অক্লান্ত পরিশ্রম করে ট্রাম্পকে জিতিয়ে এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন!
গাজায় হামলায় ইসরায়েলের প্রতি বাইডেনের সমর্থন থাকার প্রতিবাদে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নেতারা।
তবে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় ইসরায়েলপন্থীদের নিয়োগ দেয়াতে তারা এখন হতাশ। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে তারা এমনটাই জানিয়েছেন।
ট্রাম্প রিপাবলিকান সেনেটর মার্কো রুবিওকে সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে বেছে নিয়েছেন, যিনি ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক। এই বছরের শুরুর দিকে, রুবিও বলেছিলেন যে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে কথা বলবেন না এবং তিনি বিশ্বাস করেন হামাসের ‘প্রতিটি উপাদান’ ইসরায়েলের ধ্বংস করা উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘এই মানুষগুলো হিংস্র পশুর মতো।
‘সাবেক আরকানসাস গভর্নর এবং কট্টর ইসরায়েল-সমর্থক কনজারভেটিভ মাইক হাকাবিকে ইসরায়েলে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। যিনি পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে সমর্থন করেন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনে দ্বি-রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ‘অকার্যকর’ বলে মত দিয়েছিলেন।’
তিনি রিপাবলিকান নেতা এলিস স্টেফানিককে বেছে নিয়েছেন, যিনি গাজায় মৃত্যুর নিন্দার জন্য জাতিসংঘকে গালমন্দ করেছিলেন। তাকে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নেতারা বলেন, ‘আমাদের কারণে জিতেছেন ট্রাম্প এবং আমরা তার সেক্রেটারি অব স্টেটের মনোনয়ন এবং অন্যান্য যাদের মনোনয়ন দিয়েছেন তাতে মোটেও খুশি নই,’ এমনটি বলেছেন ফিলাডেলফিয়ার একজন শীর্ষ বিনিয়োগকারী রাবিউল চৌধুরী। তিনি পেনসিলভানিয়ায় ‘অ্যাব্যান্ডন হ্যারিস’ প্রচারাভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ‘মুসলিমস ফর ট্রাম্প’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
মুসলিমদের সমর্থন ট্রাম্পকে মিশিগানে জিততে সহায়তা করেছে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে (সুইং স্টেট) তার জয়ের কারণ।