যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনে বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের লাইন দীর্ঘ হতে পারে
মার্কিন ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান ডেভিড পেকোস্কে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মার্কিন সরকারের আংশিক শাটডাউন দীর্ঘায়িত হলে বিমানবন্দরে যাত্রীদের অপেক্ষার সময় বেড়ে যেতে পারে।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থিত একটি রাষ্ট্রীয় অর্থবিল পাস করা সম্ভব হয়নি। ফলে, আগামীকাল শনিবার থেকে শাটডাউনের শঙ্কা তৈরি হওয়ায় বড়দিনের ভ্রমণ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের জন্য মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে আনা এই বিলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দেন। এর মাধ্যমে তারা বিলটি পাসে ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করেন।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা অর্থ বিলটি পাস করতে ব্যর্থ হলে মার্কিন সরকারের কিছু কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে ২০ লাখের বেশি ফেডারেল কর্মীর বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে, সরকারের এই শাটডাউন এড়াতে মার্কিন কংগ্রেসে এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে, মার্কিন ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (টিএসএ) প্রধান ডেভিড পেকোস্কে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মার্কিন সরকারের আংশিক শাটডাউন দীর্ঘায়িত হলে বিমানবন্দরে যাত্রীদের অপেক্ষার সময় বেড়ে যেতে পারে।
টিএসএ জানিয়েছে, তাদের ৬২ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার জন অত্যাবশ্যক কর্মী। মার্কিন সরকার যদি অর্থায়নের বিষয়ে সমঝোতায় না পৌঁছায়, তাহলে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া শাটডাউনের মধ্যে তারা বেতন ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাবেন।
ট্র্যাফিক এয়ার কন্ট্রোলার ও টিএসএ কর্মকর্তারা সেসব ফেডারেল (সরকারি) কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন, যাদের কাজ চালিয়ে যেতে হলেও বেতন পাবেন না।
ডেভিড পেকোস্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, “আমাদের কর্মীরা যাত্রীদের উচ্চচাপ সামলাতে এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে প্রস্তুত। তবে দীর্ঘ শাটডাউনের কারণে বিমানবন্দরে অপেক্ষার সময় বেড়ে যেতে পারে।”
ছুটির মৌসুমে টিএসএ প্রায় ৪ কোটি যাত্রীর নিরাপত্তা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা নতুন রেকর্ড হতে পারে।
কোনো সমঝোতা না হলে ফেডারাল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করতে বাধ্য হবে।
২০১৯ সালে ৩৫ দিনের শাটডাউনের সময় টিএসএ এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারদের অনুপস্থিতি বেড়ে যায়। বেতন না পাওয়ায় অনেক কর্মী কাজ থেকে বিরত থাকেন।
এতে বিমানবন্দরের চেকপয়েন্টে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এফএএ তখন বিমান চলাচল ধীর করে দিতে বাধ্য হয়, যা কংগ্রেসকে দ্রুত সমাধান আনতে চাপ দেয়।