লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সংযত থাকার আহ্বান সৌদির
দক্ষিণ লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করা মার্কিন মালিকানাধীন তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেনের হুথিদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব। হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধের মধ্যে বাড়তি কোনো সংঘাত না যেন না হয় এ কারণে এমন আহ্বান জানিয়েছে রিয়াদ।
সৌদি আরবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরান সমর্থিত হুথিরা ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের চারপাশে ছড়িয়ে পড়া সংঘাতের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ শিপিং লেনের জাহাজগুলোতে আক্রমণ করেছে, ইসরায়েলেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীটি বলেছে, তাদের হামলার উদ্দেশ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দেখানো। যতক্ষণ না ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আক্রমণ বন্ধ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এই ধরণের হামলা চালিয়ে যাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে হুথিরা ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। তারা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় আঞ্চলিক ঝুঁকি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সমুদ্রপথে হুমকির সৃষ্টি হয়েছে যার মাধ্যমে বিশ্বের বেশিরভাগ তেল পরিবহন করা হয়। লোহিত সাগর ঘেঁষে যেসব দেশ রয়েছে তারাও ঝুঁকিতে আছে কারণ এই অঞ্চলের ওপর দিয়েই ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ও রকেট ছুঁড়ে থাকে হুথিরা।
বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব তার ভূখণ্ডে হুথি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার বিষয়টিও সতর্কতার সঙ্গে দেখেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে হুথিরা শিপিংয়ে হামলা বাড়িয়েছে। ওয়াশিংটনের প্রতি রিয়াদের সংযমের বার্তার উদ্দেশ্য ছিল উত্তেজনা থামানো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে তাতে রিয়াদ এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিল। তারা আমেরিকানদের এই বিষয়ে চাপ দিয়েছিল।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সৌদি অর্থনীতির সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য রক্ষার্থে রিয়াদ এই বছর তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। পাশাপাশি প্রায় ৯ বছর ধরে ইয়েমেনে হুথিদের সঙ্গে দেশটির যে যুদ্ধ ছিল তার জন্যে বিরতি চাইছে।