Bangladesh

সর্বত্র হেলমেটবাহিনী আতঙ্ক

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা ঢাকায় গত ২১ নভেম্বর বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস এবং সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসা লক্ষ করে ককটেল হামলা হয়েছে :: রাজনীতিতে যে অশুভ সন্ত্রাসী হামলা তা দেশকে চরম নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাবে -বদিউল আলম মজুমদার :: হেলমেট পরা হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে পুলিশ সাহায্য করেছে -আফরোজা আব্বাস :: কোনো ধরনের ছদ্দবেশ ধারণ করে অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না -ডিএমপি কমিশনার

রাজনৈতিক অঙ্গনে মুখোশ ও হেলমেট বাহিনীর আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মুখোশ বা হেলমেট পরা বাহিনী হামলা করছে। কারো কারো বাড়িতে হেলমেট পরা বাহিনী ককটেল নিক্ষেপ করে নিরাপদে পালিয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও বা নেতা-কর্মীদের না পেয়ে তাদের বাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে এমন হামলায় মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বিগ্ন। এরকম সন্ত্রাসী হামলা দেশকে চরম নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাবে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তারা এই সব হামলার সুষ্ঠু তদন্ত্যের দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপির অভিযোগ পুলিশের সহায়তায় সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা মুখোশ বা হেলমেট পরে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা করছে। এ সব হামলাকারীরা পুলিশের সামনে দিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যাচ্ছে। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করে বলছে, হামলাকারী ওই সন্ত্রাসীরা মুখোশ বা হেলমেট যাই পরে ছদ্দবেশে থাকুক না কেন তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে।

এর আগে ২০১৮ সালে রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমন করতে হেলমেট বাহিনী হামলা করে। শিক্ষার্থীদের সে আন্দোলনে জিগাতলা ধানমন্ডি এবং সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ছাত্রদের ওপর হামলা হয়। যারা হামলা করেন তারা পুলিশের সঙ্গেই ছিলেন। তাদের মাথায় ছিল হেলমেট এবং হাতে লাঠি, রড, জিআই পাইপ এবং রামদা ও চাপাতি। পুলিশের সামনেই হেলমেটধারীরা হামলা চালায়। তারা রীতিমতো সশস্ত্র অবস্থায় পুরো এলাকাজুড়ে মহড়া দেয়। হামলার পুরোটা সময় হামলাকারীরা পুলিশের সঙ্গে থাকলেও পুলিশ তাদের তখন গ্রেপ্তার বা আটক করেনি। এই হেলমেট বাহিনী কারা সে বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেক কথা বললেও পুলিশ ছিল একেবারেই চুপ।

শিক্ষার্থীদের ওপর সেই ২০১৮ সালে হেলমেটবাহিনী বর্বর হামলা চালিয়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এবার বিরোধী দলে সরকারবিরোধী আন্দোলনকেও দমন করতে পুলিশের ছত্রছায়ায় হেলমেটবাহিনী সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা করছে এমন অভিযোগ অনেকের।

এ বিষয়ে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনীতিতে যে অশুভ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে তা জাতির জন্য অশনি সঙ্কেত। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে যে ভাবে মুখোশধারী বা হেলমেটবাহিনী আক্রমণ করছে তা খুবই উদ্বেগজনক। এর আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল সেখানেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর হেলমেটবাহিনী আক্রমণ করেছিল। এখনো বেছে বেছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে। এটা দেশকে চরম নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাবে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনলে দেশকে অরাজক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করা অসম্ভব হবে।
মুখোশ বা হেলমেট পরে হামলার এই প্রবণতা শুরু হয় গত অক্টোবরের থেকে। ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর এই হামলার ঘটনা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। গত ১ মাসে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সিলেট, যশোর, নোয়াখালী, ও লালমনিরহাটে বিএনপির অন্তত ৯৩ জন নেতা-কর্মীর বাড়িতে হামলা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাদের বাড়িতে হামলার পাশাপাশি গত দুই মাসে রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে অন্তত ১৮টি গুপ্ত হামলা হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন একজন। সেই সব ঘটনায় কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।


চলতি মাসের শুরুতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবু মোহাম্মদ মাসুমের বাড়িতে তিন দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার কাছাকাছি। ১ নভেম্বর সকালে তার বাড়িতে ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা’ ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তার পরিবার। এরপর রাতে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার নেতৃত্বে অন্তত ৫০ জনের একটি দল মাসুমের বাড়িতে আবার হামলা চালায়। এই ঘটনার একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, হামলাকারীরা মাসুমের বাড়ির ফটকে রামদা ও রড দিয়ে আঘাত করছেন। একপর্যায়ে ফটক ভেঙে তারা বাড়ির ভেতরে ঢুকে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন এমনকি শৌচাগারের কমোডও ভাঙচুর করেন। হামলাকারীরা আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে মাসুমের পরিবার। এই হামলার ঘটনার পর মাসুমের পরিবার রূপগঞ্জ ছেড়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। গত ১৪ নভেম্বর ভাড়া বাসায়ও ভাঙচুর চালানো হয়। ওইদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে একদল লোক মাসুমের ভাড়া বাসায় ঢুকে ভাঙচুর করে। বসুন্ধরার বাসায় হামলার ঘটনার তিন দিন পর কক্সবাজার থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাসুম এখন কারাগারে। এই কয়েক দফা হামলার ঘটনার পরও মাসুমের পরিবার পুলিশের কাছে যায়নি। বিএনপির কোনো নেতাও এ বিষয়ে অভিযোগ করেননি। তারা মনে করেন, পুলিশের কাছে গিয়ে কোনো লাভ হবে না বরং আরও হামলা বা মামলার শিকার হতে হবে।

চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের প্রায় সবাই কারাগারে অথবা আত্মগোপনে। বাড়িতে থাকছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। তবে তাদের পরিবারের সদস্যরাও এখন হেলমেটবাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।

সর্বশেষ গত ২১ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বর্তমানে কারাবন্দি মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল হামলা হয়। মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, হেলমেট পরা দুজন এসে বাসা লক্ষ করে ককটেল ছুড়ে মারেন। কিছুটা দূরে মোটরসাইকেলে আরও কয়েকজন ছিলেন। পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের বিএনপির দলীয় সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসভবন লক্ষ্য করে গত ২১ নভেম্বর রাতে ককটেল হামলা হয়েছে।

অবশ্য পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ডিএমপি কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাত-দিন কাজ করছে পুলিশ। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের নিরাপত্তায়ও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কেউ মুখোশ পড়ে কিংবা নিজেদের আড়াল করে কোনো অপরাধ বা কারো ওপর হামলা-আক্রমণ করলে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। এ বিষয়ে পুলিশ সর্তক রয়েছে। কোনো ধরনের ছদ্দবেশ ধারণ করে অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ ধরনের ঘটনায় ঘটলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।

হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে নারায়ণগঞ্জে। ওই জেলায় গত ১ মাসে বিএনপির অন্তত ৬৩ জন নেতা-কর্মীর বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন ১৫ নভেম্বর রাতে নোয়াখালীতে বিএনপির ১৪ জন নেতা-কর্মীর বাড়িতে হেলমেট পরে হামলা চালায় স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘হেলমেট বাহিনী’। এরপরের কয়েক দিনে বিএনপির আরও পাঁচ নেতা-কর্মীর বাড়িতে এবং একজনের মোটরসাইকেলের গ্যারেজে হামলা চালানো হয়। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপির চার নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় একদল ‘মুখোশধারী’। ১৯ নভেম্বর লালমনিরহাটে দলের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর বাসভবনে হামলা করে আগুন দেওয়া হয়, যেটি তিনি অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবেও ব্যবহার করেন। গত ১৮ নভেম্বর হামলা হয় যশোরে বিএনপির নেতা মরহুম তরিকুল ইসলামের বাড়িতে। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে তরিকুলের বাড়ির ফটক লক্ষ্য করে মাত্র দেড় মিনিটে ২৫টি ককটেল ছুড়ে মারে মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরা যুবকেরা। যশোরের অভয়নগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারাজী মতিয়ার রহমানের বাড়ি লক্ষ্য করে গত ১৬ নভেম্বর রাতে ককটেল ছুড়ে মারা হয়। একই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মশিয়ার রহমানের বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল হামলা হয় গত ১৩ নভেম্বর গভীর রাতে।


গত ১৮ নভেম্বর রাতে নওগাঁ সদর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিএনপির সাংস্কৃতিক শাখা জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার জেলা কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিনকে (৫২) জেলা সদরের ইয়াদালির ক্রসিং এলাকায় একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মুখোশ ও হেলমেট পরা একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে একটি ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার থামায় যেটিতে কামাল রাত সোয়া ৯ টার দিকে সান্তাহার রেল স্টেশন এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গত ২৯ অক্টোবর রাতে রাজশাহী নগরীর রাজীব চত্বরে তার প্রাইভেট চেম্বার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় একদল মুখোশধারী হামলাকারী সাবেক ছাত্রশিবির নেতা গোলাম কাজেম আলী আহমদকে কুপিয়ে হত্যা করে, যিনি শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চর্মরোগের সহকারী অধ্যাপকও ছিলেন।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলার এসব ঘটনার কোথাও কোনো মামলা হয়নি। বিএনপির নেতারা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় এসব হামলা করছেন। পুলিশ তাদের কিছু বলে না, বরং বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে। সেখানে নেতাকর্মীদের না পেলে স্বজনদের ধরে নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় অনেক স্থানে নিরিহ সাধারণ মানুষকে ধরে পুলিশ বাণিজ্য করছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।

এসব হামলার বিষয়ে বিএনপি কেন মামলা করছে না জানতে চাইলে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, পুলিশের কাছে গিয়ে কোনো লাভ নেই। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা নেয় না। উল্টো তাদের নামে আরও মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে উল্টো হামলার শিকার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে। এর উদাহরণ হলো নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু মোহাম্মদ মাসুম। তাকে বাড়ি ছাড়া করার পর ঢাকায় তার ভাড়া বাসায়ও হামলা করা হয়েছে এবং সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে। এরপরও পুলিশ উল্টো তাকে গাড়ি পুড়ানোর মামলায় গ্রেফতার করেছে।

বাড়িতে হামলা করে কোনো কোনো এলাকায় হামলাকারীরা নগদ টাকা ও সোনাদানা লুট করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহার উদ্দিন বলেন, গত ১৮ নভেম্বর তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও দুটি মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ হামলা অথবা লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র যুবদলের সহ-সভাপতি মো. আকরাম ও তার ভাই বিএনপি নেতা মো. দুলাল আত্মগোপনে রয়েছেন। ২ নভেম্বর রাতে রামদাসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র হাতে ২০-২৫ জন যুবক আকরামের বাড়িতে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে লুটপাট চালায়। ভুক্তভোগীদের দাবি, হামলাকারীরা দুই লাখ টাকা, আট ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩৬০ জোড়া কবুতর নিয়ে গেছে। এমনকি সাতটি ভ্যানগাড়ি এনে আসবাবপত্র নিয়ে যায় তারা। তবে আকরামের পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়টি নিয়ে এখন কোনো কথা বলতে চান না।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto