Hot

অনিয়মের অভিযোগ : নয়জনের নিয়োগ বাতিল, নতুন ডিসিদের বেশির ভাগ বিদায়ি সরকারের ঘনিষ্ঠ

মঙ্গলবার কর্মকর্তাদের হট্টগোলের ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের কমিটি গঠন

নতুন নিয়োগ পাওয়া ৫৯ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তাদের বেশির ভাগই সদ্য বিদায়ি আওয়ামী লীগ সরকারের অতি ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। এর মধ্যে অনেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মেয়র এবং তৎকালীন সরকারের আস্থাভাজন দলবাজ সচিবদের পিএস (একান্ত সচিব) হিসাবে কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরকারের কাছে সরবরাহ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে ৫৯ জন ডিসি নিয়োগ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এ বঞ্চিতদের মধ্য থেকে অপেক্ষাকৃত দক্ষ, মেধাবী ও সৎ কর্মকর্তাদের ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হোক। জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে অনিয়মের বিষয় স্বীকার করে গত দুই দিনে নয়জনের নিয়োগ বাতিল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি চারজন ডিসির জেলা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। ডিসি নিয়োগে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের হট্টগোল বিশৃঙ্খলা ও অশোভন আচরণ হিসাবে গণ্য করে তা তদন্তে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদকে প্রধান করে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

উল্লিখিত বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বুধবার নিজ দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গণমাধ্যম এবং এজেন্সির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আমরা ৮ জন ডিসির নিয়োগ বাতিল করেছি। এর আগে মঙ্গলবার একজন ডিসির নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তারা কর্মস্থলে যোগদানের আগেই নিয়োগ বাতিল করা হলো। তাদের বিষয়ে নিয়োগ কমিটিতে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। আমাদের মধ্যে দুষ্ট লোকের তো অভাব নেই।

সচিব আরও বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ডিসি পদে নিয়োগ বঞ্চিতদের করা হট্টগোল একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তিনি বিষয়টিকে বিশৃঙ্খলা ও অশোভন আচরণ হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটল তার কারণ জানতে ওই কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তারপর বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সচিব আরও বলেন, বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে ডিসি নিয়োগ-পূর্ব সাক্ষাৎকার গ্রহণ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে ৮ জন ডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০ দিন যাবত যাচাই-বাছাই শেষে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হলো, তারপরও কেন এমন ঘটনা ঘটল এমন প্রশ্নে জনপ্রশাসন সচিব বলেন- তথ্যে বিভ্রান্তি, কমিউনিকেশর গ্যাপ তাই এমনটি হয়েছে। যাকে যে তথ্য দিতে বলা হয়েছে, সে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। অথবা ডিসি হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার পর ওই তথ্য আমাদের হাতে এসেছে।

এত সব যাচাই-বাছাইয়ের পরও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কি পদোন্নতি কিংবা ডিসি হিসাবে নিয়োগ পায়-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, আমরা কি সবাই ভালো মানুষ। আমাদের ভুল তথ্য দিয়েছে কিংবা সঠিক তথ্য গোপন করেছে। আমরা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। যথেষ্ট সচেতন। তারপরও মানুষ হিসাবে ভুল হতেই পারে। কোথাও কোনো অনিয়ম থাকলে ধরিয়ে দেবেন, ব্যবস্থা নেব।

সাবেক সরকারের সময় তৈরি করা ফিটলিস্টের ছয়জন কর্মকর্তাকে ডিসি হিসাবে কীভাবে পদায়ন করা হলো-এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, যারা আমাদের সাচিবিক সহায়তা দেয় এসব তাদের কাজ। তারা এসব করে। যাচাই-বাছাই করে আমরা ১০৬ জনের ফিটলিস্ট তৈরি করেছি। এর মধ্যে যদি কারও কোনো খারাপ তথ্য আমাদের দেবেন, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমাদের সন্তানদের রক্তের বিনিময়ে এ সরকার এসেছে। নতুন সরকারের এ কয়েক দিনের মধ্যে আমরা তিন শতাধিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছি। তারা তিন দিনের মধ্যে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আমরা তো কাজ করছি। এক প্রশ্নে জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় শূন্য থাকা সাত সচিব পদে শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে। এদের সবাইকে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নেওয়া হবে।

বঞ্চিতদের দাবি : গত সাড়ে ১৫ বছরে বঞ্চিত কর্মকর্তারা বুধবার সাংবাদিকদের জানান, ডিসি নিয়োগের জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপন আজকের (বুধবার) মধ্যে বাতিল করতে হবে। কারণ এ নিয়োগে সদ্য বিদায়ি সরকারের সময় সচিব, সিনিয়র সচিবদের একান্ত সচিবরা নিয়োগ পেয়েছেন। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করা ব্যক্তিরা ডিসি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের অনেকেই বিগত সরকারের সময় প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে দলবাজিতে লিপ্ত ছিলেন। পাশাপাশি কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। তার প্রমাণ হলো- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত দুই দিনে ৯ জন ডিসির নিয়োগ বাতিল করেছে। তার মানে হলো এ নিয়োগ ছিল ত্রুটিযুক্ত। সুতরাং তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

তারা আরও জানান, বিগত সময়ে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যারা সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তাদের ডিসি হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে। ডিসি নিয়োগে কারা অনিয়ম করেছেন এমন প্রশ্নে- উপসচিব নূরুল হাফিজ এবং নূরুল করিম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, নিয়োগ কমিটির কিছু লোক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আশ্বস্ত করেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নূরুল করিম ভূঁইয়া আরও বলেন, আমাদের দাবি হলো প্রশাসনের সর্বস্তরে বিগত দিনে যারা সুবিধাভোগী, যারা ছাত্র-জনতা হত্যার সঙ্গে জড়িত, খুন, লুটপাট ও রাষ্ট্র সংস্কারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং এখন পর্যন্ত ছাত্র-জনতার এই বিপ্লবের মূল আকাঙ্ক্ষা ও চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছেন, সেসব কর্মকর্তাকে আজকের (বুধবার) মধ্যে বিদায় দিতে হবে। এটা ছিল আমাদের প্রধান দাবি।

নতুন ডিসিদের আমলনামা : ঢাকার ডিসি হিসাবে নিয়োগ পাওয়া তানভীর আহমেদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি মোমিনুর রহমানের ভাগনে। তানভীর আহমেদ সাবেক আইন সচিব আবু সালেহ মো. জহিরুল ইসলামের একান্ত সচিব (পিএস) ছিলেন। এছাড়া তিনি সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সাজ্জাদুল ইসলাম শাহিনের নিকটাত্মীয়। বিগত সরকারের সময় অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানা এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের দেওয়া ডিসির ফিটলিস্টে তানভীর আহমেদের নাম ছিল। ময়মনসিংহ জেলার ডিসি মফিদুল আলম চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাসিরের পিএস ছিলেন। তিনি সর্বশেষ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিএস ছিলেন।

কুষ্টিয়ার ডিসি হিসাবে নিয়োগ পাওয়া ফারহানা ইসলাম সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীরের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। তিনি একসময় রূপগঞ্জের ইউএনও ছিলেন। তিনি গোলাম দস্তগীরের মালিকানধীন গাজী টিভির সংবাদ পাঠিকা হিসাবে কাজ করছেন। ঝিনাইদহের ডিসি মো. আব্দুল আওয়াল কমলনগর ও কুমিল্লায় ইউএনও থাকা অবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিগত সরকারের সময় তৈরি করা ফিটলিস্টে তার নাম ছিল। মাগুরার ডিসি মো. অহিদুল ইসলাম গত সরকারের সময় ৫ বছর মরিশাসে ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজার জেলার ডিসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গত সরকারের সময় তিনি একটি মোটা বেতনে প্রকল্পে লিয়েনে পোস্টিং নিয়েছেন। নোয়াখালীর ডিসি খন্দকার ইসতিয়াক ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। তার পিতা ও মামা গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি চারটি উপজেলায় এসিল্যান্ড ছিলেন। খুলনার ডিসি মো. সাইফুল ইসলাম তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারির একান্ত সহচর ছিলেন। হবিগঞ্চে ইউএনও থাকাকালে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গত সরকারের সময় তিনি কলকাতা হাইকমিশনে উপ-হাইকশিনার হিসাবে কাজ করেছেন। বিগত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে তার নাম ছিল।

গোপলগঞ্জের ডিসি মো. কামরুজ্জামান বিগত সরকারের আস্থাভাজন হওয়ায় সৌদি আরবে ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত কনসাল জেনারেল পদে নিয়োগ পেয়েছেন। রাজউকের পরিচালক ও হজ অফিসার হিসাবে পোস্টিং পেয়েছেন। গত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে তার নাম ছিল। সিরাজগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ মনির হোসেন রাজউকের পরিচালক ছিলেন। তিনি সালমান এফ রহমানের সঙ্গে শেয়ারবাজার কারসাজির অপকর্মে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তার শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জামালপুরের ডিসি হাসিনা বেগম ঢাকা ডিসি অফিসে এলএও হিসাবে কাজ করেছেন। ইউএনও হিসাবে নরসিংদীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তাকে তৎকালীন ডিসি তাকে অনুপযুক্ত কর্মকর্তা হিসাবে চিহ্নিত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠান। কিশোরগঞ্জের ডিসি ফৌজিয়া খান বিগত সরকারের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত আগস্ট মাসে বিপ্লবের সময় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সচিব জাহাঙ্গীর হোসেনের ডান হাত হিসাবে ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাজশাহীর ডিসি মো. মাহবুবুর রহমান পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমানের ভাগনিজামাই।

ফরিদপুরের ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লাহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি মোমিনুর রহমানের ভাগনিজামাই। বর্তমান ঢাকার ডিসি তানভীর আহমেদের ভগ্নিপতি। পদোন্নতির পর পরই তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গিয়েছেন। বিগত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে তার নাম ছিল। শরীয়তপুরের ডিসি আব্দুল আজিজ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন। তিনি সাবেক সরকারে কট্টর সমর্থক বলে অভিযোগ রয়েছে। পদোন্নতি পেয়ে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গিয়েছেন। পঞ্চগড়ের ডিসি মোহাম্মদ নায়িরুজ্জাম এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুম মুনিমের পিএস ছিলেন। লালমনিরহাটের ডিসি রকিব হায়দার উপ-সচিব হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ফুল দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক সময় মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন। গত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম ছিল। নীলফামারীর ডিসি শরীফা হকের মাঠ প্রশাসনে এক বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিগত সরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া নিয়োগ পাওয়া বাকি ডিসিদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button