Uncategorized

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরব, অন্যরা কৌশলী

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই সরব যুক্তরাষ্ট্র। নীতিগতভাবে পশ্চিমা অন্য দেশগুলোর আকাঙ্ক্ষাও এক। কিন্তু এই দেশগুলোর বেশির ভাগই এককভাবে এ বিষয়ে কথা বলে না।

আবার বৈশ্বিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীত বলয়ে থাকা কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অতি আগ্রহ ও ভূমিকার সমালোচনা করে আসছে। রাশিয়া, চীনের পর এ তালিকায় এবার ইরান যুক্ত হয়েছে।

আর প্রতিবেশী ভারতসহ কিছু দেশ বাংলাদেশে নির্বাচনসহ সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নিবিড় দৃষ্টি রাখলেও এসব বিষয়ে সরাসরি কিছু বলে না।

নির্বাচন

সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা বলেছেন, ভূ-রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ আগেও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অতীতে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠিয়ে মধ্যস্থতা বা সমঝোতার চেষ্টা হয়েছিল।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালে বাংলাদেশে নির্বাচনের পর বিজয়ী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াকার বুশ ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের অবস্থান ও তা প্রকাশের ভিন্নতা বৈশ্বিক রাজনীতি ও কূটনীতিতে তাদের অবস্থানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। আবার কেউ কেউ মনে করে, চাপ সৃষ্টি, নিজের বলয়ে রাখা, এমনকি কখনো কখনো নিজ দেশের পক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়ে সুবিধাজনক অবস্থান নিশ্চিত করতে তারা ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ ইস্যুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

তবে বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির মূলভিত্তি হচ্ছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। তাই এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের কথা বলাটাই স্বাভাবিক বলে জানান একাধিক কূটনীতিক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক কালের কণ্ঠকে বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতির কারণে পশ্চিমাদের সহযোগিতার ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা কমেছে। এ কারণে বাংলাদেশ আর আগের মতো তাদের শর্ত ও চাপ মানতে চায় না। এটি তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী চায় তা স্পষ্টভাবে বলেছে। তারা এ জন্য কিছু উদ্যোগও নিয়েছে। পশ্চিমা অন্য দেশগুলোর প্রত্যাশা একই ধরনের হলেও সবাই হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রকাশ্যে কথা বলবে না। কারণ সবার কাজের ধরন এক নয়। ভারতও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলবে না।

তৌহিদ হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে চীন ও রাশিয়া কথা বলবে; কারণ এর মাধ্যমে তাদের কিছু অর্জনের বিষয় আছে। আর ওই দেশ দুটির অবস্থান সরকারের অবস্থানের সমান্তরাল।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কার অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, যারা নির্বাচিত হয়েছে তাদের অবশ্যই বাংলাদেশে জনগণের সবার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনে যারা জয়ী হতে পারেনি তাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশের আরো ভালো ভবিষ্যতের জন্য সরকার বা বিরোধী—সব রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

২০১৩ সালের ‘জ্বালাও-পোড়াও’ আন্দোলনের পর বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে। আবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা সামান্য আসন পায় এবং নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশা প্রকাশ করেছিল। আর ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হতাশা ছিল।

এর পর থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নাগরিক সমাজের কাজের সুযোগ সংকুচিত হওয়ার অভিযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক দপ্তর ইউএসএআইডির বাংলাদেশবিষয়ক হালনাগাদ কৌশলপত্রে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থেরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ বাংলাদেশে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় জবাবদিহি নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে ভিসানীতিও ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় কোনো বাংলাদেশি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বাধা দিলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না-ও পেতে পারেন। এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে র‌্যাব ও এর কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

বাংলাদেশে লক্ষ্য পূরণে ভারতকেও পাশে পাওয়ার চেষ্টা : ওয়াশিংটন থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতকে আগেই জানিয়েছে। ভিসানীতি ঘোষণার আগে এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে মার্কিন প্রতিনিধিরা ভারতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে ভারত সফর করছে। নয়াদিল্লিতে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে চায় ভারত : নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরব হলেও ভারত কার্যত নীরব। দিল্লির সূত্রগুলো বলছে, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে তারা বাংলাদেশ পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি রাখছে। বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। নিরাপত্তা বিষয়ে দুই দেশের সহযোগিতাও বেশ জোরালো। বাংলাদেশের সহযোগিতার কথা ভারত প্রকাশ্যেই স্বীকার করে। তারা এ সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে চায় বলে প্রকাশ্যেই বলছে।

দিল্লির সূত্রগুলো অতীতের মতোই বলছে, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে। কারণ এর সঙ্গে ভারতের, বিশেষ করে সাত রাজ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতারও সম্পর্ক আছে।

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিয়েও দেয়নি যুক্তরাজ্য : আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, তখন একই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তুতি ছিল যুক্তরাজ্যেরও। কিন্তু যুক্তরাজ্য শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য—দুই দেশই বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উন্নতি চায়। কিন্তু ব্যবস্থা বা উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই দেশ যে স্বতন্ত্রভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, এটি র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘটনায়ও স্পষ্ট। ব্রিটিশ সরকার সম্প্রতি নতুন করে যে বাণিজ্য সুবিধা ঘোষণা করেছে, তাতে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। আর এতে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

ঢাকায় নতুন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাজ্যও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ব্রিটিশ মন্ত্রী ও সরকারের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতে বিষয়টি স্পষ্ট জানিয়েছেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায় ইইউ : ইউরোপের ২৮টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায়। এরই অংশ হিসেবে ইইউর প্রাক-নির্বাচন অনুসন্ধানী মিশন গতকাল রবিবার বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে।

ঢাকায় ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ইইউর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেল এ বছর বিশ্বে নির্বাচন পর্যবেক্ষকের তালিকায় বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারে রেখেছেন। নির্বাচন যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক হলে এবং প্রাক-নির্বাচন অনুসন্ধানী মিশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুপারিশ করলে ইইউ হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ তা বিবেচনায় নেবেন।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয়জন সদস্য সম্প্রতি বাংলাদেশে নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। আর এর জবাবে জোসেফ বোরেল বাংলাদেশ নিয়ে গঠনমূলক বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন।

বাংলাদেশ নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের চিঠিকে তাঁদের নিজস্ব অভিমত হিসেবে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত।

গুরুত্ব চায় পশ্চিমা দেশগুলো : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ বিশ্বের সামনে নিজেকে অন্যভাবে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের এই উত্থান অনেকের জন্য বিব্রতকর।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব দেখতে চায় এ দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রমমান কেমন। এসব ক্ষেত্রেও আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে।’

‘মার্কিন হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে চীন, রাশিয়া : বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গত মাসে বেইজিংয়ে ব্রিফিংয়ে বলেছেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। ঢাকায় চীনা দূতাবাস সেই বক্তব্য তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রকাশ করেছে।

রাশিয়াও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একাধিকবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত সপ্তাহেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন আচরণ করছে যে বাংলাদেশ তার নতুন উপনিবেশ। চীন, রাশিয়া—দুই দেশই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানোর কথা বলেছে। সর্বশেষ ইরানও এমন মত প্রকাশ করেছে।

আলোচনায় এসে আবার নীরব জাপান : গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় জাপানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর মন্তব্যকে ঘিরে হঠাৎ আলোচনায় এসেছিল জাপান। এ বছর ঢাকায় জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এসেছেন ইওয়ামা কিমিনরি। গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। এরপর জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘এটি এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে এড়িয়ে যান।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় জাতিসংঘ : বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও তাঁরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি সব দেশের ক্ষেত্রেই জাতিসংঘের অবস্থান।

সুষ্ঠু নির্বাচন চায় সরকার : আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশ্বাস দিয়ে আসছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ সরকারের মন্ত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক ও বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে এ আশ্বাস দিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সর্বশেষ গত শনিবার ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছেন, বিদেশিদের নয়, সরকার নিজের তাগিদ থেকেই অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করতে চায়। আর এই নির্বাচনে সরকার বড় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায়।

বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চায় না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল রবিবার সিলেটে এক সমাবেশে বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button