ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: সরকার গঠন নিয়ে আরও নাটকীয়তার আভাস
ফ্রান্সে আকস্মিক নির্বাচনের নাটকীয়তা শেষ হয়েছে। এবার শুরু হয়েছে নাটকীয়তার দ্বিতীয় পর্ব, যা হতে পারে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ। সেখানে অন্তর্বর্তীমূলক একটি সক্রিয় জোট গঠন এতটা সহজ নাও হতে পারে।
গত সোমবার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইমানুয়েল মাখোঁ। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবং অরাজকতার শঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী গেব্রিয়েল আত্তালকে পদে থাকতে বলেছেন। কারণ, তিনি ‘দেশের স্থিতিশীলতাকে’ সর্বাগ্রে রাখতে চান।
ফ্রান্সের বিখ্যাত সংবাদপত্র লু মন্ডার কলামিস্ট সিলভিয়া কফম্যান বিবিসিকে বলেন, ‘বেশ কিছু বিষয় এখনও অস্পষ্ট। আমরা জানি কারা হেরেছেন; কিন্তু জানি না কারা জিতেছেন। এখন কি আমরা ছাড় দেওয়ার শিল্প আয়ত্ত করতে পারব, যা খুব একটা আমাদের মধ্যে দেখা যায় না।’
কার্যত সাংবিধানিক কারণে ফ্রান্সসহ পুরো ইউরোপে অচলাবস্থা সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অনেক নজির আছে।
নির্বাচনের প্রথম দফায় লু পেনের দলসহ কট্টর ডানপন্থি দলগুলো এগিয়ে ছিল। কিন্তু গত শনিবারের দ্বিতীয় দফায় বিস্ময়করভাবে বামপন্থিরা জয়ী হয়। কিন্তু কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সৃষ্টি হয় সংকট। নির্বাচনে ৫৭৭ আসনের ফরাসি পার্লামেন্টে ১৮৮ আসনে জয় পেয়েছে বাপন্থিদের জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট বা এনপিএফ। ৭৪ আসন পেয়েছে কট্টর বামপন্থি দল এলএফআই। মধ্যপন্থিদের নিয়ে গঠিত ইমানুয়েল মাখোঁর জোট অ্যানসেম্বল পেয়েছে ১৬১ আসনে জয়। ১৪২ আসনে জয় পেয়ে ম্যারি লু পেনের কট্টর ডানপন্থি সংগঠন ন্যাশনাল র্যালি তৃতীয় অবস্থানে আছে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনী ২৮৯টি আসন তাদের কেউ না পাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে সংকট।
সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ায় এনপিএফের সরকার গঠনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে সমমনা অন্য দলগুলোকে নিয়ে তারা সরকার গঠন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট পদে দেখা যেতে পারে এনএফপির নেতা জিন-লুক ম্যালেনকনকে। এসব দলের মধ্যে মতবিভেদ যথেষ্ট থাকায় সহজে ঐকমত্যের সরকার গঠন করা সম্ভব হবে– এমনটা মনে করা হচ্ছে না।