অভিবাসন নীতি নিয়ে ট্রাম্পশিবিরে মতানৈক্য
ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষাণকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উপদেষ্টা হিসেবে বাছাই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক ও ট্রাম্পের কট্টরপন্থি ‘মেইক আমেরিক গ্রেট অ্যাগেইন’ সমর্থকদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থক লরা লুমার ও ম্যাট গাৎজের মতো কট্টর ডানপন্থিরা কৃষাণের বিরোধিতা করেছেন। অপরদিকে তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামী।
শ্রীরাম কৃষাণের বিরোধিতার নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন অভিবাসন নীতির বিষয়টিও। কার্যত অভিবাসন নীতি নিয়ে ট্রাম্পশিবির দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। লরা লুমার বলেছেন, শ্রীরামকে বাছাইয়ের বিষয়টি ‘অত্যন্ত বিরক্তিকর’। এ ছাড়া কৃষাণ বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য ভিসা বাড়ানো ও গ্রিনকার্ড দেওয়ার যে কথা বলেছিলেন, সেটিরও সমালোচনা করেন লরা। তিনি বলেন, এটি ট্রাম্পের এজেন্ডার সম্পূর্ণ বিপরীত।
লরার এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা বংশোদ্ভূত ইলন মাস্ক। এক্সে তিনি লিখেন, ‘চমৎকার প্রতিভার প্রকৌশলীর স্থায়ী ঘাটতি বিদ্যমান। বিষয়টি সিলিকন ভ্যালির জন্য একটি বড় সীমাবদ্ধতা’। এরপর আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বিষয়টি হলো– আপনি কি চান আমেরিকা জিতুক নাকি হারুক? যদি বিশ্বের সেরা প্রতিভাবানদের আপনি অন্যদের হয়ে খেলতে দেন, আমেরিকা তাহলে হারবে। কথা শেষ।’
ইলন মাস্কের এ অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রামাস্বামী। তিনি এক দীর্ঘ পোস্টে বলেন, যদি দক্ষ বিদেশি কর্মীদের না আনা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষতি হবে। এরপর রামাস্বামী ও মাস্কের বিরুদ্ধে লরা বলেন, ‘রামাস্বামী জানেন রিপ্লেসমেন্ট বাস্তব। যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও মহান বানানোর নীতি বাস্তবায়ন চাওয়া, ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্য নয়। আমি এর জন্যই ভোট দিয়েছি। আমি এইচ১বি ভিসা কমানোর জন্য ভোট দিয়েছি, বাড়ানোর জন্য নয়। এ ধনকুবেররা আমাদের অভিবাসন নীতি নতুন করে লিখতে পারবেন না, যেন ভারত ও চীন থেকে তারা সীমাহীন দাস কর্মী নিয়ে আসতে পারে।’
ভারতীয় অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান রিপাবলিকান রাজনীতিক নিকি হ্যালি বলেন, বিদেশি কর্মীদের নয়, কাজের ক্ষেত্রে মার্কিনিদের প্রাধান্য দিতে হবে।