আমেরিকার গোপন খবর চীনে পৌঁছে দিত টিকটক! ফাঁস বিস্ফোরক রিপোর্ট
আমেরিকার সমস্ত তথ্য চীনে পাচার করত টিকটক! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল একটি রিপোর্টে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ফরচুনের দাবি, প্রাক্তন টিকটক কর্মীদের দেয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে টিকটক কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১১ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে ফরচুন। সকলেই টিকটকের প্রাক্তন কর্মী। তাদের কথায়, প্রকাশ্যে দেখানো হয়েছিল চীনা সংস্থা বাইটডান্সের সঙ্গে টিকটকের কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু দুই সংস্থার মধ্যে গোপনে বোঝাপড়া বজায় ছিল। উল্লেখ্য, টিকটক এবং বাইটডান্স দুই সংস্থারই সদর দপ্তর বেইজিংয়ে।
ইভান টার্নার নামে টিকটকের এক প্রাক্তন কর্মীর দাবি, তিনি যে প্রজেক্টে কাজ করতেন সেটার মাধ্যমেই আমেরিকার যাবতীয় তথ্য পৌঁছে দেওয়া হত টিকটকের কাছে। এই প্রজেক্টের নানা শীর্ষপদে কর্মরত ছিলেন মার্কিন নাগরিকরা। তারাও জানতেন যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তথ্য় তুলে দেওয়া হচ্ছে টিকটকের সদর দপ্তর বেইজিংয়ে। ১৪ দিন অন্তর বেইজিংয়ের দপ্তরে তথ্য পাঠানো হত বলে দাবি ইভানের। তবে সরাসরি টিকটক নয়, তথ্য যেত বাইটডান্সের কাছে। যদিও প্রকাশ্যে দুই সংস্থার কোনও যোগাযোগ ছিল না। তবে ইভানের দাবি, গোপনে তথ্য লেনদেন চলত তাদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, টিকটকের মার্কিন গ্রাহকদের নাম, লোকেশান, তাদের এলাকার সমস্ত তথ্যই তুলে দেওয়া হত বাইটডান্সের হাতে। এই তথ্য চীন সরকারের কাছে যেত কিনা, তা অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি এই রিপোর্টে। তবে সেদেশের নিয়ম অনুযায়ী, সরকার চাইলে কোনও সংস্থার গোপন তথ্য দেখতেই পারে। তবে তথ্য পাচারের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে টিকটক কর্তৃপক্ষ। তাদের কথায়, সংস্থার উপর রাগের বশেই এমন মন্তব্য করছেন প্রাক্তন কর্মীরা।