Bangladesh

বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের জান্নাতুল

বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক অগ্নি দুর্ঘটনায় তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনি একজন চিত্রনির্মাতা, লেখক ও অধিকারকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ন হন।

বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারী

বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিবিসি। চলতি বছরের এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি।

আজ মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ তালিকায় অন্যান্যদের মধ্যে আছেন—সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আমাল ক্লুনি, এআই বিশেষজ্ঞ তিমনিত গেবরু, নারীবাদের আইকন গ্লোরিয়া স্টেইনেম, হলিউড তারকা আমেরিকা ফেরেরা, ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা।

বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি। ছবি: আইভির ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি।

বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক অগ্নি দুর্ঘটনায় তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনি একজন চিত্রনির্মাতা, লেখক ও অধিকারকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ন হন।

তিনি ‘ভয়েস অ্যান্ড ভিউস’ নামে একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এই সংস্থাটি অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে আসা নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে।

তিনি তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের কাছে আইভি নামেই বেশি পরিচিত। এ পর্যন্ত ৫টি শর্ট ফিল্ম নির্মাণ করেছেন আইভি। এ ছাড়া তার লেখা ৩টি উপন্যাসও ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি তার গল্প বলার সহজাত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে চারপাশের মানুষের মাঝে শারিরীকভাবে বিকলাঙ্গ মানুষদের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন।

বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি। ছবি: আইভির ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি।

২০০৯ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন আইভি। এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ও ২০০১ সালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

পাশাপাশি ২০১০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি ও ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন তিনি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button