Bangladesh

রূপগঞ্জ: গাজীর নিয়ন্ত্রণে পাট গবেষণা উপকেন্দ্র, কেটলির এজেন্টকে হত্যার হুমকি

► ঈগল ও আলমিরার নামে নৌকার ১৬ এজেন্ট কাজ করছেন, তারা প্রার্থীর নাম জানেন না, কার্ডও নেই ► মোড়ে মোড়ে গাজীর লোকজনের প্রভাব বিস্তার

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের রূপগঞ্জে তারাবো পাট গবেষণা উপকেন্দ্র নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর লোকজন প্রভাব বিস্তার করে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৯ নম্বর ভোটকেন্দ্রে অন্য কোনো প্রার্থীর ভোটারদের কেন্দ্রে সেভাবে দেখা যায়নি। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেটলির এজেন্টদের কেন্দ্রে না আসার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।

এ কেন্দ্রের কেটলি প্রতীকের (আলহাজ্ব শাজাহান ভূইয়া) এজেন্ট ইলিয়াস মিয়া বলেন, গত রাত থেকে একের পর এক হুমকি দিয়ে  রেখেছেন গাজীর লোকজন। তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। মোবাইলে হুমকি দেওয়ায় মোবাইল বন্ধ রেখেছি। এভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে তারা।

ভয়ে তাকে বাইরে ঘুরতে দেখা গেছে।

কেটলি প্রতীকের আরেক এজেন্ট এলাচি বেগম বলেন, ‘ভয়ের মধ্যে আছি। অনবরত হুমকি দিচ্ছে দস্তগীর গাজীর লোকজন।’ 

ওই কেন্দ্রের আটটি বুথে খোজ নিয়ে জানা যায়, বেশিরভাগ বুথে নৌকা ও ঈগলের এজেন্ট রয়েছেন।

এ ছাড়া কেন্দ্রের বাইরে সড়কজুড়ে কিশোর-যুবকরা ঘোরাফেরা করছেন। তারা কেটলির লোকজনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। 

এদিকে, ৪ নন্বর বুথে নৌকার এজেন্ট নূর আলম এবং বিউটি নামে দুজনকে দেখা যায়। এ ছাড়া ঈগল ও আলমিরা প্রতীকে এজেন্ট পরিচয়ে নৌকার জন্য কাজ করছেন কয়েকজন। নূর আলম ও বিউটি পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিভিন্ন কক্ষে নির্বিঘ্নে আসা-যাওয়া করছেন।

এসব বিষয়ে বাধা দিলে কেন্দ্রের দায়িত্বরত এসআই হাবিবুর রহমানের সাথে তর্কে জড়ান তারা। এর কিছুক্ষণ পরই নূর আলমের লোকজনের তৎপরতার বিষয়ে জানতে দায়িত্বরত এক  সাংবাদিক এগিয়ে গেলে তাকেও  হুঁশিয়ারি করা হয়। এসব বিষয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা প্রিজাইডিং অফিসারকে বিষযটি জানালে নূর আলম তার কক্ষে চলে যান। 

ওই কেন্দ্রের ৮ নম্বর বুথের আলমিরা ও ঈগল প্রতীকের নামে নৌকার লোকজন এজেন্ট সেজে বসে আছেন। বেশিরভাগ এজেন্টের কাছে কোনো কার্ড নেই। 
 
প্রিজাইডিং অফিসার মো. মিজানুর রহমান  বলেন, সকাল ৮টা থেকে  ৯টা ১০ পর্যন্ত ২২০টি ভোট গ্রহণ হয়েছে। তবে ৪ নম্বর বুথে এ সময়ের মধ্যে মাত্র ১২টি ভোট পড়েছে।

এর আগে সকাল থেকেই প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ-আনসার বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা ভোটারদের জন্য অপেক্ষারত ছিলেন।  ঘড়ির কাঁটা ৮টা বাজতেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে বেলা সাড়ে ৯টার দিকে এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৮টা থেকে এখন পর্যন্ত  থেকে সুষ্ঠু ও  সুন্দরভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৬৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৮৪১ জন এবং নারী ভোটার ১৮৪৮ জন। মোট আটটি বুথে ভোট নেওয়া হচ্ছে। 

দায়িত্বরত এআই মো. হাবিবুর রহমান বলেন,  আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি। অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button