অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস: প্রত্যাশা প্রাপ্তির ফারাক বাড়ছে
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ই আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পূর্ণ করেছে দুই মাস। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েই কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে সরকারকে। এ সময়ে সরকারের নেয়া বেশকিছু উদ্যোগ প্রশংসিতও হয়েছে। তবে জনপ্রত্যাশা কতোটুকু পূরণ করতে পেরেছে বর্তমান সরকার, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যে ভুগছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়াও অস্থিরতা রয়েছে জনপ্রশাসন, পুলিশ, ব্যাংক ও শিক্ষাখাতে। পুরোপুরি পুনর্গঠন করা যায়নি বিচার বিভাগ। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, কল-কারখানা অচলায়তন, বন্যাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে হচ্ছে সরকারকে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিপ্লব পরবর্তী দুই মাসে একটি দেশকে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা কঠিন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাই সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন এটিও বলা যাচ্ছে না। তাই ড. ইউনূস সরকারকে পুরোপুরি সফল হতে সময় লাগছে।
সরকারের দুই মাসের কার্যক্রম নিয়ে দলগুলোর মধ্যেও আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, প্রশাসন নিরপেক্ষকরণ, নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে যথেষ্ট অস্পষ্টতা ও ধীরগতি রয়েছে বলে মনে করে বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি। এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দলটির নেতারা। সর্বশেষ সরকারের সঙ্গে সংলাপে বিএনপি’র পক্ষ থেকে সরকারের কিছু দুর্বলতার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি তা কাটিয়ে উঠতে পরামর্শও দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংলাপে জামায়াতে ইসলামীও কিছু পরামর্শ দিয়েছে সরকারকে। অন্যান্য দলের পক্ষ থেকে যেসব পরামর্শ এসেছে তা পর্যালোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. নুরুল আমিন বেপারী বলেন, এক থেকে দুই মাস ব্যক্তি জীবনে অনেক হলেও একটি রাষ্ট্র বা সরকারের জন্য যথেষ্ট নয়। অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে কিছুটা সময় লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রধান উপদেষ্টাকে এনজিওভিত্তিক সরকার থেকে বের হয়ে রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করা উচিত। কাউকে কাউকে বাদ দিয়ে নতুন রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের যোগ করে সরকার পুনর্গঠন করতে পারলে সফল হবেন তিনি। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ই আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ ৪১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। যেখানে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক। দায়িত্ব গ্রহণের পরই সরকার বেশকিছু উদ্যোগ ও কাজ করেছেন। বিশেষ করে মানবাধিকার, অর্থনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, বিচার বিভাগসহ বেশকিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়াও রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে প্রস্তাবিত পরামর্শ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরকার নতুন সংস্কার কাজে হাত দেবে। ৬টি কমিশন হলো- ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং প্রফেসর ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এসব কমিশন আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের সংস্কার প্রস্তাবনা দেবে। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার কাজে হাত দেবে সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করছেন প্রধান উপদেষ্টা। এদিকে দায়িত্ব গ্রহণের পর ছাত্র আন্দোলনে হওয়া বিভিন্ন মামলা প্রত্যাহার ও বন্দিদের মুক্তি দেয়। এ ছাড়াও আইসিটি আইনে হওয়া বন্দিদের মুক্তি দেয়া হয়। ছাত্র-জনতার ওপর হওয়া হত্যাযজ্ঞের তদন্তে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা দেশে এসে কাজ করছেন। ছাত্র আন্দোলনে আহত-নিহতদের চিকিৎসা ও পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে সচল করা হয়েছে। এ ছাড়াও গত ২৯শে আগস্ট গুম বিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। গঠন করা হয়েছে গুম বিষয়ক একটি অনুসন্ধান কমিশন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগসহ বিচার বিভাগ দলীয়করণ থেকে মুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন ও পুলিশকে দলীয়করণ থেকে মুক্ত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের সচিব পরিবর্তন ও পুলিশের শীর্ষ পদে নতুনদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে পূর্বের সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। অপসারণ করা হয়েছে অধিকাংশ জেলার ডিসিকে। অর্থনৈতিক খাতের ওপর শ্বেতপত্র প্রকাশের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপসারণ করা হয়েছে ফ্যাসিবাদী সময়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে নতুন সরকার। ৪ঠা সেপ্টেম্বর থেকে ছিনতাই হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে যৌথ বাহিনী। সেনাবাহিনীসহ তিন বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে। এ ছাড়াও গণভবনকে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এদিকে অস্থির শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে সব স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্যদিকে ব্যর্থতাও রয়েছে সরকারের। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এখনো। মব জাস্টিসের মতো ঘটনা ঘটছে। খুন, রাহাজানির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। চলছে চাঁদাবাজি, দখলদারি, টেন্ডারবাণিজ্যের মতো ঘটনা। পুলিশ বাহিনী পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এ ছাড়া পুলিশ সক্রিয় না হওয়ায় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাও একেবারেই ভেঙে পড়েছে। এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে তিন বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে হওয়া মামলা ও আসামিদের নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তাই এসব মামলায় ন্যায়বিচার কতোটুকু নিশ্চিত হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক মানবজমিনকে বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর অধিকাংশ মামলার আইনিভিত্তি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। একটা মামলার ভিত্তি নিয়ে যখন বিতর্ক থাকে তখন শেষ পর্যন্ত কী ধরনের বিচার হতে পারে সেটি শুরু থেকেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজারে এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। সরকার থেকে কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তার চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন মানবজমিনকে বলেন, বিশ্ববাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে তার প্রভাব নেই। বরং উল্টো জিনিসের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কথায় পরিবহন চাঁদাবাজি কমেছে। তাহলে সেই প্রভাব বাজারে নেই কেন? এ ছাড়া ২৯টি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হলেও তার প্রভাবও বাজারে দেখা যাচ্ছে না। আগের কারবার এখনো চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সরকার থেকে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। অস্থিরতা রয়েছে জনপ্রশাসনে। পুরনো সরকারের আমলারা সরকারকে ঠিকমতো সহযোগিতা করছেন না। এ ছাড়াও পদোন্নতি ও দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রতিনিয়ত সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে সরকারি চাকরিজীবীরা। অন্যদিকে প্রশাসনের লোকদের দুর্নীতির অভিযোগও সামনে আসছে। যা সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে। বেহাল আর্থিক খাতও। বিশেষ করে খেলাপি ঋণের ভারে জর্জরিত ব্যাংকিং খাত। এ ছাড়াও তারল্য সংকট, সুশাসনের অভাবসহ একাধিক সমস্যায় ভুগছে অনেকগুলো ব্যাংক। মালিকানা নিয়েও রয়েছে দ্বন্দ্ব। বেশ কয়েকটি ব্যাংকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব ব্যাংকের পরিচালকরা আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, ইতিমধ্যে সেসব ব্যাংকের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। ফলে ব্যাংক খাত নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে। এমনিতেই এই খাত উচ্চ খেলাপি ঋণে ধুঁকছে। অস্থিরতা রয়েছে পুঁজিবাজারেও। সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বেশির ভাগ সময়ই দরপতন হয়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলমান এই দরপতনকে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার প্রতিফলন বলে মনে করেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। শিক্ষাঙ্গনেও অস্থিরতা পুরোপুরি কাটেনি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ক্লাস পরীক্ষা চালু হলেও এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা রয়ে গেছে। শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে আছেন পতিত সরকারের অনুগতরা। তাই বিক্ষোভ চলমান এসব প্রতিষ্ঠানে। বিশেষ করে পিএসসি চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের পদত্যাগ না করায় আটকে আছে চাকরি পরীক্ষা ও ভাইবা। বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ নিয়োগ পরীক্ষা। যার কারণে ভুগতে হচ্ছে চাকরিপ্রত্যাশীদের। অন্যদিকে যত্রতত্র বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। যার কারণে অস্থিরতা রয়েছে রাষ্ট্রে। এসব বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগও নেই সরকারের। অনেকে সরকারকে অস্থিরতায় ফেলতে এমন করছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় একটি গোষ্ঠী। অস্থিরতা কাটেনি পাহাড়েও। সেখানেও বিভিন্ন সহিংসতায় কারও কারও উস্কানি রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়াও অস্থিরতা রয়েছে পোশাকখাতেও। এখনো পোশাকখাতে শৃঙ্খলা ফেরানো যায়নি। বিক্ষোভে বন্ধ রয়েছে অসংখ্য পোশাক কারখানা। যার কারণে এ খাতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আহতদের সঠিক চিকিৎসা দেয়া নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন অনেক আহতব্যক্তি। ইতিমধ্যে সরকারের সমালোচনাও করছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারা বিভিন্ন বক্তব্যে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা বলছেন তাদের বক্তব্যে।