রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: পারমাণবিক জ্বালানি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হলেন হাসিনা-পুতিন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এই হস্তান্তর অনুষ্ঠান শুরু হয়। রূপপুরে এ অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরেন পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর।
এরপর পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম ব্যাচের হস্তান্তর সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আনুষ্ঠানিক বক্তৃতা পর্বে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন। এরপর ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা রাখবেন আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশন (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি।
এছাড়া রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভও বক্তৃতা দেবেন।
পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের স্বপ্নটা শুরু হয় ১৯৬১ সালে। জমি অধিগ্রহণের কয়েক বছর পর প্রকল্পটি বাতিল করে দেয় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। স্বাধীন দেশে আবার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিশ্বের স্বীকৃতি, আন্তর্জাতিক সব সনদ অর্জনের মধ্য দিয়ে রূপপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাঠামো তৈরি প্রায় শেষের দিকে। এখন পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় ৩৩তম সদস্য হচ্ছে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে রূপপুরে প্রকল্প এলাকায় এখন সাজ সাজ রব।
অনুষ্ঠানে পারমাণবিক জ্বালানির একটি নমুনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের হাতে হস্তান্তর করবেন রুশ পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর আকাশপথে রাশিয়া থেকে ঢাকায় পৌঁছায় পারমাণবিক জ্বালানি।
বিজ্ঞাপন এরপর বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সড়কপথে এটি রূপপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনই জ্বালানি ব্যবহার করা হবে না, এটি মজুত করে রাখা হয়েছে রূপপুরে। এরপর আজ সকালে পারমাণবিক জ্বালানির দ্বিতীয় চালান রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।