আন্তর্জাতিক সমর্থন ছাড়াই গাজা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইসরায়েলের
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এরই মধ্যে প্রায় ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী, শিশু ও কিশোর। আহত হয়েছে অর্ধলাখের বেশি। বর্বর এই আগ্রাসনে এত সংখ্যক বেসামরিক মানুষের হতাহতের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে।
তবে ইসরায়েল বলছে, আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে অথবা ছাড়াই গাজা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে তারা। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জানিয়েছেন- আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে বা ছাড়াই’ ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। তার দাবি, সংঘাতের এই পর্যায়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে তা হামাসের জন্য একটি ‘উপহার’ হবে এবং তা এই গোষ্ঠীটিকে আবারও ফিরে আসার সুযোগ দেবে।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষের সংখ্যা এবং সেখানে মানবিক সংকটের কারণে ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ।
এতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি হয় মঙ্গলবার। এতে প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ১৫৩টি দেশ। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রিয়া ও চেক রিপাবলিকসহ ১০টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। আর ভোটদান থেকে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য ও জার্মানিসহ ২৩টি দেশ। যদিও সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবটি মানা বাধ্যতামূলক নয়, তারপরও এটি বৈশ্বিক মতামতের সূচক হিসেবে কাজ করে থাকে।
এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের সমালোচনা করে বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণের কারণে ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী সমর্থন হারাচ্ছে।