অজুহাত পেলেই বাড়ে দাম
চট্টগ্রামে সবজির বাজারের আগুন কোনোভাবেই নেভানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি হোক আর কড়া রোদ, যে কোনো অজুহাত পেলেই বাড়ে সবজির দাম। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
নগরীর কাজীর দেউড়ি, চকবাজার, বহদ্দারহাট, কর্ণফুলী কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কাঁকরোল ও করলা ৯০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০, ঢ্যাঁড়শ ৫০-৬০, আলু ৬০, পটোল ৬০, কাঁচা মরিচ ২০০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, বরবটি ১৪০, টমেটো ১৫০, পেঁপে ৫০-৬০, গাজর ১৪০ এবং শসা ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে। অন্যদিকে ভাসমান ভ্যানে কাঁকরোল ও করলা ৮০, চিচিঙ্গা ৪০, ঢ্যাঁড়শ ৫০, আলু ৬০, পটোল ৫০, কাঁচা মরিচ ২০০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, বরবটি ১২০, টমেটো ১২০, পেঁপে ৪০, গাজর ১৪০ এবং শসা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কমতে থাকা মুরগির দাম কেজিপ্রতি কমেছে আরও ২০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৫০, সোনালি ৩০০ এবং দেশি মুরগি ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে নগরে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দাম। গতকাল নগরে গরুর মাংস ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৫০ এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আকারভেদে রুই ২৬০ থেকে ৩৬০, কাতল ৩২০ থেকে ৩৬০, মৃগেল ২০০-২৫০, আকারভেদে পাঙ্গাশ ১৮০-২২০, তেলাপিয়া ২০০-২২০, স্যালমন ফিশ ৪৫০, বাগদা চিংড়ি ৮০০, রূপচাঁদা জাত ও আকারভেদে ৫৫০ থেকে ৭০০, পোয়া মাছ ২৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০, সুরমা ৩৫০ থেকে ৫৫০, টেংরা ৩৭০ এবং নারকেলি মাছ ২৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছে। মুদিপণ্যের মধ্যে খোলা চিনি ১৩০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৪৭ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা।