প্রায় একই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। সংবাদমাধ্যমটি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে লাইভ রিপোর্ট প্রকাশ করছে। এটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের জন্য টানা চতুর্থ এবং পঞ্চম মেয়াদে জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘সহিংসতা এবং বিরোধীদের বয়কটের মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন।’ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের ভোটাররা ৭ জানুয়ারিতে ভোট দিচ্ছেন। বিরোধীদের বয়কটের কারণে এই নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগের জন্য টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতা দখল করার পথ প্রশস্ত করে।
প্রায় একই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদের বয়কটের মধ্যে চলছে ভোট। এর মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসার জন্য প্রস্তুত শেখ হাসিনা। চীনের সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে বাংলাদেশে ভোট চলছে। একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরব নিউজ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রধান বিরোধীদলের বয়কটের মধ্যে ভোট হচ্ছে বাংলাদেশে। এরই মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় যেতে প্রস্তুত। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস জানিয়েছে, প্রধান বিরোধী দলের বয়কট ও ভোটের আগে সহিংসতার মধ্যেই সাধারণ নির্বাচনে টানা চতুর্থ, সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে জয়ী হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সউদী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ মাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে জানায়, রোববার প্রধান বিরোধী দল বয়কট ও ভোটের আগে সহিংসতার মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ, সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে জয়ী হতে চলেছেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন শিরোনামে বলা হয়েছে- ‘বিরোধীদের নির্বাচন বয়কটের মধ্যেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ ভারতের বাংলা সংবাদমাধ্যম এই সময় লিখেছে, ৩টা পর্যন্ত ২৭ শতাংশ, ১ ঘণ্টায় বেড়ে হল ৪০! নির্বাচন কমিশনের তথ্যে মুখ টিপে হাসছেন বাংলাদেশি ভোটাররা। আরেক বাংলা সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রীর ছেলে দিলেন ছাপ্পা! কেন্দ্রের ভোট বাতিল কমিশনের।

Show More

7 Comments

  1. Its like you read my mind! You seem to know so much about this,
    like you wrote the book in it or something.
    I think that you could do with a few pics to drive the message home a bit,
    but instead of that, this is great blog. An excellent read.
    I’ll certainly be back.

    Stop by my website :: vpn coupon code ucecf

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button