ভোটার কেন্দ্রে আনতে প্রার্থী কর্মী প্রশাসন গলদঘর্ম
আর মাত্র আট দিন পরই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। কিন্তু এই নির্বাচনে কে জিতবে, কে হারবে বা সরকার গঠন করবে তা নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সবারই মূল লক্ষ্য ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোনো উপায়ে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভোটার বাড়াতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি কাজে লাগিয়ে দলগত নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সারাদেশের প্রায় ২০ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়া নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ঢাকার পুলিশ কমিশনার দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের ডেকে নিয়ে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন।
বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার আওতায় থাকা প্রায় এক কোটি ভোটারকে কেন্দ্রে আনতে প্রশাসনিক শক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনার কথাও জানা গেছে। এমনকি ভোট না দিলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং ভাতা বন্ধ হবে– এটা আবার নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ভোটারদের। বিভিন্ন স্থানে প্রচারে দেখা যাচ্ছে, ভোট চাওয়ার চেয়ে ভোটার কেন্দ্রে নিতেই প্রার্থীদের বেশি তৎপরতা। ‘যাকে খুশি ভোট দেন, তবুও ভোট দিতে কেন্দ্রে যান’– এখন এই স্লোগানে চলছে প্রচারণা।
তবে নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেওয়া এবং বাধ্য করা– দুটিকেই মানবাধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হওয়ার পর দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম ও একাদশ নির্বাচন নিয়ে নানা অনিয়মের কারণে সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রবিমুখ। ‘দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়’– এই অভিযোগ এনে সরকারবিরোধী জোটের বিএনপিসহ অনেকগুলো দল নির্বাচন বর্জন করছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে ভোটার উপিস্থিতি বাড়াতে চায়। কিন্তু এসব করে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সামরিক সরকারের আমল পেরিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৬৫ শতাংশ। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দলীয় (বিএনপি) সরকারের অধীনে ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তাতে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল মাত্র ২৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। চার মাস পর একই বছরের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বেড়ে ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৮৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বিএনপির ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাদ দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চার নির্বাচনে গড় ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৭৩ দশমিক ১ শতাংশ।
এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এসব উদ্যোগে হয়তো ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কিন্তু নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা সেই প্রশ্ন থেকেই যাবে। তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে পরপর দুটি সংসদ নির্বাচন হয়েছে। আরেকটি নির্বাচন ৭ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে। দলীয় সরকারের আগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চারটি সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ক্রমশই বাড়তে দেখা গেছে। অনেক নতুনত্ব নিয়ে ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ ৮৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিল।
সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির মতোই ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অনেক দলের বর্জনের কারণে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ। যদিও ভোটারের এই গড় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম। এবারও সর্বোচ্চ ৩০ ভাগের বেশি ভোটার উপস্থিত হবে বলে মনে করেন না তিনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপি ও তার মিত্রদের বর্জনে এই নির্বাচন শুরুতেই জৌলুসহীন হয়ে পড়েছে। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নবঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ৩০০ আসনের মধ্যে একশর মতো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের স্পস্ট নির্দেশনা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের সমথর্করা ভোটের মাঠে সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে মাঠ প্রশাসনে ঢালাও বদলি, আচরণবিধি লঙ্ঘনে শোকজ, সতর্ক ও মামলা দায়ের সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ফলে ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘প্রতিযোগিতা বিবেচনায়ও এটা কোনো নির্বাচন নয়। কারণ নির্বাচনের যে সংজ্ঞা, নির্বাচনের যে গ্রামার– বিকল্প থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ, সেটা এই নির্বাচনে নেই। প্রতিযোগিতা বিবেচনায়ও এটা কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচন হতে হলে, গণতন্ত্র হতে হলে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকবে। গণতন্ত্র মানে বহুদলীয় গণতন্ত্র।’
তিনি বলেন, এই নির্বাচনে শতকরা ৩০ ভাগের বেশি ভোটার উপস্থিতির সম্ভাবনা শুরুতে অনেকেই বলেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নিজ দলের ‘ডামি’ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর যেভাবে হামলা-মামলা ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে; তাতে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবে– এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, শুরুতেই এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। কারণ কোন দল সরকার গঠন করবে তা নিশ্চিত হয়ে গেছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৮০ শতাংশের ওপরে। কিন্তু দেশের পাঁচটি বড় শহর ও শহরতলিতে ছয়টি ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) গড়পড়তা ভোটের হার ছিল ৫১ শতাংশ। তাই ইসির এই পরিসংখ্যান নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছন ইভিএমে প্রায় ৩০ শতাংশ কম ভোট কেন পড়ল।
ভোটার বাড়াতে নানা উদ্যোগ
এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন, নারী ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ এবং তৃতিয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন। ভোটার অংশগ্রহণ বাড়াতে এবার সরকারি চাকরিজীবীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পুরোনো এই পদ্ধতি মূলত প্রবাসে অবস্থানকারী এবং নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের জন্য চালু ছিল। কিন্তু অতীত নির্বাচনে এর খুব বেশি ব্যবহার চোখে পড়েনি।
জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ২০ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর অধিকাংশই ভোটের দিনে নিজ কর্মক্ষেত্রের বাইরে দায়িত্ব পালনে থাকেন। এর বাইরে ৪০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ দায়িত্ব পালন করেন লক্ষাধিক বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। তারাও ভোট গ্রহণের কাজে নিয়োজিত থাকায় নিজ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান না। এবার তাদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে বলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মীদের অনানুষ্ঠানিক উদ্বুদ্ধ করা হলেও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে এ ব্যাপারে চিঠি প্রদান করা হয়েছে। বাহিনীর ৬১ লাখ সদস্যের পোস্টাল ভোট নিশ্চিত করতে প্রতিটি ইউনিট ও ব্যাটালিয়নে চিঠি দিয়েছে সদরদপ্তর। চিঠিতে প্রতিটি সদস্যের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
নির্বাচন সংশ্লষ্টরা বলছেন, সরকারি চাকরিজীবীরা যেখানেই থাকুন না কেন তারা পোস্টাল ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। পোস্টাল ভোট প্রদানের জন্য আবেদন করেছেন– এমন একাধিক আনসার সদস্যের সঙ্গে কথা হয়েছে সমকালের। ওই আনসার সদস্যরা জানান, সদরদপ্তর থেকে পাঠানো চিঠি অনুযায়ী তারা পোস্টাল ব্যালটের জন্য রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে চাইলে কোনো ব্যক্তিকে তপশিল ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে নিজ নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট আসনের ব্যালট পেপার ও নির্দেশনা একটি খামসহ প্রেরণ করেন। ভোটার ভোট দিয়ে নির্ধারিত খামে ব্যালট পেপারটি ভরে আবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক সমকালকে বলেন, পোস্টাল ভোটের জন্য সরকারের একটি নির্দেশনা ছিল। ওটা আইনেও আছে, আনসার সদস্যদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় সরকারের নির্দেশনায় জোরালোভাবে করা হচ্ছে না। এখন বলা হয়েছে, কারও ইচ্ছা হলে, সে দেবে। আগের মতো বাহিনী আর সহযোগিতাও করছে না। উদ্যোগটাও একটু শিথিল করা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশ বিভাগ মনে করে, প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠী ও ভোটারদের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিবিড় যোগাযোগ ও সম্পর্ক রয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলে ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে আস্থা পাবে। এ জন্য কাউন্সিলরদের ভোটারদের বাড়িতে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতাভোগীকে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক ভাতাভোগী প্রায় ৭০ লাখ এবং বিধবা ভাতাভোগী প্রায় ৩০ লাখ– মোট এক কোটি ভোটারকে এই পরিকল্পনার আওতায় কেন্দ্রে উপস্থিত করানোর চেষ্টা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের দলগত উদ্যোগ
কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১১৮টি আসনে কেন্দ্রে ভোটার আনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের’ আওতায় প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রত্যেক নেতাকর্মীকে ২০০ জন ভোটারকে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। এ পর্যন্ত ২ লাখ ২ হাজার ৫৮০ জন প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি হয়েছে। সে হিসাবে ৪ কোটি ৫১ লাখের বেশি ভোটারকে তারা কেন্দ্রে নেবেন। প্রচারকর্মী তৈরি করতে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে ‘অফলাইন ক্যাম্পেইন’ নামে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়। এর আওতায় সারাদেশে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।