মধ্যপ্রাচ্যের আগুনে ঘি ঢালল যুক্তরাষ্ট্র
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি দিন দিন উত্তাল হয়ে উঠছে। ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে চলছে ইসরাইলি হামলা। ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী। এর প্রতিবাদে হুথিদের লক্ষ্য করে পালটা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও হামলা বেড়েছে। গোলাবারুদের আগুনে পুড়তে থাকা অঞ্চলটিতে এবার নতুন করে ঘি ঢালল যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার রাতভর ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এই দুই দেশের সাতটি স্থানে মোট ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। আবার গতকাল হুতিদের ৩০ স্থাপনার ওপর হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলায় ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি’সহ অনেক বেসামরিক ও সামরিক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী। এএফপি, সিএনএন।
গত ২৮ জানুয়ারি জর্ডানে এক মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত ‘ইসলামিক রেসিস্ট্যান্স ইন ইরাক’ নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে। এমনকি এদিনের হামলার দায়ও স্বীকার করেছে সংগঠনটি। জর্ডানে হামলার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলার অনুমোদন দেয় ওয়াশিংটন। এই হুঁশিয়ারির পরদিনই দুই দেশে আক্রমণ শুরু করেছে মার্কিন সেনারা।
হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছে সিরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ইরাক ও সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা খুব বিপজ্জনক উপায়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতে ইন্ধন জোগায়। হামলার নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই হামলার ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের প্রচারিত সব অজুহাত এবং মিথ্যাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে সিরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইরাকও একই ধরনের সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা ‘মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করতে পারে বলে’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরাকের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া রসুল। তিনি আরও বলেন, ‘এই হামলাগুলোকে ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এই আক্রমণ ইরাক এবং এই অঞ্চলকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে এমন হুমকি তৈরি করছে।’ মার্কিন আক্রমণের ফলাফল ইরাক এবং অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হবে বলেও উল্লেখ করেছেন ইয়াহিয়া রসুল।
ফিলিস্তিনি হামাসও সিরিয়া ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের ‘আগুনে তেল’ ঢালছে ওয়াশিংটন। ‘ইরাক ও সিরিয়ায় এই হামলার সম্পূর্ণ দায়ভার যুক্তরাষ্ট্র বহন করে’ বলেও উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি দিন দিন উত্তাল হয়ে উঠছে। ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে চলছে ইসরাইলি হামলা। ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী। এর প্রতিবাদে হুথিদের লক্ষ্য করে পালটা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও হামলা বেড়েছে। গোলাবারুদের আগুনে পুড়তে থাকা অঞ্চলটিতে এবার নতুন করে ঘি ঢালল যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার রাতভর ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এই দুই দেশের সাতটি স্থানে মোট ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। আবার গতকাল হুতিদের ৩০ স্থাপনার ওপর হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলায় ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি’সহ অনেক বেসামরিক ও সামরিক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী। এএফপি, সিএনএন।
গত ২৮ জানুয়ারি জর্ডানে এক মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত ‘ইসলামিক রেসিস্ট্যান্স ইন ইরাক’ নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে। এমনকি এদিনের হামলার দায়ও স্বীকার করেছে সংগঠনটি। জর্ডানে হামলার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলার অনুমোদন দেয় ওয়াশিংটন। এই হুঁশিয়ারির পরদিনই দুই দেশে আক্রমণ শুরু করেছে মার্কিন সেনারা।
হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছে সিরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ইরাক ও সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা খুব বিপজ্জনক উপায়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতে ইন্ধন জোগায়। হামলার নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই হামলার ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের প্রচারিত সব অজুহাত এবং মিথ্যাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে সিরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইরাকও একই ধরনের সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা ‘মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করতে পারে বলে’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরাকের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া রসুল। তিনি আরও বলেন, ‘এই হামলাগুলোকে ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এই আক্রমণ ইরাক এবং এই অঞ্চলকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে এমন হুমকি তৈরি করছে।’ মার্কিন আক্রমণের ফলাফল ইরাক এবং অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হবে বলেও উল্লেখ করেছেন ইয়াহিয়া রসুল।
ফিলিস্তিনি হামাসও সিরিয়া ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের ‘আগুনে তেল’ ঢালছে ওয়াশিংটন। ‘ইরাক ও সিরিয়ায় এই হামলার সম্পূর্ণ দায়ভার যুক্তরাষ্ট্র বহন করে’ বলেও উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।