Bangladesh

ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগ নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে আইসিটি

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি জাতীয় ট্রাইব্যুনাল। এটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজ করছে। এই ট্রাইব্যুনালের আদেশ-নির্দেশ যদি কোনো সংস্থা বা বাহিনী না মানে — তাহলে ধরে নেওয়া হবে তারা রাষ্ট্রের কাজে সহযোগিতা করছেন না, এবং আইন অনুযায়ী কাজ করছেন না। 

ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগ নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে আইসিটি

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি জাতীয় ট্রাইব্যুনাল। এটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজ করছে। এই ট্রাইব্যুনালের আদেশ-নির্দেশ যদি কোনো সংস্থা বা বাহিনী না মানে — তাহলে ধরে নেওয়া হবে তারা রাষ্ট্রের কাজে সহযোগিতা করছেন না, এবং আইন অনুযায়ী কাজ করছেন না। 

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকার পরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছেড়ে গেলেন তা জানতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদেরকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়ে এ ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আইসিটির চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ওবায়দুল কাদের তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বাংলাদেশে তিন মাস ছিলেন। এরপরও তিনি কোথায়-কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তিনি কীভাবে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করেছেন, এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা যেন দেওয়া হয়– সে ব্যাপারে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি জাতীয় ট্রাইব্যুনাল। এটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজ করছে। এই ট্রাইব্যুনালের আদেশ-নির্দেশ যদি কোনো সংস্থা বা বাহিনী না মানে — তাহলে ধরে নেওয়া হবে তারা রাষ্ট্রের কাজে সহযোগিতা করছেন না, এবং আইন অনুযায়ী কাজ করছেন না। 

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথম অবস্থায় তাদের শুধু এটুকু বলব, ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মানতে হবে। এটা আপনার আইনগত দায়িত্ব ও রাষ্ট্রের প্রতি আপনার আনুগত্যের প্রশ্ন। যদি কেউ আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরও – কোনো আসামিকে পালাতে সহযোগিতা করে, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা আইন অনুযায়ী কাজ করছেন না। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী অগ্রসর হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আমরা এখনই সেদিকে যাব না। সবার প্রতি আহ্বান জানাব, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য নয় বরং আপনারা আইন এবং বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি আপনাদের আনুগত্য দেখাবেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। বিদেশে পালান তার দলের অনেক নেতা ও বেশিরভাগ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরাও। এরমধ্যে কিছু নেতা-মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তবে ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে শুরু থেকেই অস্পষ্টতা ছিল। প্রথম দিকে ছড়িয়েছিল তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। পরে জানা যায়, সে তথ্য সঠিক নয়।

এর মধ্যে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক খবর দিয়েছে, সরকার পতনের পর তিন মাস ওবায়দুল কাদের দেশেই ছিলেন। পরে তিনি বিদেশে চলে যান।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports