‘মিথ্যা অজুহাতে সেন্টমার্টিনে নিষেধাজ্ঞার রহস্য জনগণ জানতে চায়’
নারিকেল জিঞ্জিরাখ্যাত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’। একইসঙ্গে মিথ্যা অজুহাতে দ্বীপে যাওয়া ও অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার রহস্য জনগণ জানতে চায় বলে জানায় তারা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি করেন।
সংগঠনটির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, বিদেশি জার্নালের রেফারেন্স টেনে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেছেন— পর্যটকরা কোরাল স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে, তাই ২০৪৫ সালের মধ্যে নাকি সকল কোরাল ক্ষয় হয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ (নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ) ডুবে যাবে।
পরিবেশ উপদেষ্টার এমন বক্তব্যকে অবৈজ্ঞানিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবেশ উপদেষ্টার এই কথা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। বাস্তবতা হচ্ছে— দ্বীপের কোরালগুলো অনেক বড়, অনেক ওজন, অনেক ধারালো এবং পানির অনেক নিচে থাকে যেগুলো মানুষের পক্ষে তুলে আনা সম্ভব নয়। কোরাল নিয়ে আসা দূরের কথা, জীবন্ত কোরালে হাত দিলেই হাত কেটে যায়।
তাই কথিত বিদেশি জার্নাল কিংবা পরিবেশবাদীদের কোরাল নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যে বক্তব্য সেটি অসত্য ও মিথ্যা প্রচারণা। তাই মিথ্যা অজুহাতে দ্বীপে যাওয়া ও অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার রহস্য জনগণ জানতে চায় বলে জানান জিয়াউল হক।
সেন্টমার্টিন দ্বীপটি ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে বক্তরা বলেন, দ্বীপে ভ্রমণ বন্ধ রাখলে এক সময় দ্বীপ জনশূন্য হয়ে যাবে। পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের মগ, আরাকানি ও ভারতের জেলেরা একসময় দ্বীপটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাবে। ইতিমধ্যেই মিয়ানমার ও আরাকান আর্মি দ্বীপটিকে একাধিকবার তাদের বলেও দাবি করেছে। দেশের অখণ্ডতা রক্ষার তাগিদেই নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপে জনগণের আসা যাওয়াকে উৎসাহিত করতে হবে।