রাশিয়ার বিজয় দিবসে আবারো দেখা হতে পারে পুতিন-মোদীর

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারতের সাথে বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় সম্মেলনে অংশ নিতে দিল্লী সফরে আসতে পারেন, এ বিষয়েও চলছে নানা আলোচনা। এখন দু’দেশই যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পারস্পরিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করতে চায় তা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে।
রাশিয়ার বিজয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ৯ মে ৮০তম বিজয় দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে রাশিয়া। তবে এই আমন্ত্রণে নরেন্দ্র মোদী নিজে যাবেন কিনা এ নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কিছুই জানা যায়নি। এদিকে সাবেক কূটনীতিকেরা মনে করছেন, রাশিয়ার আমন্ত্রণকে ভারত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, সময় মতো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।
ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি প্রথমে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারতের সাথে বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় সম্মেলনে অংশ নিতে দিল্লী সফরে আসতে পারেন, এ বিষয়েও চলছে নানা আলোচনা। এখন দু’দেশই যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পারস্পরিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করতে চায় তা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে।
সাবেক কূটনীতিকেরা মনে করছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বরাজনীতিতে নানা মেরূকরণ হয়েছে। তবে ‘ভারসাম্যের’ নীতির কথা বলে এসেছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের চাপের মুখেও ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্কে কোনো ছেদ পড়েনি।
তারা বলেন, যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রও এখন তৎপর হয়েছে। আর এমন পটভূমিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্কের সমীকরণও অনেকটা বদলেছে। যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা নিয়ে ভারতের উপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে চাপ তৈরি হয়েছিল তা এখন অনেকটা কমে এসেছে।
এজন্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এখনকার পরিস্থিতির বিবেচনায় দু’দেশের (ভারত-রাশিয়া) মধ্যে সম্পর্ক এবং শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে সম্ভাব্য সাক্ষাৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাবেক কূটনীতিক রাজীব ডোগরা বিবিসিকে বলেছেন, ভারতের সাথে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং বর্তমান রাশিয়ার সম্পর্ক আজকের নয় তা অনেক পুরনো। ঐতিহাসিকভাবে দু’দেশ একে অপরের পাশে আছে। আমাদের সম্পর্ক অনেক নিবিড়, বন্ধুত্বপূর্ণ ও কৌশলগতদিক থেকেও ভালো অবস্থায় আছে।’
তিনি মনে করেন, ‘শুধুমাত্র ভারত ও রাশিয়ার স্বার্থের জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমন্ত্রণের খবর প্রথম প্রকাশ করে রাশিয়া
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে জার্মানির নাৎসি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই বিজয়কে স্মরণ করে ৯ মে বিজয় দিবস উদযাপন করে আসছে রাশিয়া। দিবসটি উদযাপনের প্রধান আকর্ষণ বা অনুষ্ঠান মস্কোর রেড স্কোয়্যারে গ্র্যান্ড মিলিটারি প্যারেড।
দিল্লিতে কর্মকর্তারা বলছেন, এই অনুষ্ঠানে রাশিয়া যে ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে, সেকথা আগেই অনুমান করা হয়েছিল। চলতি মাসের প্রথম দিকেই সেই খবর নিশ্চিত করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘টিএএসএস’ সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছিল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। প্রতিবেদনের স্বপক্ষে ভারত সরকারের একটি সূত্রকে উদ্ধৃতও করা হয়।
এই আমন্ত্রণের বিষয়ে সেই সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু বলা না হলেও, বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন কে, তা এখনো অস্পষ্ট
সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে রাশিয়ার বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে ঠিক সময়ে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে আমাদের অংশগ্রহণ নিয়ে ঘোষণা করা হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে মস্কো এবং দিল্লি দু’দেশের ঐতিহ্যগত সম্পর্কের বিষয়ে উল্লেখ করে পারস্পরিক সহযোগিতার বাড়ানোর কথা বারবার বলেছে। সেই আবহে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্ভাব্য ভারত সফর এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিজয় দিবসে আমন্ত্রণ জানানো যে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, সেটা অনেকটা স্পষ্ট।
‘নেতাদের মধ্যে সাক্ষাৎ দু’দেশের জন্যই ইতিবাচক’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পরলোকগত ড. মনমোহন সিংয়ের সাথে ২০০৫ সালে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মিস্টার ডোগরা। ওই সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি।
সেই অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বিবিসিকে বলেছেন, ‘ভিক্ট্রি প্যারেড কিন্তু রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান এবং তা গর্বের সাথে উদযাপন করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সামরিক ও বেসামরিক নাগরিক মিলিয়ে যে পরিমাণ প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে সেই কথা স্মরণে রেখেই দিনটিকে উদযাপন করা হয়।’
তিনি বলেছেন, ‘বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির কথা মাথায় রেখেই রাশিয়ায় ভিক্ট্রি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের মর্যাদা ও তাৎপর্যের কারণেই সেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।’
তিনি আরো বলেন, ‘এমন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া একদিকে যেমন বিশেষভাবে অর্থবহ, তেমনই (দু’দেশের) রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে সাক্ষাৎ দু’দেশের পক্ষেই ইতিবাচক। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে আম-জনতার কাছে এই বার্তা যায় যে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে।
ভারত- রাশিয়া সম্পর্ক কোন পথে
দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ৭৮ বছর পূর্ণ করেছে। এ সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৩ এপ্রিল। এ উপলক্ষে দিল্লির প্রতি বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছিল রাশিয়া। তাতে বলা হয়েছিল, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিক বিকাশ এবং দিল্লির তরফে বহুমুখী সহযোগিতা যে ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এমনটিই আশা করছে রাশিয়া।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎ হয়েছে। গতবছর জুলাইয়ে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর গত অক্টোবর মাসে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া যান তিনি।
সেই সময় প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদী। আমন্ত্রণে সাড়াও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সম্প্রতি জানিয়েছেন, দু’দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য পুতিন ভারতে আসছেন এবং ওই সফরের প্রস্তুতি চলছে। গত বছর ওই একই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মস্কো গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সের্গেই লাভরভ বলেছেন, ‘আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। একাধিকবার সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছে এই দু’দেশ। পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অন্যের স্বার্থের কথা বিবেচনার ভিত্তিতে দু’দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’
ভারত-রাশিয়ার কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সম্পর্কও দীর্ঘ দিনের। মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার (৬,৫০০ কোটি ডলার)। ২০৩০ সালের মধ্যে তা ১০০ বিলিয়ন ডলার (১০,০০০ কোটি ডলার) করতে চায় দু’দেশই।
বাণিজ্যের মধ্যে একটি বড় অংশ হলো রাশিয়া থেকে ভারতে আমদানি হওয়া অপরিশোধিত তেল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে থেকেছে পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতেও ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত ছিল।
তেলের পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, প্রযুক্তি ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের তামিলনাডুতে কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে রাশিয়ার সহযোগিতা দু’দেশের সম্পর্ককে আরো মজবুত করেছে।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্কের সমীকরণ বদলেছে। এর ফলে ভারত উপকৃত হতে পারে বলেও আশা করা হচ্ছে।
সাবেক কূটনীতিক অশোক সজ্জনহার বিবিসিকে বলেছেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো ক্রমাগত রাশিয়ার নিন্দা করার জন্য ভারতকে চাপ দিচ্ছিল। এখন সেই চাপও অনেকটা কমবে।’
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
মিস্টার ডোগরার মতে, ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক দু’দেশের জন্যই সমান গুরুত্ব রাখে। ভারত এবং রাশিয়া প্রয়োজনের সময় একে অন্যের পাশে থেকেছে। ১৯৪৭ থেকে ষাটের দশকের শেষের দিক পর্যন্ত কাশ্মীর ইস্যুতে তারা জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের সময় প্রয়োজনে ভেটো প্রয়োগ করেছে।’
‘গোয়া থেকে পর্তুগিজদের সরানোর ক্ষেত্রেও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের পক্ষে থেকেছে।’ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, একইভাবে রাশিয়ার পাশে থেকেছে ভারত।’
ডোগরা বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের আবহে ভারত কিন্তু রাশিয়া থেকে তেলের আমদানি অব্যাহত রেখেছে। সেই সময়ে রাশিয়ার অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতার প্রয়োজন ছিল, এবং ভারত যথাসাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, ভারতে পরিশোধিত হওয়া তেল আবার ইউরোপ কিনেছে। কাজেই শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে যে এই দু’দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব রয়েছে এমন নয়, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও এর গুরুত্ব আছে।’
এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাক্ষাৎ গুরুত্ব রয়েছে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ উপমন্যু বসু বলেছেন, ‘দু’দেশের মধ্যে উচ্চস্তরের বৈঠক বরাবরই উল্লেখযোগ্য, বিশেষত কৌশলগত দিক থেকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্কনীতি বিষয়ক পদক্ষেপ, ব্রিকস নিয়ে তার মন্তব্য এবং সর্বোপরি চীনের কথা মাথায় রাখলে, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে যে কোনো বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দু’দেশের মধ্যে যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক রয়েছে, সেটিকে উদ্দীপ্ত করে।’
মানব রচনা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক উপমন্যু বসু মনে করেন, ‘চীনকে মোকাবেলা করতে হলে, ভারতের রাশিয়াকে প্রয়োজন। রাশিয়ার মতো একটি দেশকে কখনোই সাইডলাইন করা যাবে না।’
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের জন্য রাশিয়ার ওপর ভারতের নির্ভরতাও বেড়েছে।
এ বিষয়ে উপমন্যু বসু বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরে তেলের জন্য রাশিয়ার উপর ভারতের নির্ভরতা বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে। ভারত কিন্তু রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড পার্টনারে পরিণত হয়েছে। তাতে বোঝা যায়, দু’দেশের জন্যই এই সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।