Bangladesh

মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশ ইসির ডিসি-এসপি-ইউএনও এবং ওসিদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ডিসিকে বদলি, আরো বদলি আসছে, দুশ্চিন্তায় এমপি-মন্ত্রীরা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)দের বিশেষ ক্ষমতা থাকলেও তা গত ২০১৪ সাল থেকে পুলিশ প্রশাসনের পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানার ওসিদের বেশি ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে বলে মনে করেছে ইসি। যদি বিএনপি ভোটে আসতো তা পরির্বতন করা হতো না বলে জানিয়েছে অনেক কর্মকর্তারা। দেশের ৪৯৫টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) পর্যায়ক্রমে এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলির কাযক্রম আজ রোববার থেকে শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসককে বদলি করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের ডিসি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীকে ময়মনসিংহের ডিসি করা হয়েছে আর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সংযুক্ত উপসচিব মোমহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীকে সুনামগঞ্জের ডিসি এবং ময়মনসিংহের ডিসি মো.মোস্তাফিজার রহমানকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামীতে আরো কয়েকজন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বদলী করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর আগে সরকার দলীয় এমপিও মন্ত্রীরা পছন্দ করে ডিসি-পুলিশ সুপার, নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও (ওসি) বদলী করে নিয়ে গেছেন সেই এমপিও মন্ত্রীরা চিন্তায় পড়েছেন বলে জানা গেছে।

ইতোমধ্যে সরকার দলীয় এমপিও মন্ত্রীরা পছন্দের নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও (ওসি) রাখতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তবদীর শুরু করেছেন। অনেকই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিবকে ফোন দেওয়া শুরু করেছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম পর্যায়ে উপজেলায় এক বছরের বেশি সময় থাকা ইউএনওদের বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি একই থানায় ছয় মাসের বেশি থাকা ওসিদের তালিকাও পাঠাতে বলা হয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পৃথক দুই তালিকা ইসিতে পাঠাতে হবে। পুলিশ ও প্রশাসনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এবং পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানার ওসিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ওসিরা সরাসরি মাঠে কাজ করেন। এখন সারা দেশে ছয় শতাধিক থানা আছে। সাংবিধানিক এই সংস্থা ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসককে বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা নির্বাচনের অধিনে রয়েছে। তারা যে নির্দেশনা দিবেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমার প্রশাসনের বদলীর তালিকা করার প্রক্রিয়া শুরু করবো।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলির বিষয়ে মাঠপর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বদলির কারণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না। তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির লক্ষ্যেই মূলত এ রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাঁদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়। এর আগে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলির নির্দেশ দিয়েছে ইসি। এত দিন ধরে ইসি বলে আসছিল, পুলিশ ও প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে বড় রদবদল আনা হবে না। গত ২২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মাঠ প্রশাসনে রদবদল করতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা হলে তার দায় কে নেবে? প্রশাসনে রদবদল করা হবে কি নাসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গত রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল পাল্টা প্রশ্ন রেখেছিলেন, প্রশাসনে রদবদল কে কখন করেছিল? তিনি বলেন, তাঁরা নির্বাচনের স্বার্থে যেটা ভালো মনে করবেন, সেটা করবেন। তবে এখতিয়ারের বাইরে যাবেন না। এখতিয়ারের মধ্যে যা আছে, তা করবেন।

সিইসির এই বক্তব্যের চার দিনের মাথায় পুলিশের মাঠপর্যায়ে বড় রদবদল আনার সিদ্ধান্ত নিল ইসি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। ওই দিন বিকেলে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গেও বৈঠক হয়। এরপর পুলিশ ও প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে রদবদলের চিঠি দেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি জনপ্রশাসনের মাঠপর্যায়েও রদবদল করার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। আজকালের মধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকেন পুলিশ ও প্রশাসনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এবং পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানার ওসিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ওসিরা সরাসরি মাঠে কাজ করেন। এখন সারা দেশে ছয় শতাধিক থানা রয়েছে।

সব থানার ওসিকে বদলির নির্দেশ ইসির॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে পুলিশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত ৬/৭ মাস আগে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার ওসিকে বদলী করে নিয়ে যান বর্তমান সংসদ সদস্য এমএ মতিন। কিন্তু তিনি এবার সরকার দলীয় মনোনয়ন পায়নি। সেই থানার ওসি এখন বিপাকে পড়েছেন। অন্যদিকে কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপারকে রাখার জন্য সুপারিশ করেছিলেন বলে জানান উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ওসির বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে, তাঁদের অন্য জায়গায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।

গতকাল শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সারাদেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে বদলি করা হয়েছে। অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলির কারণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া স্বতন্ত্রসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি। ওসি ও ইউএনওদের রদবদল সরকার চেয়েছে, না কি আপনারা চেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি নির্বাচন কমিশন চেয়েছে। আমাদের কমিশনাররা গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ে সফর করেছেন। তাদের যে ফাইন্ডিংস, তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বসে গত ৩০ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন এমন সিদ্ধান্ত এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের কাছে মাঠপর্যায় থেকে যে তথ্য পেয়েছেন তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন অনুভব করেছে এ বদলি দরকার। কী ধরনের তথ্য পেয়েছেন তারা এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, সব তথ্য তো ওপেনলি বলা হয় না। নির্বাচন কমিশনাররা মাঠপর্যায় থেকে যেসব তথ্য পেয়েছে, বিভিন্ন প্রার্থী কিংবা বিভিন্ন কোয়াটার থেকে যে তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত। তারা মনে করেছে, বদলি করা প্রয়োজন। একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, বড় আকারে রদবদল করা হলে পুলিশ-প্রশাসনে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে, এর দায়ভার ইসি কেন নেবে? আর একটা কথা বলেছিলেন, একশ কোটি টাকা ব্যয় হবে, এ টাকা কে দেবে এমন বিষয় সামনে আনলে তিনি বলেন, একশ কোটি টাকা কেন ব্যয় হবে? তাহলে ওই কমিশনারের কাছে জানতে চাইতে হবে।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বদলির কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। পরে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তখন বলতে পারব। যদি নির্বাচন কমিশন বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে এটা হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। রদবদলের ক্ষেত্রে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নে এ কর্মকর্তা বলেন, আমি মনে করি নেই। একজন কর্মচারী যে উপজেলা বা জেলায় দায়িত্ব পালন করুক না কেন, তিনি সুষ্ঠুভাবেই দায়িত্ব পালন করবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে মেসেজ দিয়েছি। এটা পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের ও আমাদের রিটার্নিং অফিসারদের বলেছি। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এসেছিলেন, সব বিষয়ে তাদের মেসেস দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নিরাপত্তার কোনো ঘাটতিতে না ভোগেন। এরপরও যদি কারও গাফিলতিতে কিছু হয়, তার বিরুদ্ধে ইসি খুব স্ট্রং ব্যবস্থা নেবে। সব প্রার্থীদের বডিগার্ড দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা তো সম্ভব হবে না। এত বডিগার্ড দেওয়া যাবে না। তবে নিরাপত্তার দায়িত্ব তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তারা যেন তা নিশ্চিত করতে পারে, সেটাই আমাদের কাম্য।

Show More

8 Comments

  1. I like the valuable info you provide on your articles.

    I will bookmark your weblog and check once more right here
    regularly. I’m relatively certain I’ll learn a lot of new stuff proper right
    here! Good luck for the next!

    Feel free to surf to my web site vpn special

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button