মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে পাঁচ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে আগের ৪১ থেকে ২০২৩ সালে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হাইতি। পর্যায়ক্রমে চাদ ও মিয়ানমার। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকির দেশ আইসল্যান্ড ১৫২। এর আগে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের আট ধাপ উন্নতি হয়েছিল। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ১৫২টি দেশের ওপর এ র্যাঙ্কিং করা হয়। এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থান ২৭, পাকিস্তান ৬১ ও শ্রীলঙ্কা ৬২তম অবস্থানে রয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১১৯ এবং যুক্তরাজ্যের ১৪০তম।
ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ১২ বছর ধরে এ র্যাঙ্কিং করে আসছে। একটি দেশের পাঁচটি বিষয়ের ভিত্তিতে র্যাঙ্কিং করা হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা পরিপালনে ৬৫, ঘুষ ও দুর্নীতি আর্থিক সচ্ছতা ও মানদণ্ড, আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকিতে ১০ করে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতে ৫ নম্বর রয়েছে।
বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থানে ভূমিকা রেখেছে।
এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) মিউচুয়াল ইভালুয়েশন রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে আটটিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট এবং পাঁচটিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে