যুক্তরাজ্যে ফ্লাইট বিপর্যয়, ভোগান্তি থাকবে ‘কয়েকদিন’
পরিবহন মন্ত্রী মার্ক হারপার বিবিসি কে বলেছেন, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে কয়েক দিন সময় লাগবে
যুক্তরাজ্যের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমে প্রযুক্তিগত বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় শত শত ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে কিংবা বিলম্ব হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন ভ্রমণকারীরা।
মঙ্গলবার বাতিল হয়েছে অন্তত ২৮১ ফ্লাইট। আরও অনেক ফ্লাইটে বিলম্ব হয়েছে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রী মার্ক হারপার বিবিসি কে বলেছেন, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
কারিগরি ত্রুটির কারণে যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। বহু যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েন। যুক্তরাজ্যের এক চতুর্থাংশেরও বেশি ফ্লাইট সোমবার বাতিল হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার বাতিল হয় গ্যাটউইক বিমানবন্দরের ৭৫ টি, হিথ্রো বিমানবন্দরের ৭৪ টি, ম্যানচেস্টারের ৬৩ টি, স্ট্যানটেডের ২৮ টি, লুটনের ২৩ টি এবং এডিনবরার ১৮ টি ফ্লাইট।
কিছু বিমানবন্দরে যদিও বিমান চলাচলের স্বাভাবিক শিডিউল ফিরে আসছে। তবে হাজারো যাত্রী এখনও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের কারণ এখনও জানা যায়নি।
পরিবহন মন্ত্রী মার্ক হারপার বলেছেন, মানুষজনের তাদের গন্তব্যে যেতে আরও কয়েকদিন লাগবে। আগামীকাল যাদের ফ্লাইট আছে তারা বিলম্বের মুখে পড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ সায়মন।
আটকা পড়া যাত্রীদের ব্রিটিশ আইনানুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার আছে। এয়ারলাইন্স এর পক্ষ থেকেও যাত্রীদেরকে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া কিংবা বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
বিমানবন্দর এবং বিমান সংস্থাগুলো ফ্লাইটে বিলম্ব কিংবা ফ্লাইট বাতিলের জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। তাছাড়া কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের সব অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কিছু এয়ারলাইন্স।
দেশটির ন্যাশনাল এয়ার ট্রাফিক সার্ভিস-এনএটিএস থেকে সোমবার জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার খাতিরে তারা ফ্লাইট ওঠা-নামা কার্যক্রমে বিধিনিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হয়েছেন।
এনএটিএস থেকে আরও বলা হয়, প্রযুক্তিগত একটি সমস্যার কারণে এদিন ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাইট পরিকল্পনা প্রক্রিয়া করার ক্ষমতা’ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে সে সংকট তারা কাটিয়ে উঠেছেন বলেও জানানো হয়েছিল।