আমেরিকানদের গড় আয়ু ৭৭.৫ বছর
করোনার কারণে থমকে দাঁড়ানো আমেরিকানদের গড় আয়ু কিছুটা বেড়েছে ২০২২ সালে এবং তা দাঁড়িয়েছে ৭৭.৫ বছর। তবে তা এখনও ২০১৯ সালের তুলনায় কম বলে শুক্রবার জানিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) দফতর।
এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি সেন্টার অন সোসাইটি অ্যান্ড হেল্থ’র এমিরিটাস পরিচালক ড. স্টিভেন উল্্ফ গণমাধ্যমে বলেছেন, করোনা থেকে জেগে উঠার ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতিসাধিত হলেও করোনা পূর্ববর্তী ২০১৯ সালের তুলনায় এখনও আমেরিকানদের মৃত্যু হচ্ছে উচ্চহারে-এটাই মূল কারণ। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আমেরিকানদের গড় আয়ু ছিল ৭৮.৯ বছর। সেটি ছিল সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ। সিডিসি আরো জানায়, এক বছরের ব্যবধানে আমেরিকায় শিশু মৃত্যুর হারও বেড়েছে। ২০২২ সালে প্রতি লাখে শিশুর মৃত্যুর হার ছিল ৫৬০.৪। তার আগের বছর ছিল ৩.১%। এটাও গড় আয়ুর লাঘাম টেনে ধরার অন্যতম কারণ। এক থেকে ৪ বছর বয়েসী শিশু মৃত্যুর হার ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ১২% এ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ৫ থেকে ১৪ বছর বয়েসী শিশু মৃত্যু হার বেড়েছে ৭%। ড. উল্্ফ উল্লেখ করেছেন, আমেরিকার শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নাজুক অবস্থা চলছে। এদিকে মনোযোগী হতে হবে।
গড় আয়ু ধীরগতিতে বৃদ্ধি পাবার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় প্রভাব ফেলেছে, সেটি হচ্ছে অত্যাধিক নেশা করা। ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১২ মাসে (করোনা মহামারির ভয়ংকর সময়ে) মাদকাসক্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশী ছিল এবং তা ছিল লক্ষাধিক। ২০২০ সালে সে সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজারের মত। উল্লেখ্য, প্রতি বছর আমেরিকায় গাড়ি দুর্ঘটনা এবং বন্দুক সহিংসতায় গড়ে যত লোকের প্রাণ হারায়, ২০২১ সালে মাদকাসক্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা তার চেয়েও বেশী ছিল বলে সিডিসি জানিয়েছে।
ব্লুমবার্গ জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেল্্থ বিষয়ক অধ্যাপক ড. সুস্যাণ শারমেন বলেছেন, মাদকাসক্ত হবার প্রবণতা হ্রাসের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে। এর নেপথ্য কারণ নিয়ে আরো গভীরভাবে বিশ্লেষণের অবকাশ রয়েছে।