বাঘ দাবড়ানো মাঘ এলো, ঢাকায়ও শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা
প্রকৃতিতে শীতের দাপট নিয়ে এলো মাঘ। শীত ঋতুর সমাপ্তি এ মাসেই। আজ মাঘের পয়লা দিন। শহরে ঠাণ্ডা সহনশীল হলেও গ্রামীণ জনপদে মাঘ এসেছে শীতের তীব্র দাপট নিয়ে। বলা চলে, এবার শীত এসেছে শীতের প্রকৃত চরিত্র নিয়েই।
সকাল থেকে সারাদেশ ঢেকে থাকছে কুয়াশার আস্তরণে। সূর্যের দেখা মিলছে না কোথাও। কয়েক দিন ধরেই আকাশ ছেয়ে আছে এমন কুয়াশায়। দৃষ্টি আটকে যায় কিছুদূর গিয়েই। ঠাণ্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশার আবর্তে সারা দেশ কাঁপছে কনকনে শীতে। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে।
সাধারণত জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত পৌষের শীতের দাপট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে থাকে। আবহাওয়া অফিস বলছে, জানুয়ারির বাকি অর্ধেক সময়ে শীতের তীব্রতা খুব একটা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলছেন, শীতার্ত আবহাওয়া আরও চার-পাঁচ দিন থাকবে। আগামী বৃহস্পতি-শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকায় এখন শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও বৃষ্টির পর শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ। ক্ষতি হচ্ছে রবিশস্যের। কষ্ট বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের। বিভিন্ন রোগে আক্রান্তরা ভিড় করছে হাসপাতালে।
আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাঘের শীতে বাঘ কাঁপলেও এখন সময় বদলেছে। পৌষের শেষে লঘুচাপজনিত ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহ মিলে শীতের অনুভূত হচ্ছে তীব্র। এটি শীতের স্বাভাবিক চরিত্র নয়। যার ফলে মানুষের অসুখ-বিসুখ বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা জ্বর-সর্দি, গলা ব্যথা ও ভেঙে যাওয়া, নিউমোনিয়া এবং আমাশয়ে আক্রান্ত হচ্ছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।