মধ্যপ্রাচ্যে আবার যুদ্ধে নামছে যুক্তরাষ্ট্র, হাউছিদের ওপর চালাবে আক্রমণ
মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধে নামতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হাউছিদের ওপর হামলা করার মাধ্যমে সঙ্ঘাতে সরাসরি জড়িতে পড়তে যাচ্ছে আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পলিটিকো পত্রিকা এ খবর প্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আরেকটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র হাউছিদের ওপর হামলা চালানোর খসড়া পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। উল্লেখ্য, ইসরাইলের সাথে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর ওপর লোহিত সাগরে হামলা চালাচ্ছে হাউছিরা।
মার্কিন কর্মকর্তারা পলিটিকোকে বলেন, লেবানন, ইরাক ও ইরানে সশস্ত্র সঙ্ঘাত বাড়তেথাকায় আঞ্চলিক সঙ্ঘাত বাড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন যে গাজার যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে উপত্যকার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।
পলিটিকো জানায়, মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাতে এবং এর প্রতিক্রিয়া তার ওপর কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে বলা হয়, সহিংসতা বাড়তে থাকায় ওয়াশিংটনকে মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ করতেই হবে।
লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করতে ইসরাইলকে সতর্ক বার্তা হিজবুল্লাহ নেতার
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ইসরাইলকে হঁশিয়ার করে দিয়েছে। গ্রুপটির শক্তিশালী ঘাঁটি বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে হামলায় হামাসের উপনেতা নিহত হওয়ার এক দিন পর তিনি এ সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করলেন। সেখানে এ হামলার জন্য তিনি ইসরাইলকে দায়ী করেন।
নাসরাল্লাহ বুধবার টেলিভিশনে ভাষণে বলেন, ‘শত্রুরা যদি লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কথা ভাবে, তাহলে আমরা কোনো সংযম, নিয়ম, সীমা এবং সীমাবদ্ধতা ছাড়াই যুদ্ধ করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যুদ্ধে ভীত নই।’
গাজায় ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে প্রায় তিন মাস ধরে যুদ্ধ চলাকালে ইসরাইলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর সাথেও আন্তঃসীমান্ত যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। হামাস এবং ইরানের সাথে হিজবুল্লাহর মিত্রতা রয়েছে।
লেবানন কর্তৃপক্ষ এবং হামাস মঙ্গলবার বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে সালাহ আল-আরুরিকে হত্যা করায় ইসরাইলকে দায়ী করেছে। সেখানে হামলায় আরো ছয়জন নিহত হন।
এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি আরুরিকে হত্যার বিষয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেন, আরুরি নিহত হওয়ার পর যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সামরিক বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এ হামলায় বড় ধরনের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার দেখা দিয়েছে। কারণ গাজায় গত অক্টোবরে লড়াই শরু হওয়ার পর থেকে হামাসের যত সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে আরুরিই হলেন সংগঠনটির সবচেয়ে শীর্ষ পর্যায়ের নেতা।
নাসরাল্লাহ এ হামলাকে একটি বড় এবং ভয়ঙ্কর অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেন। এ হামলায় ইসরাইল একেবারে ছাড় পাবে না। এক্ষেত্রে তাদেরকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।