অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণা দিতে হাইকোর্টে আবেদনের শুনানি আগামীকাল
আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এস এম শাহরিয়ার কবির।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনে জুলাই মাসের আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী ও আহত ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এস এম শাহরিয়ার কবির।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ রিটটি দৈনিক কার্যতালিকায় তালিকাভুক্ত করা হলেও আদালত আগামীকাল শুনানির দিন ধার্য করেছেন।’
গত ২৩ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন রিটটি করেন। গেজেট প্রকাশের বিষয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে বেআইনি ঘোষণা করে আদেশ চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
ব্যারিস্টার কবির বলেন, ‘বর্তমান সরকার শুধু সংবিধানের বাইরে নয়, ত্রয়োদশ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের আওতার বাইরেও গঠিত। অতএব, যদি এই ধরনের কোনো ঘোষণা না দেওয়া হয়, তাহলে আদালত বর্তমান সরকারকে অসাংবিধানিক বলে গণ্য করতে পারেন এবং এটিকে সামরিক অভ্যুত্থান দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারেন।’
এই আইনজীবী আরও বলেছেন, ‘সামরিক অভ্যুত্থান বা আদালতের জারি করা কোনো রায়ের মাধ্যমে বিপ্লবী সরকারকে অপসারণ করা যায় না।’
তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রোমানিয়া, ইরান, ইরাক, মিশর, সিরিয়া, ইয়েমেন ও লিবিয়ার মতো দেশগুলোতে গণঅভ্যুত্থান বিপ্লবী সরকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
ব্যারিস্টার কবির আরও বলেন, ‘গত ২০ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপ্লবী সরকার ঘোষণার অনুরোধ জানিয়ে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়ে রিটটি দায়ের করেন রিটকারী। সাড়া না পাওয়ায় রিট আবেদন করা হয়েছে।’
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, আইন সচিব ও আইন উপদেষ্টার একান্ত সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।