অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গত বুধবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ কথা বলেছেন।
ম্যাথু মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে অন্তবর্তীকালীন সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নেবে, সেগুলোতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা এরই মধ্যে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সামনে কী পদক্ষেপ দেখতে চায়, তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যেহেতু অন্তবর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে, তারা যেন গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কাজ করে, সেটি দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, বাংলাদেশে কী ঘটছে, তার ওপর আমরা নজর রাখছি এবং আমরা নিশ্চিতভাবেই মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তবর্তী সরকারের নেতা নিয়োগ দিতে দেখছি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অন্তবর্তীকালীন সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আরেকজন মুখপাত্র ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারবিষয়ক সব সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন এবং বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খা অনুযায়ী হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছি, যেহেতু তারা বাংলাদেশের নতুন সরকার গঠন করে গণতান্ত্রিক ধারায় এগিয়ে যাবে।
ছাত্র জনতার বিক্ষোভের মুখে গত সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত যান। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হচ্ছে। শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকারের উপদেষ্টাদের শপথ গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের (জয়) সর্বশেষ ভিডিও বার্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেন, নিজ দেশের কোনো নাগরিকের বক্তব্য নিয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই।